Mar 15, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ মাদক ব্যবসায়ীদের নামে থানায় অভিযোগ


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ। তিনি আরামবাগ এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে। তার বাড়ির সামনে মাদক ব্যবসায়ী নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করলে; নিষেধ করায় আব্দুর রশিদকে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে। মর্মে গতরাত রোবাবার (১৪ মার্চ) সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়; আরামবাগ এলাকার আয়নাল (৪৫),তার স্ত্রী নুর নাহার (৩৮),মৃত মনসুর আলীর ছেলে নবাব আলী (৫০), নবাব আলীর স্ত্রী হিরা বেগম (৪৩),আঃ আহাদের স্ত্রী।রুমি বেগম (২০) জন আরামবাগ এলাকায় গিয়ে আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে প্রতিদিন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে। মাদক ব্যবসায়ী ৫ জনকে বাড়ির সামনে অবৈধ দ্রব্য বিক্রি করতে বললে বাড়ির মালিককে অকৈথ্য ভাষায় গালাগালি করে। গত শুক্রবার (১২  মার্চবিকালে আঃ রশিদের বাড়ির সামনে অবৈধ নেতাদ্রব্য বিক্রি করতে নিষেধ করায় মাদক ব্যসায়ীরা অকৈথ্য ভাষায় গালাগালি করে; এক পর্যায়ে বাড়ির মালিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বেধড়ক মারধোর করে এলোপাথারি কিলঘুষি মারে। অভিযোগ সুত্রে আরোও জানাগেছে; বাড়ির মালিক আঝ রশিদকে হুমকি দিয়ে বলে; 'আমরা তোর বাড়ির সামনে নিশাপান দ্রব্য বিক্রয় করবো;তোর যদি কিছু করার থাকে করিস।' আঃ রশিদ প্রতিবেদককে জানান; আমি তাদের নিষেধ করি; আমার বাড়ির সামনে নেশাজাতীয় দ্রব্য যেন বিক্রি না করে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়ে নায্য বিচার পাবার আশায়।

 জেলার সচেতন নারিকরা বলছেন; যারা মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে; এ ঘটনাগুলো সুরাহা করা হয়নি। কারণ এ ব্যবসার সাথে যারা  জড়িত তারা অনেক শক্তিশালী; এদের বিরুদ্ধে কেউ সহজে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনা। প্রশাসনিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর পরও এর বিস্তার কমেনি বরং বেড়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকটা খোলামেলা ভাবেই মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। তাই মাদকের এই অপব্যবহার রোধে করণীয় সর্ম্পকে নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে এসব বন্ধ করতে হবে।

 সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগী হয়েও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সবচেয়ে আগে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে প্রতিটি ঘর, অভিভাবক এবং শুভাকাংখীদের পক্ষ থেকে। তাছাড়া মাদকাসক্তি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মাদকদ্রব্য মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা। আমাদের এই মুহূর্তে উচিত মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, বেকারদের কর্মসংস্থান স্কুল-কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকাসক্তির কুফল সর্ম্পকে শিক্ষা প্রদান এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

সদর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানায়; অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তাদের কবজায় আনবো। মাদকের সাথে যারা সম্পৃক্ত; তাদের ছাড় নেয়।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com