May 7, 2021

সেই গণ-ধলাইয়ের ঘটনায় মামলা


রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কামার পাড়ায় ৩ জন ভূয়া সাংবাদিক ও একজন ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত-দেরকে গণ-ধোলাই দেয়ার ঘটনায় আলমগীর হোসেন (২৯) নিজে বাদি হয়ে গোদাগাড়ী থানায় ৮জনকে তালিকা ভুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে। গতকাল বৃহস্প্রতিবার (৬ মে) গোদাগাড়ী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। তাদেরকে গণ-ধোলাই করা হয় সোমবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায়। ওই গণ-ধোলাই এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে খবরও প্রকাশ করা হয়।

এ মামলার আসামি যারা: আব্দুল মতিন (বিপু), বিপ্লব, আরমান, পলাশ, বাবু, কুতুবুল, মাসুম বিন আনাস, মানিক। এছাড়াও ১৪/১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়।

এজহারে যা উল্লেখ করা আছে: গোপন সুত্র ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কামার পাড়া এলাকার নাহার ফুর্ডস এ্যান্ড বেকারীতে যাই। সে সময় উপস্থিত ছিলেন; প্রথম ভোরের নিজস্ব প্রতিবেদক আলমগীর, দৈনিক জনতার কথা পরিচালক নাসির, ক্যামেরা পারসন শুভ ও দৈনিক মুক্তির স্টাফ রিপোর্টার সাফিয়ান স্বাধিন। আমরা একটি ভাড়া করা গাড়িতে কামার পাড়া গেছিলাম। আমরা যখন তাদের বেকারীর প্রধান গেটে পৌঁছালাম তখন তালা মারা ছিলো। ওই দরজার তালা নাড়তে থাকলে কারখানার ভেতর থেকে একজন কর্মচারি বের হয়। সে আমাদের কারখানার ভেতর নিয়ে যায়। ভিতরে প্রবেশ করে আমি দেখতে পাই কারখানার কর্মচারীরা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের বেকারীর খাবার তৈরী করছে। আমরা আমাদের পেশাগত দায়িত্বের কারণে সেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ভিডিও এবং স্থির চিত্র নিয়ে চলের ওই কারখানা থেকে বের হয়ে চলে আসি। হঠাৎ ওই বেকারির মালিক আব্দুল মতিন (বিপু) বের হয়ে আসে। আমাদেরকে দেখে বলে আমার সাথে কোন রকম কথা না বলা ছাড়ায় কেন চলে যাচ্ছেন। আমার সাথে বিষয়টা মিটমাট করে যান। আপনাদেরকে নিউজ করতে হবে না। আমরা যখন তাদের কথা না শুনি,তখন আমাদেরকে কারখানায় অবরুদ্ধ করে এলোপাথাড়ি মারধোর করে।আমরা গুরতর জখম হই। এ সময় আমাদের গলায় দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঠেকায়। ওই সময় আমাদের কাছ থেকে তারা ১০০ টাকার নন জুডিসিয়াল ফাঁকা স্টাম্পে সই নেন। ৬১ হাজার টাকা, দুটো স্মার্টফোন ও ১ টি ডি.এস.এল.আর ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেন। সবমিলিয়ে আনুমানিক মূল্য ৭৭ হাজার,৪ শ ৫০ টাকা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে ওই বেকইরর মালিক (বিপু) পুলিশ কে সমোঝতার কথা বলে চলে যেতে বলেন।

মামলার সাক্ষি যারা: নাসির পাভেজ, শূভ ইসলাম, সাফিয়ান স্বাধিন, লিয়াকত হোসেন।

মামলার বাদি আলমগির যা বলেছেন: আসামিগণ আমাদের কাছে ফাঁকা স্টাম্পে সই নিয়েছে, মারধোর করার ভিডিও আছে।তারা আমাদেরকে ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সাজার চেষ্টা করেছে।সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। চিকিৎসা করার কাজে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।

ঘটনার দিন বেকারির মালিক যা বলেছিল: অমি বাড়িতে ছিলাম। আমার ছোট ভাই বললো,ভাইয়া ,কয়েকজন সাংবাদিক এনেছে, আর একজন ম্যাজিস্ট্রেট এসেছে। যে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তার নাম নাসির। এলাকায় যখন লোকজন জমায়েত হয়েছে তখন ওই ভূয়া ম্যজিস্ট্রেটসহ সবাই চলে যেতে যাচ্ছিলো।সাংবাদিক আলমগীর ভাই একজন ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট বনিয়ে নিয়ে আসবে এটা ভাবতে পারিনি। তাদের দু এক থাপ্পড় মারা হয়েছে। থানা থেকে লোঅকজন আসছিলো আমরা বাধাঁ দেয়।পরে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের ভাই এসে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

গোদাগাড়ি থানার ওসি খলিল পাটুয়ারী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন। মামলা যখন করা হয়েছে। তদন্তনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com