May 2, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ কেনাকাটায় মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়


চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে কেনাকাটায় মহাব্যস্ত জেলাবাসী।এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে। প্রতিটি মার্কেটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তাড়না নেই।

জেলা শহরের নিউ মার্কেটে একজনের সঙ্গে আরেকজনের গা ঘেঁসে ঘেঁসে চলতে দেখা গেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে ঈদ শপিংয়ে মার্কেটে আসা শিশুদেরকেও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। প্রায় প্রতিটি মার্কেটে বিক্রিও হচ্ছে সন্তোষজনক বলে জানান বিক্রেতারা।

সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারির জেলাবাসীর কিংবা জনসাধারণের মধ্যে যেন কোনো ধরনের করোনা ভীতি নেই। এই সংকটকালেও নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।

রবিবার (২ মে) সকালে বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের কাছে জনপ্রিয় নিউ মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট,সেন্টু মার্কেট,জেলা শহরের ফুটপাতের সামনের দোকানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব দূরে থাক, গায়ে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে মানুষজনকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও তা সঠিক নিয়মে পরা ছিল না।কারো ছিলো থুতনিতে, করো বা হাতে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ দু’দফা শেষে তৃতীয় দফা চলছে। বিধিনিষেধের শুরুর দিকে জনসমাগম ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যে সরব ভূমিকা ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, তৃতীয় দফায় লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষদের কোথাও কোথাও যানজটের কারণে ১৫-২০ মিনিটের মত আটকে থাকতেও হয়েছে।

এদিকে চেকপোস্টগুলোতে শুরুর দিকে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত হলেও এখন তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। আর কোথাও কোথাও তো চেকপোস্টই গায়েব হয়ে গেছে। ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বিধিনিষেধের শুরুতে যে কড়াকড়ি ছিল, তা এখন আলোচনা থেকে বহু দূরে। এখন ‘মুভমেন্ট পাস’

আঃ রকিব ও তার সহধর্মীনি বের হয়েছেন সন্তানদের জন্য নতুন কাপড় কিনতে। বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান,এখন মনে হয় করোনা কমে গেছে। অনেকেই তো বের হচ্ছেন। তাইতো আমরাও বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হয়েছি। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবো। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। 

বিক্রেতারা বলছেন, ভিড় বেশি। কিন্তু বেচা-বিক্রি অনেক কম। যে পরিমাণ জনসমাগম রয়েছে সবাই যদি একটি করে জিনিসও কিনতেন তাহলে আমাদের দোকানের জিনিসপত্র অনেক কমে যেত। কেনাকাটা হচ্ছে কম, অধিকাংশই শুধু জিনিসপত্র দেখছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com