চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সদর ইউপি বাসিন্দা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। জমিদারী শাসনামলে জমিদার তরঙ্গিণী জাতির মোখিক দান সুত্রে করবস্থানের জন্য ৩.১১ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আজ অবধী মরদেহ দাফন কাজ সম্পূর্ণ করে আসছে এলাকাবাসী। এমনকি ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল বেওয়ারিশ লাশ দাফনও করা হয় এ কবরস্থানে।
এমনি অভিযোগে মুসলমানদের জন সাধারণের ব্যবহার্য করবস্থানে বাসতবাড়ী নির্মানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে করবস্থান কমিটির সদস্যবৃন্দরা ইউএনওর বিরুদ্ধে। রোববার (১৭ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশ্বরোড মড়স্হ মডেল প্রেসক্লাবে এসংবাদ সম্মেলন করা হয়। চরধরমপুর কবরস্থানের সেক্রেটারী আজিজুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইজুদ্দিন।
লিখিত বক্তব থেকে জানা যায়; জোর পূর্বকভাবে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মসিউর রহমান আমাদের কবরস্থানে ২৫ টি টিনের বসতবাড়ী নির্বাণের জন্য সকল কাজ চলমনা আছে। বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য আমরা কবরস্থানে কবর দিতে পারিনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে কবরস্থানের সাবেক সেক্রেটারী চরধরমপুর এলাকার মৃত মাজেদ আলীর ছেলে সোলেমান করিম বাদি হয়ে ভোলাহাট ইউএনও মশিউর রহমান, ভোলাহাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেহেদী ইসলামসহ ইউপি উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে বিবাদী করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ আরোও আছে যে; উল্লেখিত স্হানে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ভোলাহাট ইউএনও মশিউর রহমান সেখানে সৌর-বিদ্যুৎ স্হাপন করেছে।
গত ২৭ নভেম্বর ২০২০ তারিখে জেলা প্রশাসক,চাপইনবাবগঞ্জ ২ আসনের সাংসদ,ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর অনুলিপি দিলেও পরিত্রান মেলেনি কবরস্থানের সমত্তি দখলদারের হাত থেকে। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন; বজলুর রশিদ।
অভিযুক্ত ভোলাহাট ইউএনও মশিউর রহমান সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন; রেকর্ডও জমি আছে কবরস্থানের নামে। গত দীর্ঘদিন থেকে কবরস্থান কোন মরদেহ দাফন করা হয়নি। খাস জমি দখল করে যারা বসবাস করছিলো তাদেরকে উচ্ছেদ করার পর সেই পরিত্যক্ত কবরস্থানে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে।


