Apr 26, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি ঘর ছাড়তে চান গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের রানিহাটীতে অসহায় দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষদের বসবাসের জন্য প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে নির্মাণ করা গুচ্ছ গ্রাম। এটি ২০১৮ সালে দোচালা টিনের একটি ঘর,অস্থায়ী একটি টয়লেট ও হাজার খানেক মানুষের জন্য মাত্র ৯টি টিউবওয়েল বসিয়ে ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয় গুচ্ছগ্রামটি। 

দু-দফায়  ১৩০টি পরিবার সেখানে বাড়ি বরাদ্দ পায়। পরিবারগুলা সেখানে ওঠার পর থেকেই নানান সমস্যায় ভুগছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান- নদী ভাঙনের কারনে আমি নিঃস্ব হয়েগেছি। পরে আমাকে সরকারিভাবে গুচ্ছগ্রামে একটি ঘর দেয়া হয়। যে ঘরটি তাকে দেয়া হয়েছে ওস ঘরের মাথার ওপর টিনের ছাউনি। রোদে যেন ঘর থেকে আগুন বের হতে থাকে। বৃষ্টির দিনে বাড়ির ভেতর হাঁটু সমান পানি জমে কাদায় ভরে যায়। ক্ষোভে ইচ্ছা হয় সরকারি ঘর ছেড়ে বাইরে কোথাও গাছতলায় থাকলেও শান্তি পেতাম।

ভিক্ষু আলী নামে অপর এক বাসিন্দা। তিনি জানান- গুচ্ছগ্রাম হওয়ার পরে আমাকে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। নেই কোন নিরপত্তা। প্রথমে আমি কোনো সমস্যা বুঝতে না পারলেও দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহায় হয়ে পড়ছি।তার দাবি, আগের বাড়িতেই ভালো ছিলাম। এখানে পানি সঙ্কট, বিদ্যুৎ সঙ্কট ও মাদক বেচা-কেনা হয়। এনিয়ে থাকার মতো কোনো পরিবেশ নেই।

আদরি বেগম নামে এক নারী জানান, গুচ্ছগ্রামে যে টিউবওয়েল আছে সেগুলোতে আর্সেনিক আছে। ওই পানি দিয়ে রান্না, গোসল, কাপড় ধোয়া কিছুই করা যায় না। পাঁচ বছরের শিশু আবদুল্লাহ জানায়, আমরা অনেক ভয়ে ভয়ে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে যাই। যদি গুচ্ছগ্রামের ঘরটি চালু করে পড়ালেখার ব্যবস্থা করা হত তাহলে আরও ভালো পড়ালেখা হত। একই কথা জানান অন্যান্য বাসিন্দারাও। তাদের দাবি, গুচ্ছগ্রামে বসবাসের মতো কোনো অবস্থা নেয়। এখানে দ্রুত বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হোক।

নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, পানি এবং বিদ্যুতের বিষয়টি একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। শিমুল এমপি আশ্বাস দিয়েছিলো এখানের যত সমস্যা,সবগুলায় তিনি সমাধান করার কথা।

শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি। তরি মুঠোফনে রিং দেয়া হলেও তার সাথে কথা বলা হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com