জয়পুরহাটের এক নারী ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে’ ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কথিত প্রতারক চক্রের তিন নারীসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
সোমবার গভীর রাতে জয়পুরহাট শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার এবং তাদের হাতে আটক এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী গ্রামের কামরুজ্জামানের স্ত্রী রূপালী খাতুন কনা, তিলাকুদুল নামাপাড়ার কুদ্দুসের ছেলে কামরুল ইসলাম, শালবন গ্রামের কামুজ্জামানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন এবং একই জেলার কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামের মোজাফ্ফরের ছেলে শাহরুল ইসলাম রাজু ও নান্দাইল দিঘী গ্রামের কালামের স্ত্রী আজেদা বেগম।
নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি নয়মুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩/৪ মাস আগে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে রূপালী খাতুন কনার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে ‘প্রেম ও শারীরিক’ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“এক পর্যায়ে স্বামী সিঙ্গাপুর আছে বলে জমি ক্রয়ের জন্য কৌশলে আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন রুপালী।”
নয়মুল আরও জানান, সবশেষ ৩১ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদকে কৌশলে জয়পুরহাট শহরে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে বিক্যাশের মাধ্যমের এক লাখ ১০ হাজার টাকা আদায় করে এবং আরও ১০ লাখ টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
কোন উপায় না পেয়ে আবুল কালাম আজাদের পরিবারের সদস্যরা পিবিআই নওগাঁয় অভিযোগ করলে জয়পুরহাট জেলার ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের গ্রেপ্তার ও ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ কে উদ্ধার করে বলে নয়মুল জানান।
এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে নেওয়া এক লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকাও উদ্ধার করা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এই ঘটনায় নওগাঁর সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।