Aug 10, 2020

ইউপি সদস্যদের দাপট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ের ৮নং ওয়ার্ডের পিয়ারাপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মহরুলের ছেলে ইব্রাহীম(৩০)।পেশায় ভাড়াটে রিকশাচালক।


প্রলোভনে পড়ে স্হানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামকে গত ৩বছর আগে ৫হাজার টাকা দেয়। কথা ছিলো সরকারি প্রকল্পে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবে। রাত পেরিয়ে মাস গড়িয়ে বছরের প্রহর গুনে দোচালা একটা ঘর পাবার অপেক্ষায় থাকে রিকশাচালক ইব্রাহীম(৩০)।

করোনা কালে কোন ঘর না পেয়ে ইউপি সদস্যদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে,আজ দিবো কাল দিবো, এভাবেই এড়িয়ে যায় ইব্রাহীমকে। শুক্রবারে (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় শিমুলতলার বেলতলা এলাকায় ইব্রাহীম অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করে মেম্বার নুরুল ইসলাম ও তার পেটোয়া বাহিনী। আবার গভীর রাতে মেম্বারের ছেলে শিশির, মকবুলের ছেলে আসগারসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ইব্রাহিমের বাড়িতে গিয়ে ইব্রাহিমকে মারধর করে এবং হামলাও করে।

ইব্রাহীম ডেল্টা টাইমসকে জানায়,'স্যার আমি গবির মানুষ, ভাড়া করা রিকশা চালায়, সরকারের করে দেওয়া ঘর (মাটি আছে ঘর নাই প্রকল্প) পাইয়ে দিবে বলে মেম্বার বজু তিন বছর আগে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেই। তিন বছরে কোন বাড়ি না পেয়ে শুক্রবার আমি টাকা ফেরত চাইতে গেলে তার গোন্ডাবাহিনী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাকে জখম করে। আমি মেম্বারের পেটুয়া বাহিনীর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত।'

অন্যদিকে, বারী করে দেবার নামে পিয়ারাপুর এলাকার জাব্বারের দু'ছেলে লাল চান ও ফুল চানের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা, তোফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুকী বেগমের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা,কারাবন্দী মাতবুর রহমনের স্ত্রী ভিক্ষুক জামিনুরের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মেম্বার বজু। বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে মৃত শামসুদ্দিনের স্ত্রীর কাছ থেকে ১হাজার টাকা, গর্ভবতী ভাতার কার্ড করে দিবে বলে জুয়েলের স্ত্রীর নাজমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানা যায়।

এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, মেম্বার নুরুল ইসলাম বজু প্রায় ৬০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে নানান প্রলোভন দেখিয়ে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন; টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সব টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইব্রাহীম আমায় লাঞ্ছিত করেছে এ মর্মে আমি সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছি। মিমাংসা হোক বা না হোক,আমি প্রতিশোধ নিবোই।

বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার নবাগত ওসি মোজাফফর বলেন, আমি মেম্বারের অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু ইব্রাহীমের অভিযোগ হাতে পাইনি। পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) একেএম তাজকির উজ-জামান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই, তবে বিষয়টির সত্যতা পেলে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com