Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

Mar 30, 2022

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের




চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেছেন, রমজান মাসে জেলার বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবে না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। তারা জেলার বাজারের পণ্যগুলো দাম না বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও ব্যবাসায়ীরা যদি বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারীকি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ডিসি গালিভ।

ডিসি আরও বলেছেন, জেলায় বাজার মনিটরিং টিম রয়েছে। ওই বাজার মনিটরিং টিম সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছে। তেল, ডাল, চালের দাম আগের থেকে কিছুটা দাম কমেছে। এছাড়াও যদি কোন ব্যবসায়ী গোডাউনে তেল, চাল, ডাল, চিনি, মজুদ রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন। কৃষকদের জমিতে দেয়া সার অনেক কিটনাষক ব্যবসায়ী মজুদ রেখেছে বলে খবর পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হোদা অলক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, সাংবাদিক তোসলিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ, আজিজুর রহমান শিশির, কামাল সুকরানা, মেহেদী হাসান শিয়াম, ফারুক আহম্মেদ, টুটুল রবিউলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Mar 20, 2022

 চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন ডে পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন ডে পালিত


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়ালটন ডে পালিত হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) সকালে জেলা শহরের শিবতলা এলাকায় ওয়ালটনের ডিলার আঃ রাকিবের উদ্যোগে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান, সমাজ সেবক ও সাংবাদিক মুনিরুল ইসলামসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এ দিবসটি উপলক্ষে জেলা সদরের শিবতলা থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে একটি র‍্যালী প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালী শেষে কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

 

Mar 18, 2022

আমের রাজ্যে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা

আমের রাজ্যে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা




আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আমের রাজধানীতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। গত বছরের ক্ষতি পুষিতে নিতে এবার আম গাছের পরিচর্যায় বেশ মনযোগী হয়েছেন বাগান মালিকরা। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও পেয়েছে নতুন কর্মস্থল। তারাও নতুন কর্মস্থল পেয়ে আনন্দিত। বাগান মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া মজুরি দিয়ে সংসারের দুঃখ দূর হবে বলে আশাবাদী শ্রমিকরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সুত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে আম ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘায় মোট ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ টি আম গাছ চাষাবাদ হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এ মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ হাজার ৪৭০ দশমিক ৫ বিঘা, শিবগঞ্জে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ দশমিক ৫ বিঘা, গোমস্তাপুরে ৩১ হাজার ৫২৩ দশমিক ৪ বিঘা, নাচেলের ২৮ হাজার ২৭৩ দশমিক ৯৫ বিঘা, ভোলাহাট উপজেলায় ২৭হাজার ৩৪০ দশমিক ২ বিঘা জমিতে আম গাছ চাষাবাদ হচ্ছে।

সদর উপজেলার ইসলামপুরে ২৪ বিঘার একটি বাগান কিনেছেন মুনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গত বারের চেয়ে এবার আম উৎপাদনের জন্য দিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। গতবছরে জলবায়ুর কারণে আমের মুকুল ফুটার সময় বৃষ্টি হয় নি। এছাড়াও করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে অন্য জেলার ব্যাপারীরা আম কিনতে আসতে পারেনি। ফলে আমের মৌসুমের প্রথম দিকে আমের দাম পাওয়া যায়নি। অনেক লোকসান হয়েছে। এবার করোনার মধ্যে আমের বাজারদর যেন না কমে এদিক দিয়ে আম সংশ্লিষ্টরা খেয়াল রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিবগঞ্জের আরেক আম বাগানি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারের মৌসুমের প্রথম দিক থেকে আবহাওয়া ভালো আছে। ফলে গতবারের চেয়ে এবার আম ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।  আমের ফলন ভালো হলে গত বছরের লোকসানের টাকা গুলো এবার পুষিয়ে নেয়া যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ  সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় একটি বাগানে আমের গাছে কিটনাষক প্রয়োগ করছিলেন সাইফুল, গোলাম রাব্বানি, সোহেল, আব্দুল আজিম। তারা জানান, করোনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কাজ ছিলোনা, ধার দেনা করে আমাদের সংসার চালাতে হয়েছে। এমন কী বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে সংসারে ব্যয় করতে হয়েছে। এখন আমরা কাজ পেয়েছি। প্রত্যেকেই প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করি। সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন কাজ থাকে। এমন করে কাজের গতি চলতে থাকলে, ধার আর লোনের টাকা গুলো শোধ করা যাবে। তবেইতো নিতে পারবো স্বস্থির নিঃশ্বাস।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, বর্তমানে আমের গাছগুলো শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মুকুল এসেছে। এবারের মৌসুমে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন। আবহওয়া ভালো থাকায় আমের ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদি এ কর্মকতা।

আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুল ইসলাম বলেন, চলচি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তিন চার ধরে মেঘলা আবহওয়া ছিল। এ সময়ে যে সব মুকুল ফুটেছিলো সেগুলো ঝরে যাওয়ার শঙ্কা ছিলো। কিন্তু পরে আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হয়নি। তবে যে সব গাছে আগাম মুকুল এসেছিল, ওইসব কিছু কিছু গাছের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি আরও বলেছেন, এ সময়ে গাছের সঠিক পরিচর্যা না নিলে, আম গাছে ছত্রাক ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। কৃষকরা যদি গাছে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে তাহলে এ ভারসাস থেকে পরিত্রাণ পাবে।

 

Mar 15, 2022

আম চাষিদের ঘন বাগানে ঝোঁক

আম চাষিদের ঘন বাগানে ঝোঁক




চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রতি বছরই বাড়ছে আম বাগান।শুধু বদলে গেছে আম বাগানের ধরন। প্রচলিত বড় গাছের আম বাগানের স্থান দখল করছে, ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।জেলার চাষিদের এখন আগ্রহ আম্রপালি, বারি-১১, বারি-৪, গৌড়মতি, কার্টিমন এ ৫ জাতের দিকে।এতে পুরাতন জাত ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, আসিনা, গুটি এসব জাতের নতুন বাগান গড়ে উঠছে না।

জেলা কৃষি অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে আম বাগানের জমি ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ বিঘা। আর গত দশ বছরে জেলায় ৮৫ হাজার ৫৯১ বিঘা জমির আম বাগান বেড়েছে।এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বেড়ে উঠেছে ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।কম সময়ে লাভবান হওয়ার আসায় চাষিরা ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, আসিনা আমের পরিবর্তে লাগাচ্ছেন উচ্চ-ফলনশীল জাত।

জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাবি জাতের আম চাষ হয় শিবগঞ্জে। ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপরেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শামিম খান।তিনি জানান, প্রায় সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গৌড়মতি আর আম্রপালি এ দুই জাতের আম চাষাবাদ করছি।এরমধ্যে ৪ বিঘা জমিতে লাগোনো হয়েছে ১ হাজার আম্রপালির গাছ।গাছ গুলো লাগানোর প্রায় দুই বছরের মাথায় ফল আসবে। এছাড়াও বাকি জমিতে ৫০০ টি আম্রপালির গাছ লাগানো হয়েছে।প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আসবে ফলন।একটি গাছ থেকে আরেকটির দূরত্ব প্রায় ৬-৭ ফুট।

শামিম খান বলেন, ফজলি, আসিনা, ক্ষিরশাপাত, ন্যাংড়া আমের চাষ করে, তেমন লাভবান হওয়া যায় না। এতে করে পুঁজির টাকা পকেটে উঠাতেই হিমশিম খেতে হয়। কম সময়ে লাভবানের আশায় উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোর বাগানই বাড়ছে।গাছ ছোট হওয়ায় পরিচর্যা থেকে শুরু করে আম নামানো সহজ হয়।অন্যদিকে কম জায়গায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।

আম চাষি সাইদুল রহমান তার জমিতে গড়ে তুলেছেন বারি-১১, বারি-৪ এ দু জাতের আম বাগান।  তিনি জানান,গত কয়েক বছর থেকে আমের দাম সে ভাবে পাইনি।কয়েক জনের মুখে শুনে এ জাতের আমের গাছ লাগিয়েছি ৪ বিঘা।আশা করছি লাভবান হবো। তিনি আরও জানালেন, প্রচলিত জাতের আম গাছ থেকে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ৭-৮ বছর। আর উচ্চ ফলনশীল আমগাছ অধিক পরিমাণে ঘন করে লাগানো যায়। এ ছাড়া দুই বছরেই ফল পাওয়া যায়।এসব কারনেই এ ধরনের বাগানের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আম চাষিরা।

৭ বিঘার বাগানে ৮০০ আম্রপালি আমগাছ লাগিয়েছে কৃষি উদ্যোক্তা আহসান হাবিব।তিনি গাছে রাসায়নিক সার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে পরিবেশ বান্ধব জৈব সার ব্যবহার করছে। এছাড়া আমগুলো রপ্তানীমুখী করার জন্য দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শাহীবাগ চৌধুরীপাড়ার বাগান মালিক তাজ রহমান টনি মিয়া জানান, আমার ২৬ বিঘার একটি বাগান আছে। এ বাগানে প্রচলিত জাতের আমের গাছ ছিল। বছরে মাত্র বছরে মাত্র ২ থেকে সোয়া ২ লাখ টাকা পাওয়া যেত।পরে বাগানের গাছ গুলো কেটে আম্রপালি, গৌড়মতি, কাটিমন জাতের আমের গাছ লাগানো হয়েছে।এখন নাবিজাতের আম চাষ করে  লাভোবান হচ্ছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান,গত বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আম উৎপাদন হয়েছে।বরেন্দ্র অঞ্চলে আমবাগান বাড়ছে। মূলত গৌড়মতি, যাদুভোগ, আম্রপালি, বারি-১১-সহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ লাগাচ্ছে। আমের বাগান করলে জমির মূল্য বাড়ে, বাগানে অন্যান্য ফসল করতে পারে। এছাড়া পরিবেশও ভালো থাকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুল ইসলাম জানান, জেলায় স্বল্পমেয়াদী বাগান গড়ে ওঠায় নতুন নতুন জাতগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। বড় গাছের বাগান করলে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে ছোট গাছে ফল আসে দুই তিন বছরে।’ কৃষকরা লিজ নিয়ে অল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে।

 

পৌরসভার ড্রেনের পানিতে দূষিত মহানন্দা

পৌরসভার ড্রেনের পানিতে দূষিত মহানন্দা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ঘেঁষে বয়ে চলেছে মহানন্দা।এ নদী শহরের প্রকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার আর গড় প্রস্থ ৪৬০ মিটার। কিন্তু শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী এই মহানন্দা নদী পৌরসভার ড্রেনের পানিতে এখন দূষণের কবলে। 

পৌর এলাকার সব পয়ঃনিস্কাশন ড্রেনের মুখ গিয়ে মিলেছে মহানন্দা নদীতে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পানি। পৌর এলাকার খালঘাট নামক স্থানটিকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার করত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। তবে কিছুদিন সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেললেও, আগের ময়লা আবর্জনার স্তুপের রয়ে গেছে। সে বর্জ্য গুলোতে থাকা পলেথিন গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পড়ে থাকা পলেথিন গুলো ঢাকতে কয়েক ট্রলি ফেলা হয়েছে মাটি। যে ভাবে মাটি রাখা হয়েছে, ওই ভাবেই আছে। দেখার যেন কেউ নেই।

খালঘাট এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ জানান, গত পাঁচ বছর ধরে এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলত পৌরসভা।পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়িতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ট্রাক শহরের ডাস্টবিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এখানে ফেলত। গত কয়েক মাস থেকে আর ফেলেনা। কিন্তু এখানে থাকা বর্জ্য গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।


ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে নদীর পানির টলটল করতো। নদীর পাশে বসবাস করা পরিবারগুলো নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগাত। এখন  নদীর পানির যে অবস্থা পানিবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। রোগ বালাইয়ের আশংকায় পানি সংগ্রহ করার তো দূরের কথা গোসলই করেনা মানুষ।

পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের বাসিন্দান ফাইজুর রহমান মানি। নদী দুষণের কারণ নিয়ে তার সাথে কথা বলার সময় পয়ঃনিস্কাশনের একটি ড্রেনের মুখ দেখিয়ে বলেন এই যে দেখেন, শহরের যত নোংরা পানি সব এসে পড়ছে নদীতে। এই পানি আমরা কিভাবে ব্যবহার করবো। এই পানিতে মল-মূত্রসহ কত কত জীবানু আছে। পাশ দিয়েই যেতেই নাকে দূর্গন্ধ লাগছে।

তিনি আরও বলেনে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সব ডেনের পানি মহানন্দায় গিয়ে পড়েছে। নদীর পাশের অনেক পৌর এলাকার বাসিন্দা ময়লা আবর্জনা পেলে রাখে। এমনিতেই নদীর গভিরতা কমে গেছে, গ্রীষ্ম মৌসুমে মহানন্দা হেটে পার হওয়া যায়।

সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবঞ্জ নামে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের সমন্বয়কারী (কো- অর্ডিনেটর) ফয়সাল মাহমুদ জানান, নদীর তীরকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এ নিয়েও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও করা হয়েছে। এমনিতেই নাব্যতা সংকটের কারণে নদীতে পানি কম। তার উপর নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। দূষনের কারণে মাছসহ জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ জানান, প্রায় দেড় শতাধিক কোটি টাকা ব্যায়ে মহানন্দায় নির্মাণ করা হচ্ছে রাবার ড্যাম। পৌরসভার পয়ঃনিস্কাশনের পানি যদি নদীতে পড়ে তাহলে ড্যাম্পিং করা পানি দুষিত হবে। এতে করে মাছসহ জলজ প্রানিসহ উদ্ভিদ প্রাণী গুলোর অস্থিত্বই থাকবেনা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Nov 1, 2021

ফজলি আমকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চায় জেলাবাসী

ফজলি আমকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চায় জেলাবাসী



চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে শিবগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সোমবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় শিবগঞ্জ সরকারী মডেল হাইস্কুলের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমকে জিআই পন্য হিসেব স্বীকৃতি চাই আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আম উৎপাদনের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমের রাজধানীও বলা হয়। ফলের রাজা আম, আমের রাজা ফজলি, ল্যাংড়া ও ক্ষিরসাপাত। ফজলির উৎপত্তি মালদাহ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। উৎপাদনে বেশী, স্বাদে ও ঐতিহ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমই সেরা। রাজশাহীর ফজলি বাদ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমকে জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। বক্তারা আমে ব্যবহৃত ব্যাগ কৃষিপন্য হিসেবে ঘোষণা ও ট্যাক্স মওকুফ, নওগাঁ, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমের ওজন ৪৬ কেজির নীচে এক মন নির্ধারণের দাবী জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব জিল্লার রহমান, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস , সদস্য সচিব ও সাংবাদিক আহসান হাবিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষিপন্য উৎপাদন ও সরবরাহ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম ও ছত্রাজিতপুর আলাবক্স ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান।মানবন্ধনে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে আম বাগানিসহ সব পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

Jul 28, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেফতার


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় গোপন বৈঠক করার সময়  জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় সদর থানাধীন আতাহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের বাড়ীতে গেপন বৈঠক করার সময় তাদের গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।


গ্রেফতার কৃতরা হল- আতাহার গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান (৪৫), একই গ্রামের মৃত মঞ্জুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ শাওন (৪০), মোঃ সাইদুর রহমানের ছেলে মোঃ হামিদুল ইসলাম (২৮),  আতাহার জুবিডাঙ্গার মৃত কালু মন্ডলের ছেলে মোঃ শাইরুল ইসলাম (৩২), আতাহার গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোঃ নুর বক্স (৪৬), মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সদের আলী (৩৪), শুকুদ্দী মন্ডলের ছেলে মোঃ ফিরোজ আলী (৩২),  মোঃ শাজাহান আলীর ছেলে মোঃ সামিউল ইসলাম (২৫),  আতাহার দীঘিপাড়ার মোঃ আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আলিউল হক (২১), আতসহার হক অটো রাইস মিলের সামনের মোঃ মনিরুল ইসলামের মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (২০), আতাহারের মোঃ হুমায়ন কবিরের ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী  (২২),  একই এলাকার মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মানিক আলী (২৪),  আতাহার দীঘিপাড়ার মোঃ ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ সাব্বির রহমান (২৮), আতাহারের মোঃ আকবর আলীর ছেলে মোঃ কাজল আলী (২৫), মোঃ শুকুরুদ্দীনের ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৪৫), মোহ শাজাহান আলীর ছেলে রবিউল আওয়াল (৪০),  মোঃ মুনিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দীন  (৩০), মোঃ তরিকুল ইসলামের ছেলে  মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫),  মনিরুল ইসলামের ছেলে  মোঃ শামীম উদ্দীন কাজল (৪৩) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোঃ রাসেল আহমেদ (৩৫)।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এসআই অমিত পান্ডে বাদী হয়ে একটি নাশকতার মামলা দায়েরপুর্বক বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা নং ৪৭। 

May 10, 2021

বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রহনপুর পৌর মেয়রের ইফতার

বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রহনপুর পৌর মেয়রের ইফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ (গোমস্তাপুর) প্রতিনিধিঃ 


বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে রহনপুর পৌরসভার উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 সোমবার পৌর ভবনে আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, রহনপুর  পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁন মতি। এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আকতার আলী খান (কচি), আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস, মাহতাবুল আলম নুরী, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।  পরে উপস্থিত ৬৫ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার বর্গকে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদে বেড়েছে যানজট

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদে বেড়েছে যানজট




চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে রাস্তায় যানজট। আজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলায় সব রকমের গাড়ি চলতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি অটো ও সিএনজি রাজত্ব বেশি ছিলো জেলা সবগুলো সড়কগুলো। গাড়ির চাপে কিছু কিছু সড়কে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। 

ঢাকা থেকে বাড়িতে ঈদ করতে এসেছে জাহাঙ্গীর আলম। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন; আমি ৩ মাস আগে ঢাকা গেছিলাম। বাড়িতে খাওয়ার কিছুই ছিলোনা। ঈদ করতে বাড়ি এসেছি।

শিবগঞ্জের এক বাসিন্দা আশরাফ ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বরোড মোড়ে। তিনি বলেন; আমি ৫ মাস আগে দুটা মেয়ে কে রেখে মাটি তোলার কাজ করতে কুষ্টিয়া গেছিলাম। এখন আমি ঈদ করতে বাড়িতে এসেছে। কুষ্টিয়া গিয়ে কোন লাভ হয়নি। আমার থাকা আর খাওয়া বাবদ সব টাকায় চলে গেছে। এবার ঈদে বাড়ি আসলাম কী খাবো? আর মেয়ে দুটাকে কী দিবো।

বিশ্বরোড মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন এক সার্জেন্ট । এর পাশাপাশি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করছিলেন তিনি। 

জানতে চাইলে ওই ট্রাফিক বলেন, এখন সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাই যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছেন তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। যেসব যানবাহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে, সেগুলোকে আটকানো হচ্ছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন গতকাল ১ জন করোনায় মারা গেছে। সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন শিবগঞ্জের বাসিন্দা এক রোগি সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করেন।


 এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১ জন মারা গেলেন। এ দিকে  আরও ৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত দুদিনে ৬ জন এন্টিজেন পরীক্ষায় শনাক্ত হন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী। শনাক্তরা সকলেই ভোলাহাট উপজেলার বাসিন্দা। ফলে জেলায় সন্ধ্যা পর্য়ন্ত ১ হাজার ৩৬ জন শনাক্ত হলেন। জেলায় চিকিৎসাধীন রোগি এখন ৭৮ জন।

গতকাল জেলায় ৪৮ জনকে সুঃস্থ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে জেলায় ৯৩৭ জন সূস্থ হলেন।এদের ২২জন সদর, ১৪ জন শিবগঞ্জ ,৯ জন গোমস্তাপুর ও ৩ জন ভোলাহাট উপজেলার বাসিন্দা। ফলে জেলায় চিকিৎসাধীন রোগী এখন ৭৮ জন। এদের ৪৫ জন সদর,১৫ জন শিবগঞ্জ,৮ জন গোমস্তাপুর,২ জন নাচোল ও ৮ জন ভোলাহাট উপজেলার বাসিন্দা।

May 8, 2021

বদলে গেছে আম বাগানের ধরন

বদলে গেছে আম বাগানের ধরন


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রতি বছরই বাড়ছে আম বাগান।তবে বদলে গেছে আম বাগানের ধরন। প্রচলিত বড় গাছের আম বাগানের স্থান দখল করছে, ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।জেলার চাষিদের এখন আগ্রহ আম্রপালি, বারি-১১, বারি-৪ গৌড়মতি এ ৪ জাতের দিকে।এতে পুরাতন জাত ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত,আসিনা,গুটি এসব জাতের নতুন বাগান গড়ে উঠছে না।এর ফলে এ জাতগুলো হুমকির মধ্যে পড়বে বলে ধারনা করছেন অনেক কৃষক।

জেলা কৃষি অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, গত দশ বছরে জেলায় ১১ হাজার ৪৫৮ হেক্টর জমির আমবাগান বেড়েছে।গত ২০১১ সালে আম বাগানের জমি ছিল ২৩ হাজার ৭০ হেক্টর।এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বেড়ে উঠেছে ছোট গাছের ঘন আমের বাগান।কম সময়ে লাভবান হওয়ার আসায় চাষিরা ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত,আসিনা আমের পরিবর্তে লাগাচ্ছেন উচ্চ-ফলনশীল জাত।

নাচোলের খেসবা এলাকার বাবু।সে নতুন করে ২৫ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করছে আম্রপালি ও বারি- ৪ জাতের আম গাছ।তিনি জানান, আমি এ জমিটি লিজ নিয়েছি ১৫ বছরের জন্য। এবার নতুন করে এ জাতের আম চাষ শুরু করেছি।প্রথম বারে ২৬০০ গাছ লাগিয়েছি।একটি গাছ থেকে আরেকটির দূরত্ব প্রায় ৭-৮ ফুট।তিনি আরো জানান, কম সময়ে লাভবানের আশায় উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোর বাগানই বাড়ছে।গাছ ছোট হওয়ায় পরিচর্যা থেকে শুরু করে আম নামানো সহজ হয়।অন্যদিকে কম জায়গায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।’

সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় বেড়ে উঠেছে রমজান আলীর বারি-১১, বারি-৪ এ দু জাতের আম বাগান।গত দু বছর আগের লাগানো এ বাগানে মুকুল ফুটে বের হয়েছে আম।চোখে পড়ার মতো আম গুলো।তিনি জানান, গত কয়েক বছর থেকে আমের দাম সে ভাবে পাইনি।কয়েকজনের মুখে শুনে এ জাতের আমের গাছ লাগিয়েছি ৪ বিঘা।আশা করছি লাভবান হবো।

আম চাষি সাইদুর রহমান। তিনি জানান, পুরাতন জাতের আম গাছ থেকে ফলের জন্য অিপেকাষা করতে হয় প্রায় ৭-৮ বছর। আর উচ্চ ফলনশীল আমগাছ অধিক পরিমাণে ঘন করে লাগানো যায়। এ ছাড়া দুই বছরেই ফল পাওয়া যায়।এসব কারনেই এ ধরনের বাগানের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আম চাষিরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।তিনি জানান,গত বছর জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল আড়াই টন। এ বছরও এই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।তিনি অরোও জানান, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে আমবাগান বাড়ছে। মূলত গৌড়মতি, যাদুভোগ, আম্রপালি, বারি-১১-সহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ লাগাচ্ছে। আমের বাগান করলে জমির মূল্যও বাড়ে, বাগানে অন্যান্য ফসল করতে পারে। এছাড়া পরিবেশও ভালো থাকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুল ইসলাম।তিনি জানান, জেলায় স্বল্পমেয়াদী বাগান গড়ে ওঠায় নতুন নতুন জাতগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। বড় গাছের বাগান করলে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে ছোট গাছে ফল আসে দুই তিন বছরে।’ কৃষকরা লিজ নিয়ে অল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে। তাই তারা আম্রপালি, বারি-১১, বারি-৪ এর মত জাতের আম চাষ করছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চরে ধরা পড়ল রাসেল ভাইপার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চরে ধরা পড়ল রাসেল ভাইপার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পদ্মার চরে আব্দুল আলিম (২২) নামের এক যুবক একটি সাপ দেখতে পায়।সাপটাকে টিলেভিশনে দেখেছে বলেও জানায় সে। টেলিভিশনে দেখা সাপটকে সে তার সাথে করে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।ওই যুবক শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে।

ওই যুবক জানান, শুক্রবার বিকেলে কয়েকজন বন্ধুদের সাথে নিয়ে পদ্মার চরে ঘুরতে গেছিলাম।আমার মোটরসাইকেলটা এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে হাটছিলাম।হঠাৎ একটি সাপ দেখতে পাই। আমার এক বন্ধু জসিমকে বাঁশ আনতে বলি।সে বাঁশ নিয়ে আসার পর তাকে (সাপ) শক্ত করে ধরি।আমার কাছে থাকা একটা চাদর দিয়ে ওই সাপের মাথাটা মুড়িয়ে মোটরসাইকেলে করে বাসায় নিয়ে আসি।

ওই যুবক আরোও জানান, বাড়িতে সাপটাকে নিয়ে এসে বালতি করে রেখেছি।এখনও বালতিতে আছে।আমি বাড়িতে এসে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে জানতে পারি যে; এটা একটা রাসেল ভাইপার সাপ।আমি জানলে আগে এটা ধরতাম না।আমি এই সাপটাকে নিদিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জমা দিতে চাই।

উইকিপিডিয়া সুত্রে জানা যায়,এর নাম চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া। বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii । এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী। বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।এরা দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক মিটার; দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত হয়। 

এরা নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা নিশাচর।এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে।“আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

May 6, 2021

দেশে গত ১২ বছরে একজনও না খেয়ে মারা যায় নি;কৃষিমন্ত্রী

দেশে গত ১২ বছরে একজনও না খেয়ে মারা যায় নি;কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে  নিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী  হওয়ার আগে নির্বাচনী ইশতেহারে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন; আমি যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে আমি বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা দূর করব। আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি তাহলে সাধারণ মানুষ যে দামে খাদ্যশস্য ক্রয় করতে পারবে সে মূল্য  নির্ধারণ করবো।

আজকে আমি এখানে দাড়িয়ে বলতে পারি ৬০ টাকার সার ১৫ টাকা, ৯০ টাকার সার ১৬ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দিয়েছি। যার ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদ বেড়েছে। বাংলাদেশে গত ১২ বছরে এক জনও না খেয়ে মারা যায়নি। আমার সামনে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ভাইয়েরা আছে। কেউ বলতে পারবেনা একটি মিডিয়াতে খবর এসেছে। কোন এলাকায় একজন মানুষ না খেয়ে মরেছে।


আজ (৬ মে) বৃহস্প্রতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক গবেষনা উদ্যানতত্ত্ব কেন্দ্রে  কৃষক সমাবেশে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

এদিকে সকালে গোমস্তাপুরে 'শস্য কর্তনে' র উদ্বোধনে মন্ত্রী বলেন,‘ ব্রি-৮১ জাতটি; ব্রি-২৮ জাতের মতই জনপ্রিয় কৃষকরা নতুন এই জাতটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উচ্চফলনশীল এ জাত চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেকযোগ্য পরিমান বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায়  এটি আশানুরুপ ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয় সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহনণ ও বাস্তায়নে বিভিন্ন প্রণোদনা ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ এবং গবেষণাগার তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রদান এবং বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণার উপর গুরুত্ব প্রদান অব্যাহত থাকবে। যাতে ভবিষ্যৎতে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় বজায় রাখা সম্ভব হয়।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জণ দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, ব্রি-র মহাপরিচালক ড. শাজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন; রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আঃ বাতেন,পুলিশ সুপার এ.এইচ.এম আব্দুর রকিব,চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ ডাঃ সামিল উদ্দিন শিমুল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সাংসদ আঃ ওদুদ,মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ফেরদৌসি ইসলাম জেসি প্রমুখ।

আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় শেষে বারি-৪ ও বারি-১১ জাতের কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ,ও একই স্হানে বারি-১১ জাতের একটি আম গাছের চারা রোপণও করেন মন্ত্রী।

জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে- কৃষিমন্ত্রী

জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে- কৃষিমন্ত্রী


কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন,‘ দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমান কমছে। রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবও। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ফসলের নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ফলে ক্রমশ জনসংখ্যা বাড়লেও; খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে।’ 

আজ বৃহস্প্রতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় ব্রি ধান-৮১ জাতের ‘ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন,‘ ব্রি-৮১ জাতটি; ব্রি-২৮ জাতের মতই জনপ্রিয় কৃষকরা নতুন এই জাতটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উচ্চফলনশীল এ জাত চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেকযোগ্য পরিমান বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায়  এটি আশানুরুপ ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয় সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহনণ ও বাস্তায়নে বিভিন্ন প্রণোদনা ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ এবং গবেষণাগার তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রদান এবং বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণার উপর গুরুত্ব প্রদান অব্যাহত থাকবে। যাতে ভবিষ্যৎতে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় বজায় রাখা সম্ভব হয়।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জণ দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, ব্রি-র মহাপরিচালক ড. শাজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমসহ অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য বিদেশ থেকে ‘ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট’ মেশিন আনার প্রক্রিয়া চলছে। যার মাধ্যমে পোকা-মাকড় দমনসহ বাংলাদেশের আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হবে এবং সেটি বর্তমান সরকারের আমলেই হবে বলে জানান মন্ত্রী।’

এদিকে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হেফাজতের বিসয়ে মন্ত্রী বলেন,‘ যারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের মূলোৎপাটন বাংলাদেশ থেকে করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট এবং তাদের বিচার হবে বাংলার মাটিতে।  

পরে মন্ত্রী আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ব গবেষনা  কেন্দ্রে আমচাষীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

May 4, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মার্কেট গুলো থেকে স্বাস্হ্যবিধি উধাও

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মার্কেট গুলো থেকে স্বাস্হ্যবিধি উধাও


করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। চাঁপাইনবাবগঞ্জেযর মার্ককেট গুলোতে ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটায় ব্যস্ত শহরবাসী। বাইরে থেকে আসছে ক্রেতারাও। মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটার সাথে সাথে বেড়েছে মাক্সের বিক্রি। কিন্তু মুখে না দিয়ে সেটা স্হান পেয়েছে থুঁতনিতে।কারো বা ব্যাগে কারো হাতে। আর স্বাস্হ্যবিধির নেই বললেই চলে। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে এ চিত্র দেখা গেছে।

ফয়সাল মাহমুদ। তিনি জানান আমি মার্কেটে গেছিলাম অফিসিয়াল কাজের কারনে। আমি লক্ষ করলাম মাক্সের ব্যবহার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু স্বাস্হ্যবিধি মানছে না কোন ক্রেতা।

একমাত্র শিশু তানভির। তার জন্য বাবা মা এসেছে ঈদের পসরা কিনতে। তারা জানান; সকালে ভেবেছিলাম লোকজন কম থাকবে।কিন্তু মার্কেটগুলোতে খুব খারাপ অবস্হা। লোকের ভিড়ে আর কিছুই কিনলাম না। চলে যাচ্ছি।

সাদ্দাম হোসেন তিনি একজন ক্রেতা। তিনি জানান; আমি মাক্স মুখে দিয়ে এসেছি। ঈদের জন্য বাজারও করতে এসেছি। কিন্তু স্বাস্হ্যবিধি মানে গায়ে গা ঠেকিয়ে,হুমড়ি গিয়ে গিয়ে দোকানীর সামনে মাক্স খুলে কথা বলা একটা কেমন স্বাস্হ্যবিধি।

মার্কেটের এক বিক্রেতা জানান; আমরা সর্বোচ্চ করছি। আমার দোকানের সামনে মাক্সও রেখেছি। করোনা ভাইরাসকেও আমিও ভয় পাই। কিন্তু আমরা স্বাস্হ্যবিধি মানতে কঠোর,ক্রেতাদের ঢিলেমি।

সচেতন নাগরিকরা বলছেন; সরকার যে কারনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যদি এরকম চলতে থাকে। তাহলে সুফল পাওয়া খুবই কঠিন। জেলায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় ৪২ জনের করোনা সনাক্ত হয়।

May 2, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ কেনাকাটায় মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ কেনাকাটায় মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়


চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে কেনাকাটায় মহাব্যস্ত জেলাবাসী।এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে। প্রতিটি মার্কেটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তাড়না নেই।

জেলা শহরের নিউ মার্কেটে একজনের সঙ্গে আরেকজনের গা ঘেঁসে ঘেঁসে চলতে দেখা গেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে ঈদ শপিংয়ে মার্কেটে আসা শিশুদেরকেও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। প্রায় প্রতিটি মার্কেটে বিক্রিও হচ্ছে সন্তোষজনক বলে জানান বিক্রেতারা।

সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারির জেলাবাসীর কিংবা জনসাধারণের মধ্যে যেন কোনো ধরনের করোনা ভীতি নেই। এই সংকটকালেও নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।

রবিবার (২ মে) সকালে বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের কাছে জনপ্রিয় নিউ মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট,সেন্টু মার্কেট,জেলা শহরের ফুটপাতের সামনের দোকানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব দূরে থাক, গায়ে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে মানুষজনকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও তা সঠিক নিয়মে পরা ছিল না।কারো ছিলো থুতনিতে, করো বা হাতে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ দু’দফা শেষে তৃতীয় দফা চলছে। বিধিনিষেধের শুরুর দিকে জনসমাগম ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যে সরব ভূমিকা ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, তৃতীয় দফায় লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষদের কোথাও কোথাও যানজটের কারণে ১৫-২০ মিনিটের মত আটকে থাকতেও হয়েছে।

এদিকে চেকপোস্টগুলোতে শুরুর দিকে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত হলেও এখন তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। আর কোথাও কোথাও তো চেকপোস্টই গায়েব হয়ে গেছে। ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বিধিনিষেধের শুরুতে যে কড়াকড়ি ছিল, তা এখন আলোচনা থেকে বহু দূরে। এখন ‘মুভমেন্ট পাস’

আঃ রকিব ও তার সহধর্মীনি বের হয়েছেন সন্তানদের জন্য নতুন কাপড় কিনতে। বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান,এখন মনে হয় করোনা কমে গেছে। অনেকেই তো বের হচ্ছেন। তাইতো আমরাও বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হয়েছি। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবো। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। 

বিক্রেতারা বলছেন, ভিড় বেশি। কিন্তু বেচা-বিক্রি অনেক কম। যে পরিমাণ জনসমাগম রয়েছে সবাই যদি একটি করে জিনিসও কিনতেন তাহলে আমাদের দোকানের জিনিসপত্র অনেক কমে যেত। কেনাকাটা হচ্ছে কম, অধিকাংশই শুধু জিনিসপত্র দেখছেন।

May 1, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্রমিক যাচ্ছে ধান কাটতে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্রমিক যাচ্ছে ধান কাটতে

ওরা ১৬ জন যাচ্ছে ধান কাটতে।

ধান কাটতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দলে দলে নওগাঁর পথে যাচ্ছে শ্রমিকরা। ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, অটো, নশিমনে (স্যালো মেশিন) করে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ধান কাটতে যাচ্ছে নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায়।গতকাল শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নাচোল, রহনপুর এলাকায় দেখা গেছে, দলে দলে বিভিন্ন গাড়িতে রওয়ানা দিয়েছেন তারা।

গাড়িতে রান্না করার হাঁড়িপাতিল, খড়ি, কাপড়, বিছানা সাথে নিয়ে ছুটছেন তারা। ধান কাটতে যাওয়া কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর উপজেলা হতে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, বদলগাছি, নিয়ামতপুর, পৌরশা, সাপাহার, মান্দা, আত্রাই, ধামুরহাট উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ধান কাটতে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

নওগাঁয় মণে (৪০ কেজি) ৮ কেজি পারিশ্রমিক হারে ধান কাটে এসব শ্রমিক। চাঁপাইনবাবগঞ্জে মণে ৫ কেজি হারে

পারিশ্রমিক পাওয়ার কারনে নিজ জেলা ছেড়ে নওগাঁয় ছুটছেন তারা। একেক দলে ১০-২০ জন করে রয়েছেন ধান কাটা শ্রমিকরা। এবার ফলন ভালো, তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অধিক পরিমানে পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বারোরশিয়া গ্রামের কৃষক হারুন আলীর সাথে আরো ১২ জন শ্রমিক রয়েছে এই দলে। তিনি বলেন, আমি গত ১৪ বছর ধরে নিয়মিতভাবে ধান কাটার মৌসুমে নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় যায়। এবছর মহাদেবপুরে ধান কাটতে যাচ্ছি। সেখানে (নওগাঁয়) বেশি পরিমাণে জিন (পারিশ্রমিক) পাওয়া যায়।

গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের দেওপুরা গ্রামের শ্রী সবানু জানান, প্রতিবছর নওগাঁয় ধান কাটতে যায়। ১৫-২০ দিন সেখানে ধান কাটা, মাড়াই করি ও মালিকের বাড়িতে ফসল উঠিয়ে দেয়ার কাজ করি।তা দিয়ে এক মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা হয়।

নওগাঁ জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শামীম ইকবাল।তিনি  জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত নওগাঁয় উত্তরের বিভিন্ন জেলা হতে ৪৬ হাজার ৭০০ জন ধানকাটা শ্রমিক এসেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাড়াও নওগাঁয় আসা ধানকাটা শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে যশোর, নিলফামারী, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট জেলার  শ্রমিকরা।

Apr 30, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপরিবহন ছাড়া সব যানই চলছে সড়কে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপরিবহন ছাড়া সব যানই চলছে সড়কে


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গণপরিবহন ছাড়া সব যানই চলছে সড়কে। জেলায় চলমান লকডাউনে (কঠোর বিধিনিষেধ) গণপরিবহন ছাড়া সড়কে সব ধরনের পরিবহন চলছে। গাড়ির চাপে কিছু কিছু সড়কে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ, যাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ওই দিন থেকেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দিন যত যাচ্ছে, সড়কে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন। এর মধ্যে সিএনজি,ব্যাটরী চালিত অটো,রিক্সা,এসব চোখে পড়ার মতো। যে উদ্দেশ্যে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, তার সুফল পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান সতেচন নাগরীকরা।

আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে। যে সব যানচলাচল করছে সবগুলাতে ঠাসাঠাসি করে যাত্রি নিয়ে যাচ্ছে। আর স্বাস্হ্যবিধীর কথা বলতে গেলে চড়া হয়ে পরিবহণ মালিককে বলে; আমার অসুখ হলে তোমার কী?

বিশ্বরোড মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন এক সার্জেন্ট । এর পাশাপাশি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করছিলেন তিনি। কিন্তু চালক বা যাত্রীদের মুভমেন্ট পাস বাছাই করতে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে ওই ট্রাফিক বলেন, এখন গণপরিবহন বাবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহনই চলছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাই যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছেন তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। যেসব যানবাহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে, সেগুলোকে আটকানো হচ্ছে। মামলা-জরিমানা করা হচ্ছে।

Apr 28, 2021

এক আঃলীগ নেতাকে পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ

এক আঃলীগ নেতাকে পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ

 


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে উপজেলার দলদলী ইউনিয়ন শাখার আঃয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরজেদ আলি ভুটুকে দল থেকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল প্রকার পদবি হতে আজীবনের জন্য বহিস্কার করার সুপারিসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোলাহাট ‍উপজেলা আঃয়ামীলীগের বর্ধিত 
কমিটির সদস্যরা। গত কিছুদিন আগে ওই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য পিয়ার জাহানকে শারীরিক ভাবে আঘাত সরকারি বাড়ি দেয়াকে কেন্দ্র করে। এ কারণে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এছাড়া আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণসহ দলবিরোধী কাজ করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন, উপজেলা অওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাবলু, সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরিবুল্লাহ দবির ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধার সম্পাদক রিফাত হোসেন টুইংকেল সাথে আওয়ামীলীগের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। তবে এরা ৪ জন চাইলে দলের কাছে আসতে ফের আবেদন করতে পারবেন। আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় ভোলাহাট নেকজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলি শাহ সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল গাফফার মুকুলের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি আফরাজুল হক বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আহমেদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রোজা,জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন আইরন, একরামুল হক, মহিবুল হকসহ অন্যরা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক মন্ডলির সদস্য, চার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগন। সভায় উপস্থিত সকলে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন।

 


চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন তরমুজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন তরমুজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



ভোক্তা অধিকারের জরিমানা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে তিন তরমুজ ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা রেলস্টেশন বাগান ও নিউ মার্কেট এরিয়ায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় ক্যাশ মেমো দেখাতে না পারা এবং মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় রেলস্টেশন বাগানের মেসার্স মা মনষা ফলঘরকে ২ হাজার টাকা, মারিয়া ট্রেডার্সকে ১ হাজার টাকা এবং সাটু হল মার্কেটের সামনে তরমুজ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমকে ১ হাজার টাকা মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কোবাদ আলীসহ সদর মডেল থানার পুলিশ।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে হঠাৎ করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি হওয়ায়, মুল্য স্থিতিশীল রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ক্রয় মেমো ও মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় তিন তরমুজ ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।