চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ দু-দফা শেষে তৃতীয় দফায় চলছে। তৃতীয় দফার বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। বিধিনিষেধের শুরুর দিকে জনসমাগম ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যে সরব ভূমিকা ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপরিবহন ছাড়া সবকিছু স্বাভাবিক
তৃতীয় দফায় লকডাউন শুরু থেকেই জেলা শহরে সব কিছুই স্বাভাবিক রুপ নিচ্ছে। দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। কঠোর বিধিনিষেধের দু’দিন বাকি থাকলেও জেলাজুড়ে যেন স্বাভাবিক হতে চলেছে সবকিছুই। সোমবার (৩ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে জেল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে জেলায় চেক পোস্টগুলোতে শুরুর দিকে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো থাকলেও এখন তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বিধিনিষেধের শুরুতে যে কড়াকড়ি ছিল তা এখন আলোচনা থেকে বহু দূরে। এখন ‘মুভমেন্ট পাস’ চেক করতে দেখা যাচ্ছে না পুলিশকে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনও চলছে ‘মুভমেন্ট পাস’ চেকিং। কিন্তু পিক-আওয়ারে সব গাড়িকে একসঙ্গে ধরে চেক করা সম্ভব হচ্ছে না। রোজার সময় মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যানজট ছাড়া যাতায়াত করতে পারে সে লক্ষ্যে সড়কে কাজ করছে পুলিশ।
এ দিকে আগামী ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে ৬ (বৃহস্পতিবার), ৯ (রোববার) ও ১১ মে (মঙ্গলবার)। এর মধ্যে ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে (সোমবার) হচ্ছে শবে কদরের ছুটি।
আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে’ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে’ও (শনিবার) ছুটি থাকবে।