Apr 5, 2021

হারঘে কিসের লকডাউন জ্বী ভাই


হারঘে কিসের লকডাউন জ্বী ভাই। হারাতো প্যাটের লাইগ্যা বাহির হয়্যাছি ঘর থাইক্যা। হারাতো দিন আনি দিন খাই। হারঁঘেতো  কোটি কোটি টাকা পয়সা নাই। হারা যদি কাজ না করি; হারাকে খ্যাইতে দিবে কে জ্বী ভাই। হামি পরিস্থিতির স্বিকারে খাইনুনা। হার বাড়িতে যে, দুটা ব্যাটা-বেটি আছে। তারাকে যদি না খায়তে দিতে পারি বুকটাতো এমনিতেই ছটপট ছটপট করবে। হামিতো বাপ। হারতো সোহাগ (মায়া) লাগবে। এরুপ মন্তব্য করেছে এক ভাড়াতে ইজিবাইক চালক। তার নাম আনেসুর রহমান। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্বরোডে লকডাউনের প্রথম দিনে এ কথা বলেন।

আজ জেলায় লকডাউনের প্রথমদিনে করোনার বালাই নেই মনে হচ্ছিল।সকালে জেলার সব দোকান খুলেছিলো দোকানীরা।ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকই দোকান বন্ধ করলেও;  ফের দোকান খুলে দোকানীরা। অনেক সময় দেখা গেছে ম্যাজিস্ট্রেট সামনে হাটছে; আর দোকানের দিকে তাকিয়ে বলে দিচ্ছে; ঐ তুমি দোকান খোলা রাখবে; ঐ তুমি দোকান বন্ধ করে দাও।

যাদেরকে দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলো; তারা আমার চাঁপাই কে জানান; আমি যদি দোকান বন্ধ করে বাড়ি যায়। আমার খাবার খরচ চালাবে কে? এরকম প্রশ্ন করে আফসোস করতে থাকেন। দোকানীরা সরকারকে আবেদন জানিয়েছেন যে; প্রায় সকল দোকান কে নিদিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হোক; যাতে সবাই দুমুঠো ভাত খেতে পায়। এদিকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় একই চিত্র দেখা যায়। খাবার আর পেটে দোহায় দিয়ে বাড়ি না থাকার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন দোকানীরা। 

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান; অনেক দোকান কে সতর্ক করেছি। কেউ শুনেছে; আবার কেউ শুনেনি। এটাও খবর পেয়েছি চলে যাওয়ার পর ফের দোকান খুলেছে। আজকে লকডাউনের প্রথম দিন। তাই স্বাভাবিক ভাবে সকলকে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে জরিমানা করা হবে। 

এ দিকে জেলা পুলিশ মোড়ে মোড়ে সতর্ক করার জন্য মাইকিন,লিফলেট,মাক্স বিতরণ চালু আছে। আজকে পুলিশ সুপার এ এইচ এম আঃ রকিবের নেতৃত্বে পুরাতন বাজারে মাক্স বিতরণ করা হয়। 

জেলা সিভিল সার্জন আমার চাঁপাইকে জানান; আজকে জেলায় এ বছরে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। গতকাল রাতে ১২ জনের নমুনার মধ্যে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট জেলায় করোনায় আক্রান্ত ৮৫৩ জন। মোট মৃত্যু ১৪ জন। সুস্থ ৮১০জন। চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩০ জন।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com