ডাউন শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে বিশ্বরোডে দেখা যায়; গণ পরিবহন চালু না থাকলে; সিএনজি,রিক্সা,ইজিবাইকসহ বেশ কয়েকটি পরিবহন চালু রয়েছে। এদিকে বিশ্বরোডে থাকা প্রায়ই সব দোকান খুলেছে। কিন্তু বাইরে মানুষের ভীড় কম। এ চিত্র দেখে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বন্ধ করেন তারা। জরুরী দ্রবাদী পণ্যের দোকান ছাড়া।
বিশ্বরোড দিয়ে এক পথচারী সেফাউর। তিনি জানান; নিজের সুরক্ষা নিজের কাছে। আমি কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে রাজি নয়, আমার ছোট বাচ্চাটা হাসপাতালে ভর্তি তাই হাসপাতালে যাবো। আরেক পথচারী আসমাউল। তিনি জানান; লক-ডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু পেটের ক্ষুধাতো আর বন্ধ থাকবেনা।
দুজন রিস্কাচালকের সাথে কথা হয়। তারা জানান; পেটের দায়ে বের হয়েছি স্যার। বাড়িতে বসে থাকলে কে খাওয়ার দিবে। আমি নিজেই আস্তে আস্তে অক্ষম হয়ে পড়ছি। বাড়িতে দুবেলার খাবার জন্য;চাল নেই। বসে থাকলেতো কেউ দিবেনা খাওয়ার।
জেলা সিভিল সার্জন জানান; জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত ৮৫৩জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। গতকাল রোবার রাতে ১০জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ,নাচোল,ভোলাহাট,গোমস্তাপুরে হাটও বসেছে। ক্রেতারা ভীড়ও করছে। পুলিশ দেখলে পালিয়ে যাচ্ছে; যখন পুলিশ থাকছেনা তখন সবাই আগের মতো।

