চাঁপাইনবাবগঞ্জে’র নাচোলে স্কুলছাত্র তাজেমুল হত্যা মামলার সন্দেহ ভাজন আসামী রুবেল গত শনিবার পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর রবিবার রাতেই থানা হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
তথ্য সুত্রে জানাজায় ওই রাতে থানার কনেষ্টবল জয়নাল আবেদীন গভীর রাতে রুবেলকে নিয়ে দোতালায় টয়লেটে নিয়ে যায়, এসময় রুবেল দোতালা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে এমন গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সেলিম রেজা আসামী পালানোর বিষয়টি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে চাননি। অনেকবার এ বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি কোন উত্তর দিতে নারাজ!
তথ্য সুত্রে জানাজায় ওই রাতে থানার কনেষ্টবল জয়নাল আবেদীন গভীর রাতে রুবেলকে নিয়ে দোতালায় টয়লেটে নিয়ে যায়, এসময় রুবেল দোতালা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে এমন গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সেলিম রেজা আসামী পালানোর বিষয়টি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে চাননি। অনেকবার এ বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি কোন উত্তর দিতে নারাজ!
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টারপর অটো নিয়ে এক শিক্ষার্থী তাজেমুল নিখোজ হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিক্ষার্থীর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে নাচোল আমনুরা সড়কের চিনিশল্লা থেকে। পরদিন লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে মৃতের ভাই বাদী হয়ে নাচোল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তাজেমুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নাচোল পৌর এলাকার শ্রীরামপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে সুকেল(১৭)কে তার নিজ বাড়ি থেকে গত শনিবার রাতে নাচোল থানা পুলিশ ও ডিবির সহযোগীতায় আটক করে। আটকের কিছুক্ষন পর তার ভাই রুবেল (১৯) কে পুলিশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবুর বাড়ি সামনে থেকে রুবেলকে আটক করে এবং ওই সময় পুলিশ ধৃত সুকেলকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে রুবেলের মা জোসনা ও ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু নিশ্চিত করেছেন।
পরদিন রবিবার নাচোল থানায় রুবেলের মা ও বোন শ্যামলী বেগম থানায় রুবেলের সাথে দেখা করতে গেলে পুলিশ জানায় এই থানায় রুবেল নামে কোন আসামী নেই। ফলে তারা খাবার ও শীতের কাপড় চোপড় নিয়ে থানা থেকে ফেরৎ চলে যায়।
তথ্যসুত্রে আরো জানাগেছে, রুবেলকে আটকের পর পুলিশ তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে পুলিশ শ্রীরামপুর এলাকার নিয়ামুল হকের ছেলে হযরতকে পুলিশ ঢাকা থেকে আটক করেছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে।
