Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

Mar 30, 2022

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের




চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেছেন, রমজান মাসে জেলার বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবে না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। তারা জেলার বাজারের পণ্যগুলো দাম না বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও ব্যবাসায়ীরা যদি বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারীকি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ডিসি গালিভ।

ডিসি আরও বলেছেন, জেলায় বাজার মনিটরিং টিম রয়েছে। ওই বাজার মনিটরিং টিম সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছে। তেল, ডাল, চালের দাম আগের থেকে কিছুটা দাম কমেছে। এছাড়াও যদি কোন ব্যবসায়ী গোডাউনে তেল, চাল, ডাল, চিনি, মজুদ রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন। কৃষকদের জমিতে দেয়া সার অনেক কিটনাষক ব্যবসায়ী মজুদ রেখেছে বলে খবর পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হোদা অলক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, সাংবাদিক তোসলিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ, আজিজুর রহমান শিশির, কামাল সুকরানা, মেহেদী হাসান শিয়াম, ফারুক আহম্মেদ, টুটুল রবিউলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Mar 20, 2022

 চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন ডে পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন ডে পালিত


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়ালটন ডে পালিত হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) সকালে জেলা শহরের শিবতলা এলাকায় ওয়ালটনের ডিলার আঃ রাকিবের উদ্যোগে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান, সমাজ সেবক ও সাংবাদিক মুনিরুল ইসলামসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এ দিবসটি উপলক্ষে জেলা সদরের শিবতলা থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে একটি র‍্যালী প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালী শেষে কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

 

Mar 18, 2022

আমের রাজ্যে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা

আমের রাজ্যে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা




আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আমের রাজধানীতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। গত বছরের ক্ষতি পুষিতে নিতে এবার আম গাছের পরিচর্যায় বেশ মনযোগী হয়েছেন বাগান মালিকরা। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও পেয়েছে নতুন কর্মস্থল। তারাও নতুন কর্মস্থল পেয়ে আনন্দিত। বাগান মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া মজুরি দিয়ে সংসারের দুঃখ দূর হবে বলে আশাবাদী শ্রমিকরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সুত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে আম ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘায় মোট ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ টি আম গাছ চাষাবাদ হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এ মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ হাজার ৪৭০ দশমিক ৫ বিঘা, শিবগঞ্জে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ দশমিক ৫ বিঘা, গোমস্তাপুরে ৩১ হাজার ৫২৩ দশমিক ৪ বিঘা, নাচেলের ২৮ হাজার ২৭৩ দশমিক ৯৫ বিঘা, ভোলাহাট উপজেলায় ২৭হাজার ৩৪০ দশমিক ২ বিঘা জমিতে আম গাছ চাষাবাদ হচ্ছে।

সদর উপজেলার ইসলামপুরে ২৪ বিঘার একটি বাগান কিনেছেন মুনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গত বারের চেয়ে এবার আম উৎপাদনের জন্য দিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। গতবছরে জলবায়ুর কারণে আমের মুকুল ফুটার সময় বৃষ্টি হয় নি। এছাড়াও করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে অন্য জেলার ব্যাপারীরা আম কিনতে আসতে পারেনি। ফলে আমের মৌসুমের প্রথম দিকে আমের দাম পাওয়া যায়নি। অনেক লোকসান হয়েছে। এবার করোনার মধ্যে আমের বাজারদর যেন না কমে এদিক দিয়ে আম সংশ্লিষ্টরা খেয়াল রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিবগঞ্জের আরেক আম বাগানি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারের মৌসুমের প্রথম দিক থেকে আবহাওয়া ভালো আছে। ফলে গতবারের চেয়ে এবার আম ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।  আমের ফলন ভালো হলে গত বছরের লোকসানের টাকা গুলো এবার পুষিয়ে নেয়া যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ  সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় একটি বাগানে আমের গাছে কিটনাষক প্রয়োগ করছিলেন সাইফুল, গোলাম রাব্বানি, সোহেল, আব্দুল আজিম। তারা জানান, করোনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কাজ ছিলোনা, ধার দেনা করে আমাদের সংসার চালাতে হয়েছে। এমন কী বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে সংসারে ব্যয় করতে হয়েছে। এখন আমরা কাজ পেয়েছি। প্রত্যেকেই প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করি। সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন কাজ থাকে। এমন করে কাজের গতি চলতে থাকলে, ধার আর লোনের টাকা গুলো শোধ করা যাবে। তবেইতো নিতে পারবো স্বস্থির নিঃশ্বাস।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, বর্তমানে আমের গাছগুলো শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মুকুল এসেছে। এবারের মৌসুমে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন। আবহওয়া ভালো থাকায় আমের ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদি এ কর্মকতা।

আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুল ইসলাম বলেন, চলচি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তিন চার ধরে মেঘলা আবহওয়া ছিল। এ সময়ে যে সব মুকুল ফুটেছিলো সেগুলো ঝরে যাওয়ার শঙ্কা ছিলো। কিন্তু পরে আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হয়নি। তবে যে সব গাছে আগাম মুকুল এসেছিল, ওইসব কিছু কিছু গাছের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি আরও বলেছেন, এ সময়ে গাছের সঠিক পরিচর্যা না নিলে, আম গাছে ছত্রাক ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। কৃষকরা যদি গাছে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে তাহলে এ ভারসাস থেকে পরিত্রাণ পাবে।

 

Mar 15, 2022

আম চাষিদের ঘন বাগানে ঝোঁক

আম চাষিদের ঘন বাগানে ঝোঁক




চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রতি বছরই বাড়ছে আম বাগান।শুধু বদলে গেছে আম বাগানের ধরন। প্রচলিত বড় গাছের আম বাগানের স্থান দখল করছে, ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।জেলার চাষিদের এখন আগ্রহ আম্রপালি, বারি-১১, বারি-৪, গৌড়মতি, কার্টিমন এ ৫ জাতের দিকে।এতে পুরাতন জাত ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, আসিনা, গুটি এসব জাতের নতুন বাগান গড়ে উঠছে না।

জেলা কৃষি অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে আম বাগানের জমি ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ বিঘা। আর গত দশ বছরে জেলায় ৮৫ হাজার ৫৯১ বিঘা জমির আম বাগান বেড়েছে।এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বেড়ে উঠেছে ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।কম সময়ে লাভবান হওয়ার আসায় চাষিরা ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, আসিনা আমের পরিবর্তে লাগাচ্ছেন উচ্চ-ফলনশীল জাত।

জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাবি জাতের আম চাষ হয় শিবগঞ্জে। ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপরেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শামিম খান।তিনি জানান, প্রায় সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গৌড়মতি আর আম্রপালি এ দুই জাতের আম চাষাবাদ করছি।এরমধ্যে ৪ বিঘা জমিতে লাগোনো হয়েছে ১ হাজার আম্রপালির গাছ।গাছ গুলো লাগানোর প্রায় দুই বছরের মাথায় ফল আসবে। এছাড়াও বাকি জমিতে ৫০০ টি আম্রপালির গাছ লাগানো হয়েছে।প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আসবে ফলন।একটি গাছ থেকে আরেকটির দূরত্ব প্রায় ৬-৭ ফুট।

শামিম খান বলেন, ফজলি, আসিনা, ক্ষিরশাপাত, ন্যাংড়া আমের চাষ করে, তেমন লাভবান হওয়া যায় না। এতে করে পুঁজির টাকা পকেটে উঠাতেই হিমশিম খেতে হয়। কম সময়ে লাভবানের আশায় উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোর বাগানই বাড়ছে।গাছ ছোট হওয়ায় পরিচর্যা থেকে শুরু করে আম নামানো সহজ হয়।অন্যদিকে কম জায়গায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।

আম চাষি সাইদুল রহমান তার জমিতে গড়ে তুলেছেন বারি-১১, বারি-৪ এ দু জাতের আম বাগান।  তিনি জানান,গত কয়েক বছর থেকে আমের দাম সে ভাবে পাইনি।কয়েক জনের মুখে শুনে এ জাতের আমের গাছ লাগিয়েছি ৪ বিঘা।আশা করছি লাভবান হবো। তিনি আরও জানালেন, প্রচলিত জাতের আম গাছ থেকে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ৭-৮ বছর। আর উচ্চ ফলনশীল আমগাছ অধিক পরিমাণে ঘন করে লাগানো যায়। এ ছাড়া দুই বছরেই ফল পাওয়া যায়।এসব কারনেই এ ধরনের বাগানের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আম চাষিরা।

৭ বিঘার বাগানে ৮০০ আম্রপালি আমগাছ লাগিয়েছে কৃষি উদ্যোক্তা আহসান হাবিব।তিনি গাছে রাসায়নিক সার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে পরিবেশ বান্ধব জৈব সার ব্যবহার করছে। এছাড়া আমগুলো রপ্তানীমুখী করার জন্য দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শাহীবাগ চৌধুরীপাড়ার বাগান মালিক তাজ রহমান টনি মিয়া জানান, আমার ২৬ বিঘার একটি বাগান আছে। এ বাগানে প্রচলিত জাতের আমের গাছ ছিল। বছরে মাত্র বছরে মাত্র ২ থেকে সোয়া ২ লাখ টাকা পাওয়া যেত।পরে বাগানের গাছ গুলো কেটে আম্রপালি, গৌড়মতি, কাটিমন জাতের আমের গাছ লাগানো হয়েছে।এখন নাবিজাতের আম চাষ করে  লাভোবান হচ্ছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান,গত বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আম উৎপাদন হয়েছে।বরেন্দ্র অঞ্চলে আমবাগান বাড়ছে। মূলত গৌড়মতি, যাদুভোগ, আম্রপালি, বারি-১১-সহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ লাগাচ্ছে। আমের বাগান করলে জমির মূল্য বাড়ে, বাগানে অন্যান্য ফসল করতে পারে। এছাড়া পরিবেশও ভালো থাকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুল ইসলাম জানান, জেলায় স্বল্পমেয়াদী বাগান গড়ে ওঠায় নতুন নতুন জাতগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। বড় গাছের বাগান করলে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে ছোট গাছে ফল আসে দুই তিন বছরে।’ কৃষকরা লিজ নিয়ে অল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে।

 

পৌরসভার ড্রেনের পানিতে দূষিত মহানন্দা

পৌরসভার ড্রেনের পানিতে দূষিত মহানন্দা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ঘেঁষে বয়ে চলেছে মহানন্দা।এ নদী শহরের প্রকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার আর গড় প্রস্থ ৪৬০ মিটার। কিন্তু শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী এই মহানন্দা নদী পৌরসভার ড্রেনের পানিতে এখন দূষণের কবলে। 

পৌর এলাকার সব পয়ঃনিস্কাশন ড্রেনের মুখ গিয়ে মিলেছে মহানন্দা নদীতে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পানি। পৌর এলাকার খালঘাট নামক স্থানটিকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার করত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। তবে কিছুদিন সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেললেও, আগের ময়লা আবর্জনার স্তুপের রয়ে গেছে। সে বর্জ্য গুলোতে থাকা পলেথিন গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পড়ে থাকা পলেথিন গুলো ঢাকতে কয়েক ট্রলি ফেলা হয়েছে মাটি। যে ভাবে মাটি রাখা হয়েছে, ওই ভাবেই আছে। দেখার যেন কেউ নেই।

খালঘাট এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ জানান, গত পাঁচ বছর ধরে এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলত পৌরসভা।পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়িতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ট্রাক শহরের ডাস্টবিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এখানে ফেলত। গত কয়েক মাস থেকে আর ফেলেনা। কিন্তু এখানে থাকা বর্জ্য গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।


ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে নদীর পানির টলটল করতো। নদীর পাশে বসবাস করা পরিবারগুলো নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগাত। এখন  নদীর পানির যে অবস্থা পানিবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। রোগ বালাইয়ের আশংকায় পানি সংগ্রহ করার তো দূরের কথা গোসলই করেনা মানুষ।

পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের বাসিন্দান ফাইজুর রহমান মানি। নদী দুষণের কারণ নিয়ে তার সাথে কথা বলার সময় পয়ঃনিস্কাশনের একটি ড্রেনের মুখ দেখিয়ে বলেন এই যে দেখেন, শহরের যত নোংরা পানি সব এসে পড়ছে নদীতে। এই পানি আমরা কিভাবে ব্যবহার করবো। এই পানিতে মল-মূত্রসহ কত কত জীবানু আছে। পাশ দিয়েই যেতেই নাকে দূর্গন্ধ লাগছে।

তিনি আরও বলেনে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সব ডেনের পানি মহানন্দায় গিয়ে পড়েছে। নদীর পাশের অনেক পৌর এলাকার বাসিন্দা ময়লা আবর্জনা পেলে রাখে। এমনিতেই নদীর গভিরতা কমে গেছে, গ্রীষ্ম মৌসুমে মহানন্দা হেটে পার হওয়া যায়।

সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবঞ্জ নামে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের সমন্বয়কারী (কো- অর্ডিনেটর) ফয়সাল মাহমুদ জানান, নদীর তীরকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এ নিয়েও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও করা হয়েছে। এমনিতেই নাব্যতা সংকটের কারণে নদীতে পানি কম। তার উপর নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। দূষনের কারণে মাছসহ জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ জানান, প্রায় দেড় শতাধিক কোটি টাকা ব্যায়ে মহানন্দায় নির্মাণ করা হচ্ছে রাবার ড্যাম। পৌরসভার পয়ঃনিস্কাশনের পানি যদি নদীতে পড়ে তাহলে ড্যাম্পিং করা পানি দুষিত হবে। এতে করে মাছসহ জলজ প্রানিসহ উদ্ভিদ প্রাণী গুলোর অস্থিত্বই থাকবেনা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।