Apr 24, 2022

শিগগির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট কাটবে

শিগগির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট কাটবে


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, আগামি জুনের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট কেটে যাবে। এ জন্য ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন ধাপে শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আরও দুই ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। কাজেই জুনের মধ্যে ৪৫ হাজার শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে; প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে আর শিক্ষক সংকট থাকবে না।

রেবাবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চাঁপাইনববাগঞ্জ পৌর এলাকার গনকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করার এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

জেলার ৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন এবং ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী বিস্কুটের (টিফিন) ব্যবস্থা করেছেন। যে সব স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখনও টিফিনে বিস্কুট পায়নি; ওই সব স্কুলে আগামি মাসের মধ্যে টিফিনের ব্যবস্থা করা হবে। করোনায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের হাজার টাকা করে কিডস অ্যালাউন্স দেয়া হয়েছে। প্রায় সব টাকা দেয়া শেষ। এখনও কিছু কারণে ৮শ কোটি টাকা দেয়া বাকি আছে। খুব শিগগির এসব টাকাগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সাজাতে শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে সোনার বাংলা বির্নিমানে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। দেশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হয়েছে, এখনও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীণ। এতো এতো শিক্ষার অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, শিক্ষার মান যেন তলানিতে না যায়।

শিক্ষকদেরে উদ্যেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের ভালো করে পড়া লিখা শিখাবেন। আপনাদের যে সব সমস্যা আছে, আমাদের জানাবেন। আমরা আপনাদের দাবিশুনে পূরণের চেষ্টা করবো।

জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, নারী সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, জেলা পুলিশ সুপার একেএম আব্দুর রকিব,  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও ইফফাত জাহানসহ আরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষাকাবৃন্দরা। পরে  প্রতিমন্ত্র্রী জাকির হোসেন বিদ্যালয়ে গাছে চারা রোপন করেন।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মামলায় অতিষ্ঠ ৩ পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মামলায় অতিষ্ঠ ৩ পরিবার


পরিবারিক ভাবেই নিকটাত্মীয় ৮ জন ব্যক্তি।তিনটি পরিবারকে মামলা দিয়ে গাহিল করতে ওই আটজন মিলেই আদালতে করেছেন ৪ মামলা। কিন্তু চার মামলার বাদিই ফের মামলা গুলোর সাক্ষি। আজব হলেও বাস্তব ৩০ বছর পূর্বে মারা যাওয়া ব্যক্তিতে করা হয়েছে সাক্ষি।

তিন পরিবারকে ফাঁসাতে মামলার আসামী করা হয়েছে; চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চর মাহনপুর দক্ষিন পাড়ার মৃত নৈয়মুদ্দিন মাস্টারের ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা, একই এলাকার মৃত বাক্কার মেম্বারের ছেলে কাবির, মৃত মুনসুর মাস্টারের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানসহ আরও ৪ জনকে। প্রথম মামলায় সুবিধা না পেয়ে একের পর এক মামলা ঠুকে ওই তিন পরিবারকে হয়রানী করছে ওই ৮ জনের সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা।

মামলার নথিপত্র ও অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে; প্রথম মামলার বাদি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চরমোহনপুর-জামাইপাড়া এলাকার আজহারের ছেলে মো. দুরুল। বাদি দুরুল এজাহারে বলেছেন, মামলার আসামি রেজাউল ইসলামকে তিনি ১০ লাখ টাকা, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে কাবির আর মিজানকে নগদে ৪০ লাখ এবং একটি বিকাশ মোবাইল নাম্বার থেকে ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন।

রেজাউল ইসলাম লিখিত ভাবে প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ দিয়ে বলেন, মামলার বাদী দুরুল একজন ভূমিহীন খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ। গত ৭-৮ বছর ধরে দুরুল সরকারি খাস জমিতে খড়ের ঘরে বসবাস করেন।দুরুল দিন মজুরের কাজ করে কোন রকমের সংসার চালান। পাওনা টাকা শোধ করতে না পারায় তার গাভিও নিয়ে চলে যায় ওই এলাকার তরিকুল ভোলা নামের এক ব্যক্তি। সে আমাদেরকে কেমন করে লাখ লাখ টাকা দিবে।”

রেজাউল বলেন, মামলার বাদি দুরুল এজহারে বলেছেন আসামী কবির আর মিজানকে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু যে হিসাব নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছে দুরুল, সে আমাদের কারোর নয়। ওই হিসাব নাম্বারটা এম আলী এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোহাব্বত আলী নামের এক ভদ্র লোকের। আমাদের সাথে মোহাব্বত আলীর কোন সম্পর্ক নেই।

রেজাউল আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি; মোহাব্বত আলী রাজশাহীতে জমি কিনতে টাকা  দুরুলকে ধার দিয়েছেন।এর প্রমাণ স্বরূপ তাকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি চেক দেয়াও হয়েছে। সেখানে কোথাও, কোনভাবে আমার, মিজান আর কাবিরের নাম নেই। অথচ তাদেরকে মামলার আসামী করা হয়েছে।

মামলার বাদি দুরুল এজাহারে উল্লেখ করেছেন; একটি বিকাশ নাম্বার থেকে আসামীদেরকে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে ওই বিকাশ নাম্বারটি জেলা সদরের রামচন্দ্রপুর হাট এলাকার আলেয়া বেগম নামের এক মহিলার। কিন্তু সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে ২০ লাখ টাকার লেনদেনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী রেজাউল, কাবির ও মিজানের কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এবং বিউটি, তার পিতা আনারুল ও মা সেমালী বেগমের এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদেরকে অভিযুক্তও করেন ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার বাদি দুরুল আদালতে এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নাখোশ হলে, ফের মামলাটি তদন্ত করতে আলাদন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে আদেশ দেন। এখনও মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

প্রথম মামলার ৮ মাস পর দ্বিতীয় মামলা করেন প্রথম মামলার সাক্ষি মাসুম। এই মামলায় তিনি রেজাউলকে বিউটির স্বামী হিসেবে উল্লেখ করেন। অথচ বিউটির স্বামী আরেক জন। রেজাউলের স্ত্রী একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসাতেই এমন তথ্য দেয়া হয়েছে দাবি রেজাউলের।

প্রথম মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও দ্বিতীয় মামলা করে ওই তিন পরিবার গুলোকে যখন হেনস্তা করা যাচ্ছেনা। ফের তখনিই মাসুমের ঘনিষ্ট বন্ধু রুবেল কোর্টে আরেকটি মামলা করেছেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী। অথচ এজাহারে রুবেল অভিযোগ করেছেন, তিনবারে আসামীদেরকে ৪০ লাখ টাকা জমি কেনা বাবদ দিয়েছেন। এই মামলার সাক্ষি দ্বিতীয় মামলার বাদি মাসুমও। মামলার ভার কম হওয়ায় ওই তিন পরিবারের জীবনকে দূর্বিষহ করতে আরেকটি মামলা ঠুকেন কৃষক কালাম। এ চার নং মামলার সাক্ষি হলেন, ২য় মামলার বাদি মাসুম আর প্রথম মামলার বাদির ছেলে আসমাউল।

এজাহারে কালামের অভিযোগ, আসামীদেরকে তিনি ১৩ লাখ টাকা ধার দিয়েছেন। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, সম্পর্কের খাতিরে তিনি প্রথম মামলার বাদি দুরুলকে টাকা ধার দিয়েছেন। টাকা ধার দিয়েছেন দুরুলকে, অথচ মামলা হয়েছে রেজাউল, কাবির ও মিজানের নামে।

এ বছরের ১৯ মার্চে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেস কাবে চার মামলার বাদিরা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে দাতা সংস্থার পরিচয়ে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা পায়য়ে দেয়ার নামে তারেকে কাছে থেকে ৪ কোটি টাকা নেন সংঘবদ্ধ চক্রের আসামিরা। পরে এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে ৪ টি মামলা দায়ের করেন তারা। ওই সম্মেলনে মামলার চার জন বাদিরা মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে একটি শালিশী বৈঠক বসে। এ সময় স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, বর্তমান কাউন্সিলর ইব্রাহিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম বলেন, এ ঘটনায় একটি শালিশী বৈঠক বসে। প্রথম মামলার দুরুল বিউটি নামের এক মহিলাকে ৭০ লাখ টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেন। পরে কাউন্সিলর দুরুলকে এ টাকা আয়ের উৎস জানতে জানতে চাইলে তিনি সঠিক অয়ের উৎসের কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

ওই কাউন্সিলর আরও জানান, ওই শালিশী বৈঠকে বিউটি উপস্থিত না হওয়ায় সেদিন কোন সুরাহা হয় নি।আমার জানা মতে এখনও ওই ঘটনা এমনই আছে ।

Mar 30, 2022

 চাঁপাইনবাবগঞ্জে ম্যাক্স হাসপাতালের ১ম বর্ষ পূর্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ম্যাক্স হাসপাতালের ১ম বর্ষ পূর্তি


‘সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা’ এ ব্রতকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ম্যাক্স হাসপাতালের ১ম বর্ষ পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দিনটিকে ঘিরে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। 

এমনকি ডাইলোসিস রোগীদেরও সেবা ফ্রি দেয়া হয়। আর দুপুর ১২ টা থেকে অতিথিদের আগমন ঘটে। এ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আতিথিয়েতায় মুগ্ধ হন আগত অতিথিরা। এ ধরনের অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। রোগীর সেবায় আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় জেলা শহরের মিস্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত ম্যাক্স হাসপাতালের ১ম বর্ষ পূর্তি সাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়। 

এ উপলক্ষে হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ গোলাম রাব্বানী, পরিচালক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইসমাইল হোসেন, পরিচালক শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহফুজুর রায়হান। অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ওমর ফারুক সরোওয়ার হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক তসলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রফিকুল আলম, জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাহিদ ইসলাম মুন, ডাঃ সাইফ জামান আনন্দ। পরে, অতিথি, চিকিৎসক, নার্স, পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কেক কাটা এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়

শিবগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

শিবগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা


 চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের পুখুরিয়া এলাকায় ট্রাক, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১৮টি মামলায় ২০ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে উপজেলার কানসাট পুখুরিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ভ্রামমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল-রাব্বি। 

তিনি জানান, ট্রাক, ট্রাক্টর, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালকরা মহাসড়কে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যান চলাচল করে আসছিল-এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে পুখুরিয়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন মহাসড়কে ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনা করে সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ ধারায় ১৮টি মামলায় ২০ হাজার ৫'শ  টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে ভবিষতে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত এক মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনে স্কুলছাত্রীসহ প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের




চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেছেন, রমজান মাসে জেলার বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবে না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। তারা জেলার বাজারের পণ্যগুলো দাম না বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও ব্যবাসায়ীরা যদি বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারীকি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ডিসি গালিভ।

ডিসি আরও বলেছেন, জেলায় বাজার মনিটরিং টিম রয়েছে। ওই বাজার মনিটরিং টিম সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছে। তেল, ডাল, চালের দাম আগের থেকে কিছুটা দাম কমেছে। এছাড়াও যদি কোন ব্যবসায়ী গোডাউনে তেল, চাল, ডাল, চিনি, মজুদ রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন। কৃষকদের জমিতে দেয়া সার অনেক কিটনাষক ব্যবসায়ী মজুদ রেখেছে বলে খবর পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হোদা অলক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, সাংবাদিক তোসলিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ, আজিজুর রহমান শিশির, কামাল সুকরানা, মেহেদী হাসান শিয়াম, ফারুক আহম্মেদ, টুটুল রবিউলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Mar 20, 2022

 চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন ডে পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন ডে পালিত


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়ালটন ডে পালিত হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) সকালে জেলা শহরের শিবতলা এলাকায় ওয়ালটনের ডিলার আঃ রাকিবের উদ্যোগে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান, সমাজ সেবক ও সাংবাদিক মুনিরুল ইসলামসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এ দিবসটি উপলক্ষে জেলা সদরের শিবতলা থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে একটি র‍্যালী প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালী শেষে কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

 

Mar 18, 2022

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিষ্ফরোণে আহত

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিষ্ফরোণে আহত


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের একটি আম বাগানে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে রিমন ওরফে ইমন (১১) নামের এক স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশের আম বাগানে একটি আমবাগানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহত স্কুল ছাত্র শিবগঞ্জ পৌর চতুরপুর মহল্লার আনারুল ইসলামের ছেলে। সে আলীডাঙা জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

আহত রিমনের মা শিউলি বেগম জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে রিমন ও তার ছোট ভাই ইকবাল শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশের আমবাগানে গাছের পাতা কুড়াতে যায়। এ সময় রিমন একটি লাল রঙের একটি কোটা দেখতে পাই। ওই বস্তুটিকে পা দিয়ে নাড়ানোর সময়, বস্তুটি (ককটেল) বিকট শব্দে বিষ্ফরিত হয়। এ সময় তার বাম চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জ্ন্মবার্ষীকি ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা তাতিঁলীগ ও উপজেলা আ.লীগের একই স্থলে সমাবেশ ডাকে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটার শঙ্কায় শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামসহ আশপাশের এলাকায় সকল ধরণের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে উপজেলা প্রশাসন।

আমের রাজ্যে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা

আমের রাজ্যে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা




আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আমের রাজধানীতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। গত বছরের ক্ষতি পুষিতে নিতে এবার আম গাছের পরিচর্যায় বেশ মনযোগী হয়েছেন বাগান মালিকরা। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও পেয়েছে নতুন কর্মস্থল। তারাও নতুন কর্মস্থল পেয়ে আনন্দিত। বাগান মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া মজুরি দিয়ে সংসারের দুঃখ দূর হবে বলে আশাবাদী শ্রমিকরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সুত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে আম ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘায় মোট ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ টি আম গাছ চাষাবাদ হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এ মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ হাজার ৪৭০ দশমিক ৫ বিঘা, শিবগঞ্জে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ দশমিক ৫ বিঘা, গোমস্তাপুরে ৩১ হাজার ৫২৩ দশমিক ৪ বিঘা, নাচেলের ২৮ হাজার ২৭৩ দশমিক ৯৫ বিঘা, ভোলাহাট উপজেলায় ২৭হাজার ৩৪০ দশমিক ২ বিঘা জমিতে আম গাছ চাষাবাদ হচ্ছে।

সদর উপজেলার ইসলামপুরে ২৪ বিঘার একটি বাগান কিনেছেন মুনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গত বারের চেয়ে এবার আম উৎপাদনের জন্য দিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। গতবছরে জলবায়ুর কারণে আমের মুকুল ফুটার সময় বৃষ্টি হয় নি। এছাড়াও করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে অন্য জেলার ব্যাপারীরা আম কিনতে আসতে পারেনি। ফলে আমের মৌসুমের প্রথম দিকে আমের দাম পাওয়া যায়নি। অনেক লোকসান হয়েছে। এবার করোনার মধ্যে আমের বাজারদর যেন না কমে এদিক দিয়ে আম সংশ্লিষ্টরা খেয়াল রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিবগঞ্জের আরেক আম বাগানি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারের মৌসুমের প্রথম দিক থেকে আবহাওয়া ভালো আছে। ফলে গতবারের চেয়ে এবার আম ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।  আমের ফলন ভালো হলে গত বছরের লোকসানের টাকা গুলো এবার পুষিয়ে নেয়া যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ  সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় একটি বাগানে আমের গাছে কিটনাষক প্রয়োগ করছিলেন সাইফুল, গোলাম রাব্বানি, সোহেল, আব্দুল আজিম। তারা জানান, করোনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কাজ ছিলোনা, ধার দেনা করে আমাদের সংসার চালাতে হয়েছে। এমন কী বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে সংসারে ব্যয় করতে হয়েছে। এখন আমরা কাজ পেয়েছি। প্রত্যেকেই প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করি। সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন কাজ থাকে। এমন করে কাজের গতি চলতে থাকলে, ধার আর লোনের টাকা গুলো শোধ করা যাবে। তবেইতো নিতে পারবো স্বস্থির নিঃশ্বাস।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, বর্তমানে আমের গাছগুলো শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মুকুল এসেছে। এবারের মৌসুমে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন। আবহওয়া ভালো থাকায় আমের ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদি এ কর্মকতা।

আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুল ইসলাম বলেন, চলচি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তিন চার ধরে মেঘলা আবহওয়া ছিল। এ সময়ে যে সব মুকুল ফুটেছিলো সেগুলো ঝরে যাওয়ার শঙ্কা ছিলো। কিন্তু পরে আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হয়নি। তবে যে সব গাছে আগাম মুকুল এসেছিল, ওইসব কিছু কিছু গাছের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি আরও বলেছেন, এ সময়ে গাছের সঠিক পরিচর্যা না নিলে, আম গাছে ছত্রাক ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। কৃষকরা যদি গাছে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে তাহলে এ ভারসাস থেকে পরিত্রাণ পাবে।

 

Mar 15, 2022

আম চাষিদের ঘন বাগানে ঝোঁক

আম চাষিদের ঘন বাগানে ঝোঁক




চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রতি বছরই বাড়ছে আম বাগান।শুধু বদলে গেছে আম বাগানের ধরন। প্রচলিত বড় গাছের আম বাগানের স্থান দখল করছে, ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।জেলার চাষিদের এখন আগ্রহ আম্রপালি, বারি-১১, বারি-৪, গৌড়মতি, কার্টিমন এ ৫ জাতের দিকে।এতে পুরাতন জাত ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, আসিনা, গুটি এসব জাতের নতুন বাগান গড়ে উঠছে না।

জেলা কৃষি অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে আম বাগানের জমি ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ বিঘা। আর গত দশ বছরে জেলায় ৮৫ হাজার ৫৯১ বিঘা জমির আম বাগান বেড়েছে।এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বেড়ে উঠেছে ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।কম সময়ে লাভবান হওয়ার আসায় চাষিরা ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, আসিনা আমের পরিবর্তে লাগাচ্ছেন উচ্চ-ফলনশীল জাত।

জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাবি জাতের আম চাষ হয় শিবগঞ্জে। ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপরেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শামিম খান।তিনি জানান, প্রায় সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গৌড়মতি আর আম্রপালি এ দুই জাতের আম চাষাবাদ করছি।এরমধ্যে ৪ বিঘা জমিতে লাগোনো হয়েছে ১ হাজার আম্রপালির গাছ।গাছ গুলো লাগানোর প্রায় দুই বছরের মাথায় ফল আসবে। এছাড়াও বাকি জমিতে ৫০০ টি আম্রপালির গাছ লাগানো হয়েছে।প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আসবে ফলন।একটি গাছ থেকে আরেকটির দূরত্ব প্রায় ৬-৭ ফুট।

শামিম খান বলেন, ফজলি, আসিনা, ক্ষিরশাপাত, ন্যাংড়া আমের চাষ করে, তেমন লাভবান হওয়া যায় না। এতে করে পুঁজির টাকা পকেটে উঠাতেই হিমশিম খেতে হয়। কম সময়ে লাভবানের আশায় উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোর বাগানই বাড়ছে।গাছ ছোট হওয়ায় পরিচর্যা থেকে শুরু করে আম নামানো সহজ হয়।অন্যদিকে কম জায়গায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।

আম চাষি সাইদুল রহমান তার জমিতে গড়ে তুলেছেন বারি-১১, বারি-৪ এ দু জাতের আম বাগান।  তিনি জানান,গত কয়েক বছর থেকে আমের দাম সে ভাবে পাইনি।কয়েক জনের মুখে শুনে এ জাতের আমের গাছ লাগিয়েছি ৪ বিঘা।আশা করছি লাভবান হবো। তিনি আরও জানালেন, প্রচলিত জাতের আম গাছ থেকে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ৭-৮ বছর। আর উচ্চ ফলনশীল আমগাছ অধিক পরিমাণে ঘন করে লাগানো যায়। এ ছাড়া দুই বছরেই ফল পাওয়া যায়।এসব কারনেই এ ধরনের বাগানের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আম চাষিরা।

৭ বিঘার বাগানে ৮০০ আম্রপালি আমগাছ লাগিয়েছে কৃষি উদ্যোক্তা আহসান হাবিব।তিনি গাছে রাসায়নিক সার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে পরিবেশ বান্ধব জৈব সার ব্যবহার করছে। এছাড়া আমগুলো রপ্তানীমুখী করার জন্য দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শাহীবাগ চৌধুরীপাড়ার বাগান মালিক তাজ রহমান টনি মিয়া জানান, আমার ২৬ বিঘার একটি বাগান আছে। এ বাগানে প্রচলিত জাতের আমের গাছ ছিল। বছরে মাত্র বছরে মাত্র ২ থেকে সোয়া ২ লাখ টাকা পাওয়া যেত।পরে বাগানের গাছ গুলো কেটে আম্রপালি, গৌড়মতি, কাটিমন জাতের আমের গাছ লাগানো হয়েছে।এখন নাবিজাতের আম চাষ করে  লাভোবান হচ্ছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান,গত বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আম উৎপাদন হয়েছে।বরেন্দ্র অঞ্চলে আমবাগান বাড়ছে। মূলত গৌড়মতি, যাদুভোগ, আম্রপালি, বারি-১১-সহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ লাগাচ্ছে। আমের বাগান করলে জমির মূল্য বাড়ে, বাগানে অন্যান্য ফসল করতে পারে। এছাড়া পরিবেশও ভালো থাকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুল ইসলাম জানান, জেলায় স্বল্পমেয়াদী বাগান গড়ে ওঠায় নতুন নতুন জাতগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। বড় গাছের বাগান করলে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে ছোট গাছে ফল আসে দুই তিন বছরে।’ কৃষকরা লিজ নিয়ে অল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে।

 

তবুও সুখী মর্জিনা খালা

তবুও সুখী মর্জিনা খালা





ষাটোর্ধ্ব একজন মর্জিমা খালা। রেল স্টেশনের বস্তির বাসিন্দা তিনি। রেলস্টেশন পাড়াতে বসায় ঝালের আসর। ঝালের সাথে থাকে কালাইয়ের রুটি। দূর-দুরান্ত থেকে ঝালের সাথে কালাইয়ের রুটি খেতে আসেন অনেক জন।

একদিন রাতে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে রুটি বানাতে দেখা যায়। গাছ তলায় দুটো বেঞ্চে বসে ছিল কয়েকজন ঝাল প্রেমি মানুষ। মানুষগুলোও বেশ মচমচ করে খাচ্ছিল কালাইয়ের রুটি আর লবণ ও মরিচ বাটার ঝাল।

তীব্র শীতের রাতে রুটি বানানোর কারণ জানতে চাইলে মর্জিনা খালা বলেন, প্রায় ২০ বছর পূর্বে  স্বামী তোসলিম হোসেনকে হারাই। পরে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলাম। বাড়িতে কামাই করার মতোন আর কেউ নাই। তখন রাতে রুটি বানাই। আর বিক্রি করি। এখান থেকে যা টাকা আয় হয়। এ টাকা দিয়েই সংসার চালাই। 

বাড়িতে ছেলে মেয়ে আছে কিনা জানতে চাইলে মর্জিনা খালা প্রশ্নোত্তরে বলেন,  দুই ছেলে আর এক মেয়ে আছে আমার। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় শুশুর বাড়িতে থাকে। আর দুটা ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সালেক প্রতিবন্ধী। আর ছোট ছেলে রাজু বেকার বললেই চলে। আমার ছোট ছেলেটা কখন রিক্সা চালায়, কখনও বারো ভাজা, বাদাম বিক্রি করে। কিন্তু তার এখন আর বেচা বিক্রি নাই। সব মিলিয়ে আমাকেই সংসার চালাতে হয়। ছোট ছেলে ব্যবসার জন্য কিস্তি তুলেছিলো। ওর এখন বেচা বিক্রি না থাকায় রুটি বেচেই তার কিস্তির টাকা শোধ করি।

মর্জিনা খালা আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ফুটপাতে দুটা রুটি বেচেই খাই। যেখানে এখন বাস করছি জামিটা রেলের। হয়তো সেখানকার বাড়িগুলো রেলের লোকজন উঠিয়ে দিবে। কিন্তু থাকার জায়গা তো নাই। কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো। এ ভেবেই দিন পার করছি। আশপাশে কোন সরকারি ঘর পেলে সেখানে উঠবো। আর এখানে এসে রুটি বিক্রি করবো। তাহলে সংসারটা চালাতে পারবো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা ফাইজুর রহমান মানি। তিনি একটি রুটি খেয়ে খালাকে আরেকটি রুটির অর্ডার দেন। খালার বানানো রুটি খেতে কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবসর পেলেই এখানে রুটি খেতে আসি। রুটির দাম ২০ টাকা হলেও স্বাদটা অনেক। বিশেষ করে লবণ আর মরিচ বেটে তিনি যে ঝালটা বানান তা কিন্তু বেশ স্বাদের। 

ওহেদুজ্জামান নামের একজন জানান, জেলা শহরের মধ্যে সব জায়গার কালাইয়ের রুটির স্বাদ নেয়া আছে। কিন্তু মর্জিনা খালার বানানো রুটি আর ঝাল বেশ মজাদার। তিনি রাতে রুটি বানান। সারাদিন কাজ শেষ করে প্রায় সম এখানে চলে আসি রুটি আর ঝাল খেতে।

 

মারামারি ছুটাতে গিয়ে প্রাণ হারাল বৃদ্ধ

মারামারি ছুটাতে গিয়ে প্রাণ হারাল বৃদ্ধ


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মারামারি ছুটাতে গিয়ে মজনু আলী (৬৫) নামের এক জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (১৪ মাচ) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর ঝাংড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের হোসেন বলেছেন, সজনে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারি সংগঠিত হওয়া, মারামারি ছুটাতে গিয়ে মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মজনুর মৃত্যু হয়েছে।এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।

 প্রত্যক্ষদশী  আহসান হাবিব জানান, সকালে বাড়ির পাশে থাকা সজনে গাছের ডাল কাটার ঘটনায় দুই প্রতিবেশী দানেস ও কায়েশের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর‌যায়ে তারা রড ও লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে আঘাত করতে থাকে।এ সময় তাদের ফুফা মজনু মারামারি  ছুটাতে গিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগলে গুরতর আহত হয়। এবং ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।

শাহবাজপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, সোহেল ও দানেশের পরিবার খুব নিকটবর্তী আত্মীয়। কিন্তু একে অপরের পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে মিল ছিলনা। এর আগেও সীমানা নিয়ে একাধিক সালিস হয়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করেছে।ঘটনার প্রকৃত কারন অনুসন্ধান শেষে দায়ীদেও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

   ৩০ বছরের রাস্তা হঠাৎ বন্ধের ঘোষণা

৩০ বছরের রাস্তা হঠাৎ বন্ধের ঘোষণা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৫ এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের বসবাস।কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে তারা চলাচল করেন, সে রাস্তার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে রেল কতৃপক্ষ।ওই রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলাচলের বাঁধা প্রদান করার জন্য ব্লক ফেলা হয়েছে। রেল কতৃপক্ষের দাবি রেল লাইনের পাশের রাস্তা অরক্ষিত।যখন তখন ঘটতে পারে হতাহতের ঘটনা।





রোববার (১৩ মার্চ) বেলা ১১ টায় এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বিদিরপুর মোড়ে এলাকাবাসির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পৌর এলাকার আলীনগর মোড় থেকে মাহাডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত রেল লাইনের পাশ দিয়ে একাট রাস্তা নির্মাণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা।সেই রাস্তা ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আলীনগর, গনকা, মহাডাঙ্গা, মিলিক এলাকার বাসিন্দারা চলাচল করেন।এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় তারা খুব সহজেই গন্তবে পৌঁছাতে পারে।এ রাস্তা দিয়ে আতাহারের রাইস মিল থেকে অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু রেল কতৃপক্ষ রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।আগে আমাদের বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে দেন, পরে রাস্তা বন্ধ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজনিন ফাতেসা জিনিয়াসহ ১ ও ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আহমেদ রঞ্জু ও রাজু আহমেদ।তারা রেল কতৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা হঠাৎ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।আপনারা রাস্তা বন্ধ করে দিলে মানুষ কিভাবে যাতায়াত করবে।এসব এলাকার মানুষদের জন্য কোন বিকল্প রাস্তা নেই।রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে আগামিতে কঠোর কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবে এলাকাবাসি।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ৩ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ছাত্র নেতা শাহনেয়াজ দুলাল, নয়ন, কামাল হোসেন, জুবায়ের আহমেদ দেলোয়ার, মেহেদী হাসান, মহিলা নেত্রী আদরী বেগম, শারমীন আক্তারসহ এলাকাবসিবৃন্দ।মানবন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন মানবন্ধনের আয়োজকরা।

রেল লাইনের ধারের রাস্তায় বল্ক ফেললো কে এ বিষয়ে রাজশাহীর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

পৌরসভার ড্রেনের পানিতে দূষিত মহানন্দা

পৌরসভার ড্রেনের পানিতে দূষিত মহানন্দা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ঘেঁষে বয়ে চলেছে মহানন্দা।এ নদী শহরের প্রকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার আর গড় প্রস্থ ৪৬০ মিটার। কিন্তু শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী এই মহানন্দা নদী পৌরসভার ড্রেনের পানিতে এখন দূষণের কবলে। 

পৌর এলাকার সব পয়ঃনিস্কাশন ড্রেনের মুখ গিয়ে মিলেছে মহানন্দা নদীতে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পানি। পৌর এলাকার খালঘাট নামক স্থানটিকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার করত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। তবে কিছুদিন সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেললেও, আগের ময়লা আবর্জনার স্তুপের রয়ে গেছে। সে বর্জ্য গুলোতে থাকা পলেথিন গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পড়ে থাকা পলেথিন গুলো ঢাকতে কয়েক ট্রলি ফেলা হয়েছে মাটি। যে ভাবে মাটি রাখা হয়েছে, ওই ভাবেই আছে। দেখার যেন কেউ নেই।

খালঘাট এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ জানান, গত পাঁচ বছর ধরে এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলত পৌরসভা।পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়িতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ট্রাক শহরের ডাস্টবিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এখানে ফেলত। গত কয়েক মাস থেকে আর ফেলেনা। কিন্তু এখানে থাকা বর্জ্য গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।


ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে নদীর পানির টলটল করতো। নদীর পাশে বসবাস করা পরিবারগুলো নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগাত। এখন  নদীর পানির যে অবস্থা পানিবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। রোগ বালাইয়ের আশংকায় পানি সংগ্রহ করার তো দূরের কথা গোসলই করেনা মানুষ।

পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের বাসিন্দান ফাইজুর রহমান মানি। নদী দুষণের কারণ নিয়ে তার সাথে কথা বলার সময় পয়ঃনিস্কাশনের একটি ড্রেনের মুখ দেখিয়ে বলেন এই যে দেখেন, শহরের যত নোংরা পানি সব এসে পড়ছে নদীতে। এই পানি আমরা কিভাবে ব্যবহার করবো। এই পানিতে মল-মূত্রসহ কত কত জীবানু আছে। পাশ দিয়েই যেতেই নাকে দূর্গন্ধ লাগছে।

তিনি আরও বলেনে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সব ডেনের পানি মহানন্দায় গিয়ে পড়েছে। নদীর পাশের অনেক পৌর এলাকার বাসিন্দা ময়লা আবর্জনা পেলে রাখে। এমনিতেই নদীর গভিরতা কমে গেছে, গ্রীষ্ম মৌসুমে মহানন্দা হেটে পার হওয়া যায়।

সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবঞ্জ নামে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের সমন্বয়কারী (কো- অর্ডিনেটর) ফয়সাল মাহমুদ জানান, নদীর তীরকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এ নিয়েও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও করা হয়েছে। এমনিতেই নাব্যতা সংকটের কারণে নদীতে পানি কম। তার উপর নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। দূষনের কারণে মাছসহ জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ জানান, প্রায় দেড় শতাধিক কোটি টাকা ব্যায়ে মহানন্দায় নির্মাণ করা হচ্ছে রাবার ড্যাম। পৌরসভার পয়ঃনিস্কাশনের পানি যদি নদীতে পড়ে তাহলে ড্যাম্পিং করা পানি দুষিত হবে। এতে করে মাছসহ জলজ প্রানিসহ উদ্ভিদ প্রাণী গুলোর অস্থিত্বই থাকবেনা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সত্য প্রকাশে আপোষহীন থাকবে বাংলাদেশ প্রতিদিন

সত্য প্রকাশে আপোষহীন থাকবে বাংলাদেশ প্রতিদিন


চাঁপাইনবাবগঞ্জে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।

দৈনিক বাংলদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি বীর মুত্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ।


আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন একটি বহুল প্রচলিত পত্রিকা। পত্রিকাটি স্বপ্ন টাকায় সারাদেশের সংবাদ ও বিনোদন পাওয়া যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য প্রকাশে আপোষহীন থাকে। আগামিতেও সত্য ন্যয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপোষহীন থাকবে। এ সময়ে বক্তারা পত্রিকাটির আগামীর সাফল্য আর উত্তরোত্তর কামনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নামো শংকরবাটি উচ্চ বিদ্যায়লের প্রধান শিক্ষক আসলাম কবির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হুদা অলক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাফরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (২) ও দৈনিক চাঁপাই দর্পণের সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল সুকরানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুর রেজা ইমন, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফায়জার রহমান কনক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরমানসহ অনান্যরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১


চাঁপাইনবাবগঞ্জ- সোনামসজিদ মহাসড়কের রানিহাটি বাজারে ট্রলির সাথে বাসের ধাক্কায় ট্রলির চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ট্রলির সহকারী শিবগঞ্জ উপজেলার চককির্ওী ইউনিয়নের রানীবাড়ি চাঁদপুর গ্রামের মোঃ আজাহার আলির ছেলে মোঃ আলমাস (১৮)।

স্থানীয় সুত্র ও শিবগঞ্জ থানার ওসি ( তদন্ত) আসাদ আহম্মেদ জানান, সকাল ৭টার দিকে একটি ট্রলি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানিহাটি বাজারে শিবগঞ্জগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে, এতে ট্রলির হেলপার গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার  আলমাস কে মৃত ঘোষণা করে।এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় আইনগত  ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।

 

পাউবোর রাজস্ব কর্মকর্তাকে মারধর

পাউবোর রাজস্ব কর্মকর্তাকে মারধর


বাপাউবোর (বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড) সরকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল রানার ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গরবার (১৫ মার্চ) বেলা ১২টায় জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর এর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় মঙ্গরবার সকালে দুই জন ঠিকাদারকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় একটি এজহার দায়ের করেন সোহেল রানা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গতকাল (১৪ মার্চ) সোমবার বিকেলে শিবগঞ্জের ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের চামাগ্রাম এলাকায় পাগলা নদীর তীরে  নিলামে বিক্রি করা বালি মাটিগুলো ঠিকাদার আকরাম খান সোহেল ও মোহাম্মদ রানুকে সঠিক নিয়মে মেপে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল রানা।

সরকারী নিয়মে মাপ পছন্দ না হওয়ায়, সোহেল কে তার কাজ করতে বাধা প্রদান করে ওই দুইজন ঠিকাদার।তাদের বাধা না মানায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এ সময় ওই রাজস্ব কর্মকর্তা গুরতর জখম হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, কঠোর কর্মসুচিতে দিবে পাউবোর কর্মকর্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান সুজন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম, সহকারি প্রকৌশলী পার্থ সরকার, উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার, উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন, উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ শরীফ, শফিউল আলম, চাঁন মিয়া ও আব্দুর রহমানসহ অনান্যরা।

 

 

Mar 8, 2022

পিআইওর বিরুদ্ধে চালের টাকা আত্মসাতের  অভিযোগ

পিআইওর বিরুদ্ধে চালের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলমের বিরুদ্ধে চাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোলাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বজরাটেক এলাকা দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর পাড়ে পর্যটন এলাকায় মাটি ভরাট করার জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের (১ম পর্যায়) ৯ দশমিক ১১৪১ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ করেন উপজেলা কমিটি। গত বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখে ওই পর্যটন এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। 

২২ ডিসেম্বর প্রকল্প কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার মাত্র ৫০ হাজার টাকা শাহনাজকে প্রদান করেন। আর কাউসার বলেন, আপনাকে না জানিয়ে চাল বিক্রি করেছি। আমি দুঃখিত। পার্বতীতে আর এমন কাজ হবেনা বলেও জানায় পিআইও কাউসার।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন জানান, আমাকে না জানিয়ে এ প্রকল্পের সভাপতি আলেয়া বেগমের কাছে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন পিআইও কাউসার। পরে একাধিক সুত্র থেকে জানতে পারি যে ওই ৯ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন ওই পিআইও। ৯ মেট্টিক টন চাল বিক্রি করে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা পেলেও আমাকে দিয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। বাকি টাকা আমায় দেয়নি।

কাউসারের এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধ প্রতিবাদ করতে গেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হয়রানি করারও প্রমাণ আছে বলেও জানায় শাহনাজ।

অভিযুক্ত পিআইও কাউসার আলম সরকার জানান, আমি ওই সব প্রকল্পের টাকার কথা জানিনা। ওই প্রকল্পের সভাপতি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ডিসি বরাবর যদি অভিযোগ হয়, তাহলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।

গোহালবাড়ি ইউনিয়ে মহিলা কাউন্সিল ও ওই প্রকল্পের সভাপতি আলেয়া বেগম জানান, আমি এ বিষয়েই কিছুই জানিনা বলে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

ভোলাহাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম জানান, আমি দুই হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

Mar 5, 2022

সড়ক দুর্ঘটনায়  এস আই নুর নিহত

সড়ক দুর্ঘটনায় এস আই নুর নিহত

গোদাগাড়ী উপজেলা প্রতিনিধিঃ


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার এস আই নুর ইসলামের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোদাগাড়ী-আমনূরা সড়কের বিশ্বনাথপুর কাজীপাড়া এলাকায় সড়কের পাশে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত নুর ইসলামের বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়।

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম জানান, সড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

রাস্তার পাশে এসআই নূর ইসলামের মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তার হেলমেটটি ভাঙা পাওয়া যায়। পুলিশ ধারণা করছে, কোনো গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এসআই নূর ইসলাম গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। ফলে হেলমেট ভেঙে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।

তবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাবে বলে জানান ওসি কামরুল।


Feb 27, 2022

গ্রামীণ ট্রাভেলসকে জরিমানা

গ্রামীণ ট্রাভেলসকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে ঢাকাগামী গ্রামীণ ট্রাভেলস এর একটি বাসকে জরিমানা করেছে বিআরটিএ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার দুপুরে শহরের অক্ট্রয়মোড়ে গ্রামীণ ট্রাভেলস এর বাসটিকে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭৮৮৯) আট হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরীফ।


জানা যায়, গ্রামীণ ট্রাভেলস এর বাসটির (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭৮৮৯) ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন এবং রুট পারমিট মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার কারণে জরিমানা করা হয়।

বাসটির  সুপার ভাইজার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা স্ট্যান্ডে যাত্রী উঠানোর জন্য গাড়ীটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অক্ট্রয় মোড়ে বাসটির কাগজপত্র চেক করে বিআরটিএ'র ভ্রাম্যমান আদালত। ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন এবং রুট পারমিট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় আট হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

এসময় বিআরটিএ'র মটর পরিদর্শক শাহজামান এবং পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।

Feb 24, 2022

ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ কমেন্টঃ থানায় এজাহার

ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ কমেন্টঃ থানায় এজাহার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ


ফেসবুকে স্ট্যাটাসে কুরুচিপুর্ণ ও মানহানীকর মন্তব্য করার দায়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে ভোলাহাট থানায় এজাহার দিয়েছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন। বুধবার স্বশরীরে থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার করেন শাহনাজ খাতুন।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শাহনাজ খাতুন তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্টাটাসে ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ যুবক আপত্তিকর মন্তব্য করেন। যার ফলে সমাজে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুনের মানহানি হয়েছে এবং এরফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই তিনি থানায় এজাহার দিয়েছেন।

আপত্তিকর মন্তব্যকারী যুবক নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বেলডাঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম গোমার ছেলে সাদিকুল ইসলাম (৩৫)।

ভোলাহাট থানার ওসি মাহবুব জানান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।