দেশজুড়ে একদিকে চলছে রমজান মাস। আরেক দিকে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। এই দুই মিলে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিলো তরমুজের দাম। জেলায় ভোক্তা অধিকার অভিযানের পর দাম কমেছে। এখন দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা।
সোমবার (৩ ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান ও বাজার ভেদে তরমুজের কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৩৫ টাকা ৫০ টাকা কেজি দরে। ফের রোজা শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিলো। এ মৌসুমে যখন বাজারে প্রথম যখন তরমুজ আসে, সে সময় দাম ছিল ২৫-৩৫টাকার মধ্যে।
বিশ্বরোডের এক তরমুজ
বিক্রেতা ফইজুল জানান। আমরা আড়ৎ থেকে তরমুজ কিনে আনি ৩৫-৩৭ টাকা পর্যন্ত। আর
বিক্রি করছি ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। আরেক দোকানী হযরত বলেন, আমরা আড়ৎ থেকে তরমুজ
কিনে আনি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। আর স্বল্পলাভে বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি
দরে।
গতবার তরমুজের দাম
বাড়ার বিষয়ে সাত্তার নামের এক ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার কারণে তরমুজের চাহিদা
বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বিধিনিষেধের কারণে জেলায় তরমুজ কম আসছে। এছাড়া তরমুজের
মৌসুমও শেষ হয়ে আসছে। এসব কারণেই তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। তিনি আরোও বলেন; তরমুজের মৌসুম খুব বেশি দিন থাকে না। দেখতে দেখতে
শেষ হয়ে যায়। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তরমুজ আসে পটুয়াখালী থেকে। আর সে তরমুজ
রাজশাহী হয়ে আমাদের জেলায় আসে। ইতোমধ্যে পটুয়াখালীর তরমুজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, তরমুজে খুব সামান্য ক্যালোরি আছে। তাই
তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি।
শরীরে পানির অভাব পূরণে ফলের মধ্যে তরমুজই হলো আদর্শ ফল। তরমুজে আছে পর্যাপ্ত
ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ। মৌসুমি এই ফলটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা। তরমুজ হলো ভিটামিন ‘বি৬’-এর চমৎকার উৎস, যা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
