করোনার সময় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন কমবেশি সবাই। এরমধ্যে আবার বুধবার থেকে রমজানের বাড়তি ফলের চাহিদা যোগ হয়েছে। প্রত্যেকেরই ইফতার তালিকায় দু’একটা ফল রাখছেন। আর এ চাহিদাকে কেন্দ্র করে বেড়েছে সবধরনের ফলের দাম। রমজানে ফলের বাজারও চড়া দেশি ফল বাঙ্গি বাজারে এসেছে কয়েকদিন আগেই। খুব বেশি জনপ্রিয় না হওয়ায় এই ফলটির দাম বাজারে তুলনামূলক অনেক কম থাকে। ২৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে একটি বাঙ্গি কিনে পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে এক ডজন সবরি বা মানিক কলা কিনতে লাগছে ১২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি কলার দাম ১০ টাকা। এমনকি পাড়া-মহল্লার রাস্তায় যে চিনি চাম্পা কলা আগে ৩০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে, সেই কলাও এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বা আমদানি কম থাকায় ফলের দাম বেড়েছে। দেশি ও আমদানিনির্ভর সব ফলেই দামে বাড়তি। এছাড়াও লকডাউনে বাড়তি পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। বিশ্বরোডের ফলের দোকানদার সোহেল বলেন, ‘আমদানি নেই বলে মোকামে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনছি বলে বিক্রিও করছি একটু বেশি দামেই। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা থাকলেও বিক্রি বাড়ছে না।’
তিনি জানান, গত ১০-১৫ দিন আগেও যে আপেল বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা কেজি। সেগুলো এখন বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। মাল্টার কেজি এখন ১৮০ টাকা, যা দু’সপ্তাহ আগে ১৫০ টাকা ছিল। যে পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল, তা এখন ১২০ টাকা। একইভাবে নাসপাতি, কমলা, কেনু, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফলের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, আঙ্গুরের কেজি ২৬০ টাকা, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ২০০ টাকা। ৪০ টাকার পেয়ারা ৮০ টাকা, ২৬০ টাকার ডালিম ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া যে তরমুজের কেজি একসপ্তাহ আগে কমে ৩০ টাকায় নেমেছিল, তা আবার বেড়ে ৫-১০ টাকা কেজিতে উঠেছে। ফলে মাঝারি আকারের একটি তরমুজ কিনতে আগের থেকে ৩৫-৪০ টাকা বেশি লাগছে।
পাশাপাশি সবধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। ভালো মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। আর খোলা ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়। বাজারে আড়াইশ’ টাকার নিচে কোনো ধরনের খোলা খেজুর কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না।
