করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। চলমান এ লকডাউনে গণপরিবহন ছাড়া প্রায় সব ধরনের গাড়ি সড়কে চলতে দেখা গেছে। গত কয়েকদিনের পুলিশের চেকপোস্টে কড়াকড়ি দেখা গেলেও আজ দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র। জেলা শহরের কোনও কোনও সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপও দেখা গেছে।বিশেষ করে নয়াগোলা মোড়ে লাইন ধরে অটো দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১১টা
পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট নেই। কোনও কোনও মোড়ে
চেকপোস্ট থাকলেও তাতে পুলিশের উপস্থিতি নেই।ফের ওই স্থানে সকাল ১০ টায় পুলিশ দেখা গেছে।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে দুজন
আরোহণ করছে এবং সিএনজিতে চারজন থেকে পাঁচজন পর্যন্ত চলাচল করছে। মোটরসাইকেলে দুজন চলাচল
করলেও পুলিশ তাদের দেখে অনেকটা নিশ্চুপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট
বলেন, লকডাউনে রাস্তায় চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও অনেকে বিনা প্রয়োজনেও রাস্তায় বের
হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন। তবে জরুরি সেবায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা
অবাধে চলাচল করতে পারছেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শফিকুল ইসলাম
বলেন, রিকশা ভাড়া দিতে দিতে গত কয়েকদিনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বাসটাই শুধু চলছে না।
বাস চললে অন্ততপক্ষে যাতায়াতে কিছু টাকা খরচ কম হতো।
নতুন হাট মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা আবুল কালাম নামের
একজন বলেন, এটার নাম লকডাউন? সড়কে দেখেন কমবেশ সব গাড়িই চলছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার
ব্যবস্থা না করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কষ্টে পড়ে মানুষগুলো সড়কে নামছে। তাই পুলিশ
কিছুই করতে পারছে না।
