পঞ্চগড়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের সেবা সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার। রোগীদের পরিবহনের জন্য শিগগিরই রেলবহরে যুক্ত হবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা আর এর মাধ্যমে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মতো রোগীরা খুব সহজেই তাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন।
রোববার ( ২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে রেলবহরে কৃষিজাতসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের জন্য অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যান সংযোজন বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মত বিনিময়সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরোও বলেন, পণ্য পরিবহণের জন্য রেলবহরে অত্যাধুনিক ২০০ লাগেজ ভ্যান আমদানি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা প্রান্তিক এলাকা থেকে খুব সহজেই তাদের কৃষিজসহ বিভিন্ন পণ্য রেলে পরিবহন করতে পারবেন। এজন্য এজেন্ট নিয়োগ করা হবে। তাদের কাজ হবে পণ্যগুলো সঠিকভাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দেয়া।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সড়ক, নৌ, বিমান ও রেল পরিবহনকে সমানভাবে জনগণের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ রেলে খুব সাশ্রয় ও নিরাপদে মানুষ যাতায়াত করতে পারে। আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। তাই মানুষ সড়ক পথের চেয়ে এখন রেলে বেশি যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
আগামী ২৬ মার্চ চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুট দিয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে এবং ক্রমানয়ে ভারত নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে এই রুটেই রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে রেলপথে যোগাযোগ স্থাপন করার। শিগগিরই পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগ চালু হবে।
অংশীজন সভায় অন্যদের মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, রোলিংস্টোক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামসহ জেলার পণ্য বাজারজাতকরণ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।