চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা,দূর্লভপুর ও উজিরপুর সীমানা নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছেন উজিরপুর ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম। সীমানা বিরোধ নিষ্পতি না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচন না দেয়ারও আবেদন জানান তিনি।
এ মর্মে তিনি গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারী)
প্রধান নির্বাচন বরাবর একটি আবেদন প্রেরন করেছেন। সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিবগঞ্জ, সহকারী কমিশনার (ভুমি) শিবগঞ্জ উপজেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদনও করেন।
উজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলামের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো আবেদন সুত্রে জানা যায়, ১১নং ওয়ার্ড উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদটি সমৃদ্ধ জনপদ ছিলো। জনসংখ্যা ২৬০০০ (ছাব্বিশ হাজার)। ১৯৯৮ সাল হতে ২০০২ সাল পর্যন্ত চলমান পদ্মানদী ভাঙ্গনের ফলে উজিরপুর,পাকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের বিশাল অংশের ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়। নদী ভাঙ্গনের ফলে শুধু মাত্র উজিরপুর ইউনিয়নের তিন চতুর্থাংশ ৫০% বাসিন্দা পার্শ্ববতী পাঁকা দূর্লভপুর ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসবাস শুরু করে।
বিধ্বংশী নদী ভাঙ্গলের ফলে সীমানা বিলুপ্তি হয়ে বর্তমানে পাকা ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ড,দূর্লভপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড এবং ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সীমানা অনিশ্চিত ও বিরোধপূর্ণ রয়েছে। বর্তমানে তারা পূর্বের ওয়ার্ডের ভোটার। নতুন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই। সীমানা বিরোধ থাকার কারনে উক্ত ওয়ার্ডের ভোটারদের নাম হাল-নাগাদ ভোটার তালিকা থেকেও বাদ পড়েছে। সীমানা বিরোধ থাকায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সাংবিধানিক অধিকার।
সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি হলে অত্র সীটের নাগরিকরা তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাবেন এবং ঘোড়াপাখিয়া ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের অনেকদিনের সীমানা বিরোধ হতে মুক্তি পাবে। আবেদনে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করার আবেদন জানানো হয়েছে। উজিরপুরের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।