Nov 12, 2022
Oct 27, 2022
যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কেক কাটলেন না, বললেন 'মা' কে ছাড়া আনন্দ করব না
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি তবিউল ইসলাম তারিফ বলেছেন; ' যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কেক কাটার আয়োজন নেই। 'মা' (বেগম খালেদা জিয়া) কে ছাড়া কোন প্রকার আনন্দ করবো না। আমরা মায়ের মুক্তি চাই। আমরা চাই ' মা' (বেগম খালেদা জিয়া) আমাদের মাঝে ফিরে আসুক, আমরা ফের রাজ পথে মিলিত হবো।'
Aug 15, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহিলা সংস্থার আলোচনা সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় মহিলা সংস্থার আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Aug 14, 2022
সমিতির সভাপতি সৈয়দ নুরুল, সম্পাদক ইকবাল
ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জেলা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা।তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জন্য সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এছাড়াও তার নিজস্ব উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।হাজার হাজার মানুষকে জিকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
Jul 4, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর রাজুর দুর্ব্যবহার, থানায় অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু আহমেদ এক নারীর সাথে দূর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
Jul 3, 2022
দূর্যোগ ও দুর্বিপাকে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গিকার এনটিভির
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও দুর্বিপাকে কবলিত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গিকার করে এনটিভির ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। রোববার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে আলোচনা সভাসহ কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
Jun 28, 2022
প্রায় স্কুল বাদ দিতাম, এখন আর দিব না
Jun 12, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ডিজি
May 26, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপ নির্বাচনে একজনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনে কাশেদ আলী নামের এক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এখন এ পদের জন্য একক প্রার্থী রইলেন তোসিকুল আলম।
May 25, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসডিএফ'র অবহিতকরণ কর্মশালা
May 18, 2022
ফটো ফিচার: আম
থোকায় আম।
দুর থেকে নেয়া আমের গাছের ছবি।
আমে ব্যবহার করা ফ্রুট ব্যাগ।
অপরিপক্ক আম বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেছেন; চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেশজুড়ে খ্যাত। এ জেলার আম সুমিষ্টি হওয়ায় বিদেশেও নাম ছড়িয়েছে। এবারের মৌসুমের আর কয়েকদিন পরেই গাছে পাকা আম দেখা দিবে। কেউ যদি অপরিপক্ক আম বাজারজাত করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ৎমঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ আম উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাত করণের লক্ষ্যে প্রস্তুতমিূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিসি গালিভ খান।
এ কে এম গালিভ খান আরও বলেন, জেলার আম ব্যবসায়ী, আড়ৎদার, আর কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছর আম বাজারজাত করণের জন্য কোন সময়সীমা থাকছেনা। গাছে আম পাকা দেখা দিলে তবেই তা বাজারে নামাতে পারবে ব্যবসায়ীরা।এছাড়াও নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনে মনিটরিং কমিটি ও ভ্রাম্যমান আদালত সবসময় সক্রিয় থাকবে।
এ সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম (সার্বিক) বলেন; আম বাগানে অতিরিক্ত কিটনাশক যাতে প্রয়োগ না করে সেজন্য প্রতিটি বাগান মালিকদের লকবুক ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সারাদেশে আম পরিবহন ব্যবস্থাও স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস এবং অনলাইনে আম পাঠানোর সব ধরণের সুযোগ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশের বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম স্বল্পমূল্যে পরিবহনের জন্য ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মে মাসের শেষের দিকে এ স্পেশাল ট্রেনটি উদ্বোধন করা হবে।
প্রস্তুতিমূলক
এই সভায় জেলা প্রশাসন, কৃষি কর্মকর্তা, আম বিজ্ঞানী, আম বাগান মালিক এবং আম
ব্যবসায়ী ও চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
উজানের ঢলে ডুবে গেছে ৩ হাজার বিঘা জমির ধান
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় উজানের পানি এসে জমছে পূর্ণভবা নদীতে। ভরা নদীর পানি উপচে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শ্রমিক সংকটেও ভুগছেন কৃষকরা। ধানের ফলন ভালো হয়েও, কয়েকশ কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য মতে, উজানের ঢলে পূর্ণভবা নদী ভরে গেছে। নদীর পানি উপচে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিল কুজাইন, ভাটখোর, রোকনপুরগঞ্জ এলাকার প্রায় তিন হাজারেরও বেশি বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে আছে।উপজেলায় এবারের বোরো ধানের মৌসুমে ৪১ হাজার ৮৩২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রাধানগর ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার ৪৭৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেছে কৃষকরা।
রোকুনপুরগঞ্জের এলাকার ধাম চাষি মোসলেম উদ্দিন জানান, বিল কুজাইন এলাকায় ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। প্রথম থেকে আবহওয়া ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। গত চার-পাঁচ দিন ধরে বিল কুজাইন এলাকার জমিগুলো উজানের ঢলে ডুবে গেছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের এলাকার পূর্ণভবা নদীর গভিরতা কম। খুব দ্রুত উজানের ঢলে নদী ভরে গেছে। নদীর পানি উপচে এলাকার সব ফলস ডুবে গেছে। পূর্ণভবা নদী খনন করে গভিরতা বাড়ালে ধান কাটার সময় পেতাম। আফসোস আর থাকতো না।
ধান চাষি মাইনুল ইসলাম জানান, রোকনপুরগঞ্জ এলাকায় আমাদের ছয় ভাইয়ের প্রায় ২০ বিঘা জমিকে ধান চাষাবাদ করেছি। কয়েকদিন ধরে উজানের ঢলে পূর্ণভবা নদীর পানি উপচে এসব এলাকার ধানি জমিগুলোর তলিয়ে গেছে।আর কয়েকদিন মাঠে থাকলে ধান কেটে গোলায় ভরতে পারতাম।
তিনি আরও বলেন, এ খারাপ সময়ে ধান কাটার শ্রমিকও সংকট। আর যারা ধান কাটতে চায়,তারা অনান্য সময়ের চেয়ে পারিশ্রমিক বেশি নিতে চায়। ধানগুলো সঠিক সময়ে না কাটতে পারলে, বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। গতবছরেও জুনের মাসের প্রথম সপ্তাহে উজানের ঢল এলাকায় ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এবার জুনের আগেই এলাকাগুলো ডুবে কয়েকশ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
রাধানগর
ইউপির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফুয়াদ আলী জানান, রাধানগর ইউপির তিন মৌজায় প্রায়
তিন হাজার বিঘা জমির কৃষকের ধান ডুবে গেছে। যতদ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধানের
লক্ষে কৃষি বিভাগসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার জানান, উজানের ঢলে তিন এলাকাজুড়ে কয়েকশ কৃষকের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কত পরিমাণ জমিন ধান নষ্ট হলো আমরা খুব শিগগির জানতে পারবো।
চাঁপাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন, প্রেমিক পলাতক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করেছে। অনশনের খবরে প্রেমিক আব্দুল খালেক পলাতক আছে।
গোদাগাড়ী আসছেন ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা
May 14, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি'র বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ‘সন্ত্রাসী হামলার’ প্রতিবাদে দেশব্যাপী দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে।
May 5, 2022
নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতার শিকার ছাত্রলীগ নেতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের রানিহাাটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা রাজু। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বিকেলে চকআলমপুর ফিরাঙ্গি পাড়ায় তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
Apr 30, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় সাড়ে ৪হাজার জনকে খাদ্য সহায়তা
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের হতদরিদ্র, অসহায়-দুস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে পৌরসভার চত্বরে এ চাল বিতরণ করা হয়।
Apr 26, 2022
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পাঠান, সদস্য সচিব সনি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনটির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে ওবাইয়েদ পাঠানকে আহবায়ক আর এ্যাড. হাসান শরিফ মোল্লা সনিকে সদস্য সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জেলা বিএনপির
আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম টিপু, সদস্য সচিব রফিকুল
ইসলাম (চাইনিজ) ৩ জনের স্বাক্ষরে এ কমিটির অনুমদোন দেয়া হয়।৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে
সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল মান্নান চেয়ারম্যান।
Apr 24, 2022
৩৪ হাজার বইয়ের পাঠক ২৮ জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে বই পড়ার পাঠক নেই।বুকশেল্ফে (বই রাখার তাক) থরে থরে সাজানো বই।সেখানে পাঠকদের জন্য কী নেই।আছে সোফাসহ কাঠের চেয়ার টেবিল। আরও আছে বৈদ্যুতিক বাতি আর পাখা।প্রকৃতির দেয়া আলোর সাথে সুনশান পরিবেশ।কিন্তু যাদের জন্য এই ব্যবস্থা, নেই সেই পাঠক।
এ গ্রন্থাগারটিতে ৩৪ হাজারের বেশি বই থাকলেও পাঠক সংখ্যা দৈনিক ১২ থেকে সর্বোচ্চ ২৮ জন।তাও ফের ওই ২৮ জনের মধ্যে অধিকাংশ পাঠক পত্রিকা পড়তেই বেশি আসে।গত ১২ বছরে গ্রন্থাগারটিতে সদস্য হয়নি আশানুরুপ।২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সদস্য সংখ্যা মাত্র ১৩১ জন। পাঠকদের বক্তব্য হচ্ছে, গণগ্রন্থাগারে চাকরি প্রত্যাশীদেই বইয়ের সংকট রয়েছে। ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও এক-দু জনের বেশি ব্যবহার করতে পারেন না।তবে দায়িত্বশীলরা জানালেন, জনবল সংকটের কারণে কোনো রকমে চলছে গ্রন্থাগারটি।
গণ
গ্রন্থাগারটির সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে চালু হয় জেলার এ গণগ্রন্থাগারটি। ৩৪ হাজারের
বেশি বই আছে এখানে।এখানে বসে প্রায় ৬০-৭০ জনের বসে পড়ার ব্যবস্থা আছে।এখানে ১২ টি সংবাদ
পত্র পাওয়া যায়।৮ জন জনবলের বিপরীতে আছে মাত্র দুইজন।গ্রন্থাগারিকের মতো প্রধান পদ
চলছে গ্রন্থাগার সহকারী দিয়ে।
সরজমিনে একদিন জেলার সরকারি এ গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেলো; শনি থেকে বুধবার পর্যন্ত, সপ্তাহে মোট পাঁচ দিন খোলা থাকে এই গণগ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারের ঢুকতেই চোখে পড়লো রেজিস্ট্রার খাতা।খাতাতে চোখ বুলাতে গিয়ে দেখা গেলো সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৬ পর্যন্ত পাঠকের দেখা মিলে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ২৮ জন।আগতরা প্রতিদিনই আসেন।এখানে নতুন কোন পাঠকের স্বাক্ষর দেখতে পাওয়া যায়নি।তবে আগতদের বেশির ভাগই চাকরিপ্রত্যাশী অথবা শুধু সংবাদপত্র পড়তে আসেন।এখানে নারি ও শিশুদের পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও গত মার্চ মাসে নারি এসেছেন হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন। আর শিশু? তাদের কথা নাই বললাম। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোন শিশুর নাম দেখা যায়নি গ্রন্থাগরের ওই রেজিস্ট্রার খাতায়।
দশম
শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী স্মরণ।সে তার বন্ধুর সাথে গ্রন্থাগারে বসে ইসলামের ইতিহাস
বই পড়ছিল।সে রাইজিংবিডিকে জানাল, বন্ধুদের দেখতাম তারা এ পাঠাগারে পড়তে আসত, তাদের
দেখাদেখি আমিও আসা শুরু করলাম।কোচিং প্রাইভেটের কারণে চাপ বেড়েছে।ফলে পাঠাগারে আসার
সময় পাওয়া যায় না। সপ্তাহে দুই দিন কোচিং ছুটি থাকে, শুধু মাত্র ছুটির দিন করে পাঠাগারে
আসতে পারি।আগে যে বন্ধুরা এখানে পড়তে আসত, তারা এখন সবাই কোচিং আর প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত।অভিভাবকদের
ভিতরে প্রতিযোগিতা বাড়ায়, এখন আর পাঠাগারে কেউই আসতে চাইনা।
মাইনুল ইসলামসহ আরও একজন চাকুরি প্রতাশী জানান, আমাদের এ পাঠাগারে চাকুরি প্রত্যাশিরা বেশি বই পড়তে আসেন।চাকুরির জন্য প্রস্তুতির বই গুলো বাড়ানো দরকার।এখানে পুরানো দুটি সিরিজ আছে।নতুন কোন বই নিয়ে আসেনি, পাঠাগার কতৃপক্ষ।তাদের একাধিকবার বলা হলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।এছাড়াও এখানে ইন্টারনেট কর্ণার থাকলেও একজনের বেশি ব্যবহার করতে পারেন না।
মইন
হাসান নামের এক পাঠক জানান, এ পাঠাগারে এখন পত্রিকা আর জব প্রিপারেশনের জন্য পাঠক আসে।বিশ্বকে
জানার জন্য যে বই গুলো আছে, সেগুলো বই পড়ার জন্য কোন পাঠক আসেনা।অল্প বয়সে ভার্চ্যুয়াল
জগতে প্রবেশের কারণে নতুন প্রজন্ম একেবারেই গ্রন্থাগার থেকে বিমুখ।এদের গ্রন্থাগারে
ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।পাঠাগারের পক্ষ থেকে স্কুলে স্কুলে
গিয়ে, এ ল্যাইব্রেরীতে আসার জন্য স্পৃহা যোগালে পাঠকের সংখ্যা বাড়তে পারে।
জেলা সরকারি পাঠাগারের গ্রন্থাগার সহকারী গোলাম মোস্তফা রাইজিংবিডিকে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি পাঠাগারটিতে ৮জন জনবল থাকার কথা থাকলেও মাত্র ২ জন লোক আছে।পরিছন্নতা কর্মী না থাকায়, আমাদেরকে পাঠাগারের সব কিছু পরিষ্কার করতে হয়।এখানে ৩৪ হাজার বই থাকলেও পাঠকের সংখ্যা একেবারেই কম।পাঠাগারের যারা নিয়মিত আসে, কেবল তারাই আসে।নতুন পাঠকের উপস্থিতি একেবারেই কম।
তিনি
আরও জানান, পাঠাগারের যারা সদস্য আছে তাদেরকে ফোন দিয়ে ডাকা হলেও, তারা পাঠাগারে আসতে
অনিহা প্রকাশ করে।আমাদের পাঠাগারের উদ্যোগে বছরে ৭টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, কেউ আসে,
আবার কেউ আসেনা।











.jpg)





.jpg)
