May 17, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা যুদ্ধে জয়ী দুজনের গল্প




বিশ্বজুড়ে গেছে থমকে করোনার প্রাদূর্ভাবে।করোনা ভাইরাসে আক্রান্তসহ মৃত্যুর পাশাপাশি রয়েছে সুস্হতার সংখ্যা।অনেকে করোনা যুদ্ধে জয়ী যোদ্ধারা তাদের সুস্থতার গল্পের পিছনে সবসময় মনবল-আস্থা বিশ্বাস রাখতে বলেছে।

এপ্রিল মাসের ১৫তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বোপ্রথম করোনার থাবায় আঃবারি নামক এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়,তিনি জেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছিলেন,পেশায় তিনি জজ কোর্টের কর্মকর্তা।

আঃবারি বলেন;করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলে কখনো হারাতে হবে ধৈর্য ও নিজের প্রতি থাকতে হবে আস্থা যে আমি এযুদ্ধে জয়ী হবোই।

তিনি আরোও বলেন,জেলা প্রশাসন থেকে আমায় ৪রকমের ঔষধ দিয়েছিলো,অ্যান্টিবায়োটিক গ্যাসের ওষুধ ঠান্ডার প্রকোপ কাটানোর ঔষধ।এছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব উদ্যোগে কোন ওষুধ খাইনি।কিন্তু নিজস্ব উদ্যোগে আদা,গোলমরিচ,গরম পানি পান করেছি।আলহামদুলিল্লাহ আজকে আমি সুস্হতা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন  কে জানায়,সাধুবাদ উনারা আমার সবসময় খবর খবর নিতেন আর তাদের কোন কথায় আমি হতাশ হয়নি বরং তারায় আমাকে সাহস যোগিয়েছে।

অন্যদিকে সদর উপজেলার মহারাজপুর এালাকার বাসিন্দা রুবেল হোসেন এপ্রিলের ১৬তারিখ তার করোনা শনাক্ত করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে।তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলায় এসেছিলো।

রুবেল হোসেন বলেন;আমাকেও আঃ বারির মতোই ঔষধ দেওয়া হয়েছিলো আমিও সবসময় সতর্ক থাকতাম,ভেবেছিলাম কি থেকে কি হবে কিন্তু পরবর্তীতে মনের আস্থায় ধরে রাখলাম সুস্হ হবো,আজ আমি পুরোপুরিভাবে সুস্হ।সুস্থতা হওয়ার জন্য সবচাইতে বড় যে আন্টিবডির দরকার সেটা হচ্ছে মনের বিশ্বাস।যে আমি করোনা যুদ্ধে জয়ী হবোই এ বিশ্বাস থাকলে নতুন করে বেচেঁ থাকার স্বপ্নটা আরো উজ্জীবিত হয়।করোনা কালে আমার পাশে ছিলেন,আমার পরিবার,জেলা প্রশাসনসহ সিভিল সার্জন।তাদের আমি কৃতঙ্গতা জানায় যে;আমাকে কখনোও তারা নিরাশ হতে দেয়নি।

সিভিল সার্জন ডাঃজাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন;আজ ১৭ ই মে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com