Apr 15, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে লক ডাউনের ঢিলেমি

করোনানার সংক্রোমন রোধে ৭ দিনের লক-ডাউনের আজ ২য় দিন। লক-ডাউনের ছোয়া লেগেছে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে। কিন্তু জেলা শহরের বাইরের বাজার,ঘাট,দোকান,হাটে মানুষ ভীড় করছে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের ভ্রামমান আদালত বের হচ্ছে; শহরের প্রধান প্রধান এলাকায়।
জরিমানা করছে দোকানীদের। এদিকে গ্রামাঞ্চলে নিয়মিত খুলছে দোকান,মুখে দেয়না মাস্ক। নেই কোন স্বাস্হ্যবিধীর বালাই। গতকাল পহেলা রমজানের রামচন্দ্রপুর হাট,নতুন হাট,রানিহাটী বাজার,ইসরাইল মোড় এলাকায় ইফতারীর বাজার সদাই করতে জমিয়েছিলো ভীড়। ছিলোনা সেখানে পুলিশের চেকপোস্ট,জেলা প্রশাসনের ভ্রামমান আদালতের টহল।


চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশ্বরোড,হরিপুর,সিসিডিবি মোড়,অক্টায় মোড়,রেলস্টেশন,ফায়ারসার্ভিস মোড়,নয়াগোলা,শান্তিমোড়,পিটিআই,বটতলা,শিবতলা,বারোঘরিয়া,৫৩ বিজিবি চেকপোস্ট এ সব জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও আজ বেড়েছে গাড়ীর সংখ্যা। পুলিশ জিঙ্গাসা বাদ করছে; ছেড়ে দিচ্ছে। পুলিশের মতের সাথে না মিললে ফিরিয়ে দিচ্ছে আগের স্হানে।
অন্যদিকে খেয়াল করা গেছে; জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আলাদলের গাড়ী বের হলেও সরকারী বিধি নিষেধ না মানার কারনে দোকানীদের জরিমানা করছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি দোকানকে জরিমানা করেছে সহকারী কমিশনার আশরাফুল ইসলাম।

সচেতন নাগরীকরা বলছে; লক ডাউন শুধু জেলা শহরে নয়, জেলার সকল স্হানে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে লক-ডাউন দেয়া সার্থক হবে। শহরে বাজারে স্বাস্হ্যবিধী মেনে বাজার যাচ্ছেন স্হানীয়রা। অন্যদিকে শহরের বাইরের এলাকায় বাজারে উপচে পড়া ভীড়।

সরজমিনে দেখা গেছে; সাধারণ এক তরমুজ বিক্রেতা। এক সার্জেন্টকে কয়েক টাকা তরমুজের দাম বেশি বলায় ঐ ট্টাফিক বিক্রেতার সাথে অসদাচারন করে। হুমকী দেয় তোকে উঠেয়ে দিবো। তুই আমাকে চিনিস। রমজান মাস সে তুই ছাড় পেলি। না হলে তোর সব ফল রাস্তায় ফেলে দিতাম। এরুপ মন্তব্য করে। টিআই সারোয়ারকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। বিধায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কয়েকজন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে; বারবার লক-ডাউনে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোজার মাস স্বাভাবিক ভাবে বাড়বে খরচের হার। আয় না থাকলে ব্যয় করা অনেক কঠিন বলে জানিয়েছে দিন মজুরীরা।



সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com