এবার কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল বিশিষ্ট আশ্রয়ণ প্রকল্প। বুধবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রস্তাবিত জায়গা পরির্দশন করেছেন সরকারের উপসচিব ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-৪ গুলশান আরার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
এর আগে কক্সবাজারের খুরুশকুল নামক এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে পুণর্বাসন করা হয়েছে কয়েক'শ আশ্রিতদেরও।
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ফকির জুম ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনা নামক এলাকায় পৃথক স্থানে নির্মাণ করা হবে বহুতল ভবন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বহুতল ভবন বিশিষ্ট আশ্রায়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ জানান, প্রস্তাবিত একটি এলাকায় রয়েছে দেড় একর সরকারি খাস জমি এবং অপর একটিতে রয়েছে এক একর খাস জমি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক এলাকা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পার্শ্ববর্তী আরো খাস জমির সন্ধান পাওয়া গেলে তাও প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরির্দশনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র পরিবার গুলোকে পুনর্বাসন করা হবে। সেই সাথে ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন এবং ভূমিধসের মতো জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়ের কারণে যারা বাড়িঘর হারিয়েছেন, তারাই এই সুবিধা পাবে।