আলাপকালে ওই যুবক রিকশাচালক হারুন রশিদ বলেন,
‘হামি এখানে ম্যাইক্ষণ থ্যাইক্যা বইস্যা আছি।এখানে বইস থাকার আগে, হরিপুর থ্যাক্যা
একটা ক্ষ্যাপ (যাত্রী) ম্যারাছি।এত্ত গরম, হার জ্বি খ্যাঁনটা আঁপাড়-ধাঁপাড় করছে। রোজা
আছিতো জ্বী তাই একটু কষ্ট হয়ছে।
শুধু ওই রিকশাচালক কিংবা ট্রাফিক পুলিশরাই
নন গত কয়েকদিনের গরমে হাঁসফাঁস করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসী। বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা রাস্তাঘাট কোথাও শান্তি মিলছে
না। গত সপ্তাহে আধা ঘন্টা ধরে ফুরফুরা বৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু প্রখর রোদে ঘর-বাইর সব জায়গা এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী
বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থেকে বিস্তার
লাভ করতে পারে।গতকাল রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশে গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩৯ ডিগ্রি
সেলসিয়াস, সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার সরেজমিন জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা
ঘুরে দেখা গেছে , প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। রাস্তাঘাটে অনেকেই প্রখর রৌদ্রকিরণ
থেকে রক্ষা পেতে ছাতা মাথায় বের হয়েছেন।শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে রিকশাচালক ও ঠেলা-ভ্যানগাড়িচালকরা
গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন।কেউ বা গামছা দিয়েঘাম মুসছেন।রিক্সা চালক আলামিনকে দেখা যায়,
সে কিছুক্ষণ পর পর গামছা দিয়ে মুখ মুছছেন। তবুও গরম কাটছে না।
জেলার শিবগঞ্জের বাসিন্দা গৃহবধূ তাহেরা
খাতুন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে রোজা রেখে গরমে অস্থির হচ্ছি। একাধিকবার গোসল করে শান্তি
পাবো তারও জো নেই। প্রচণ্ড রোদে ছাদের ট্যাংক গরম হয়ে পাইপ দিয়ে গরম পানি বের হয়। রান্না
ঘরে ইফতারির জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো ঘেমে গোসল করতে হয়।’
