গত এপ্রিলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছিল দেশে পরিপূর্ণ আইসিইউ ইউনিট রয়েছে মাত্র ১১২টি। গতকালের সরকারি হিসাবে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০টিতে। পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জামাদিও ছিলো না। অথচ বর্তমানে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সংখ্যা ৩৪১ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদির সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সংখ্যা ৫২৫টি, আরও কিছু ক্রয় প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, শিগগিরই চলে আসলে এর অভাব অনেকটাই দূর হবে। তবে, চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জামের সংখ্যা ক্রমে বাড়লেও জুলাই মাস থেকেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা কমে গেছে এমন একটি অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গত ছয় মাসেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসার পেছনে মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ইনকিলাবকে বলেন, স্বাস্থ্যখাতের সকলের প্রচেষ্টায় দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে। এখন দেশে গড়ে ২০ থেকে ২৫ জনের মৃত্যু ঘটছে। অথচ পাশ্ববর্তী ভারতে দৈনিক এক হাজার থেকে ১২শ’ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।
অপ্রিয় হলেও সত্য দুর্বল স্বাস্থ্য অবকাঠামোর পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্তে¡ও দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে তা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়।
বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলার সাফল্যের প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকও। করোনা নিয়ন্ত্রণে ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে অপরিচিত ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে ভ‚মিকা রেখেছেন তা সবার কাছে প্রশংসিত। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক কম। বিশ্বের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রদানকারী এ ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান অনুসারে, করোনায় বিশ্বব্যাপী গড় মৃত্যু হার ৪ শতাংশের বিপরীতে বাংলাদেশে এ হার মাত্র ১ দশমিক ৪১ শতাংশ
