সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত সপ্তাহ ধরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।ঠান্ডা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছিন্নমূল মানুষসহ বৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্টে পড়েছে। মাঝে মাঝে বেলা ফুরিয়ে গেলেও মেলেনা সূর্যের দেখা।অতিরিক্ত কুয়াশায় যেতে পারেনা কৃষক তার মাঠে।ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদী চলছিলো লক-ডাউন।সে সময় অনেকে পুঁজি হারিয়ে মাথায় পড়ে গেছিলো হাত।বর্তমানে শীতের প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছে বেশ দুর্ভোগে। অভাবী ও ছিন্নমূল মানষেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. নাদিম সরকার জানান, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এ অবস্থায় সরচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। তারপরেও আছে মহামারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে প্রায় ৩ শতাধিক রোগী ভর্তি ও বহিঃর্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেইনি শিক্ষামন্ত্রী।দীর্ঘমেয়াদী লক-ডাউন থাকায় বাড়িতে বসে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।স্হানীয় পার্কে গিয়েও জমাচ্ছে ভীড়।গৃহিনী সুমাইয়া আক্তার তুলী জানান,তীব্র শীতে বৃদ্ধও শিশুরা মোটেও ঠান্ডা সর্হ্য করতে পারেনা।এর ফলে লেগে আছে ঠান্ডা জনিত রোগ। চলতি সপ্তাহে পরপর দুদিন দেখা মেলেনি সূর্যের।আজকে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শিতের তিব্রতা।বেলা ফুরাবর আগেই শুরু হয় হাড় জাঁকানো ঠান্ডা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানায়,আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।এছাড়াও তিনি আরোও বলেন অতিরিক্ত কুয়াশার কারনে শীতকালীন শাক-সবজির চাষীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।জেলার বিভিন্ন গার্মেন্টস ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড় কেনার চলছে হিড়িক। যার যার সামর্থ অনুযায়ী লোকজন লেপ-কম্বল এবং শীতের গরম কাপড় কিনছে।আবার কেউ হস্তশিল্পির নিকট থেকে বানিয়ে নিচ্ছে।এতে লাভ হয়েছে বিভিন্ন লেপ তোষকের দোকানীদের।
শীতকালকে ঘিরে জমজমাট ব্যবসা করছেন বিভিন্ন কসমেটিক্স বিক্রেতারা।শরীররে স্বাভাবিক রাখতে কিনছে হরেক রকমের ক্রীম লোশানসহ বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য।নিউমার্কেটের এক দোকানী জানায়,করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যখন বিশ্বব্যাপী লক-ডাউন তখন সবাই বাড়িতে ছিলো।এখন শীতের কারনে সবাই শপিং করতে আসছে।বিশেষ করে শীত কালীন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দুঃখের কথা জানালেন শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম।তিনি বলেন শীতের তিব্রতার কারনে মাঠে কৃষক পাওয়া যাচ্ছেনা এতে করে একা একা শীত কালীন সবজির দেখাশোনা করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্তর মুখে পড়তে হচ্ছে।যদিও কৃষক পাওয়া যায় এতে করে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমানে মুজরী লাগছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানায়;জেলার ছিন্নমূল মানুষের জন্য ২২ হাজার কম্বল পেয়েছি।প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিতরন করা হবে।জেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট কম্বল বিতরন নিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন;এখনো কম্বল বিতরন শুরু করিনি।
