Mar 26, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে তেলের দাম


চাঁপাইনবাবগঞ্জে খোলাসহ সোয়াবিন তেলে দাম বেড়েছে। খোলা বাজারের ভোজ্য তেলের দাম ৬০-৬৫ টাকা। গত সপ্তাহে দুই দফা বাড়লেও চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮-১০ টাকা। আর আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা এখন মূল্য ১৬ টাকা। এদিকে বাজারে নতুন আসা সজনে, পটল ও ঢেঁড়সের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সজনের দাম কেজিতে কমেছে ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত। আর পটল ও ঢেঁড়সের দাম কেজিতে কমেছে ৮-১০ টাকা করে। 

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে দুই দফা দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আর আলুর দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৬- ১৮ টাকা যা চলতি সপ্তাহে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে পুরাতন ব্যবসায়ী সেতাউর রহমান বলেন, পেঁয়াজের একটু দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে কিছু ক্রেতা বাড়তি কিনে মজুদ করেন। এতে পেঁয়াজের টান বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন দাম কমলেও বিক্রি কম হচ্ছে।

 গত সপ্তাহে বাজারে নতুন আসা সজনের ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। যা এখন ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার পাশাপাশি বাজারে সজনের ডাটার সরবরাহ ও বেড়েছে। সজনে ডাটার বিষয়ে পুরাতন বাজারের সবজি  ব্যবসায়ী লিটন বলেন, গত সপ্তাহে এক কেজি সজনে ১২০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ কম দামে কিনতে পারায় ১০০ টাকায় কেজি বিক্রি করছি। কয়েকদিনের মধ্যে সজনের ডাটার দাম আরও কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে সজনের ডাটার সরবরাহ অনেক বেড়ে গেছে।

সজনে ডাটার পাশাপাশি কিছুটা দাম কমেছে পটল ও ঢেঁড়সের। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটল ও ঢেঁড়সের দাম কিছুটা কমে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। এ সবজিগুলোই এখন বাজারের সব থেকে দামি। 

বাকি সবজিগুলোর বেশিরভাগের দাম চলতি সপ্তাহে যেমন অপরিবর্তিত রয়েছে, তেমনি রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। শশার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। তবে পাকিস্তানি সোনালি বা কক মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই মুরগির কেজি বিক্রি হয় ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা। 

মুরগির দামের বিষয়ে নতুন হাটের ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, মুরগির দাম কমার সম্ভাবনা কম। বরং সামনে আরও বাড়তে পারে। কারণ কিছুদিন পরেই শবেবরাত। তারপর রোজা শুরু। আমাদের ধারণা শবেবরাতের আগেই মুরগির দাম আরও বাড়বে।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com