আর এক সপ্তাহ পরেই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এর আগে জেলার বাজার গুলোতে মুরগি ও চিনির দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা ও চিনির দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।
বোতলের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ে ৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিন ও পাম সুপারের দাম কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। সেই সঙ্গে কেজিতে ৫ টাকা বাড়ে পেঁয়াজের দাম। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।মুরগি, তিনি, তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (৭ মে) জেলা শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অঞ্চল ও বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১৫ থেকে ২২৫ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালী বা পাকিস্তানি কক মুরগির দাম।
মুরগির দামের বিষয়ে রশিদ নামের এক ব্যবসায়ী শহীদুল বলেন, বাস চলাচলের সংবাদে গ্রাম থেকে অনেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে। পাশাপাশি বাইরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। এসব কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দাম একটু বেড়েছে। আমাদের ধারণা, ঈদের আগে দাম আরও একটু বাড়বে।
এদিকে খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা আর ৭৫ টাকা বিক্রি হাওয়া প্যাকেট চিনির দাম বেড়ে ৭৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিনির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, চিনির দাম আগে থেকেই বেশি। হঠাৎ করে কোম্পানি আবার চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগের মতো ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে আগের মতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
সবজির দামের বিষয়ে পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী সফেদ আলী বলেন, ঈদের আগে সবজির দাম বাড়া বা কমার সম্ভাবনা কম। ঈদ পর্যন্ত সবজি এমন দামেই বিক্রি হবে। তবে ঈদের পর কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে।
