এদিকে ১৬ জন অনিয়মিত কর্মচারীর মধ্যে পাম্প অপারেটর জামিরুল বিশ্বাস কাজ না করে ওই সাংসদের বাড়িতে কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি বদিউর রহমান, টিকাদার সুপারভাইজার সেলিম রেজা, কার্যসহকারী, শাহরিয়ার হোসেন, সড়কবাতি পরিদর্শক আব্দুর রহমান, অপর পাম্প অপারেটর মাইনুল ইসলাম, গাড়ী চালক খাইরুল ইসলাম, পাইপ লাইন মেকানিক শহিদুল ইসলাম, ভাল্ব অপারেটর সাইফুল ইসলাম, নকশাকার কারিমুল (বক্স) রনি, সহকারী কর আদারকারী রাবেয়া খাতুন শিল্পী, কসাইখানা পরিদর্শক পারভেজ হাসান, টিকাদানকারী সায়েদা খাতুন নিপা দায়িত্ব পালন না করে সাবেক মেয়র তারিক আহমদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হন। দৈনিক কনজারভেন্সি লেবার জাইদুর রহমান মাসের পর মাস কাজ না করে সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের ব্যক্তিগত ও দলীয় কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছে।
এছাড়া
দৈনিক কনজারভেন্সি লেবার আবু তালেব নিয়মিত অফিস না করে তার
ব্যক্তিগত ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে সময় ব্যয় করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তবে অভিযোগ ওঠা কর্মচারীরা নিয়মিত অফিস করছেন বলে জানান। এ প্রসঙ্গে পৌর
কর্মকর্তা কর্মচারী এ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন জানান, সদ্য বিদায়ী মেয়র তারিক আহমদের সময়ে কিছু সংখ্যক কর্মচারী এ অনিয়ম গুলো
করত। বর্তমান মেয়র মতিউর রহমান খাঁন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে
কর্মচারীরা নিয়মিতই অফিস করছেন। তবে কয়েকজন একটু অনিয়ম করছে। কর্মচারীদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে পৌর সচিব খাইরুল হক জানান, কিছু
কিছু কর্মচারী এ অনিয়মগুলো করছে
। ২২ মার্চ (সোমবার) অনুষ্ঠিত স্টাফ কাউন্সিলের বৈঠকে পৌর মেয়র এ বিষয়ে কর্মচারীদের সর্তক করেছেন। নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করা প্রসঙ্গে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁন জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে করা সভায় এ বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত কিছু কর্মচারীর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।