চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিচারের অপেক্ষায় কাশেমের পরিবার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কীটনাশক ব্যবসায়ী আবুল কাসেম (৪৫) হত্যা মামলার আসামিদের এখন ও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি নাচোল থানা পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পেরোলেও আসামিরা রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে হতাশ নিহতের পরিবার। অতীত অভিজ্ঞতায় তাদের মনে নানা শঙ্কা দানা বাধছে।আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (ঝর্না),ভাই দিলিপ সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে,গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে প্রায় আধা কিলো মিটার দুরত্বে আন্ধরাইল মোড়ে নিজের সার ও কীটনাশকের দোকান দেখে আসি বলে বেরিয়ে যায় মৃত আবুল কাসেম। রাতে বাড়ী না ফিরলে ২২ এপ্রিল বুধবার সকালে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এদিকে বুধবার সকালে পশ্চিম লক্ষণপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে হাসান আলী তার জমিতে ধান দেখতে গিয়ে জমির আইলের উপর একটি মৃতদেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে হাঁক-চিৎকার শুরু করে। এসময় একই এলাকার দরবেশপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আজাদ ঘটনাস্থলে এসে ওই মৃতব্যক্তিকে আন্ধরাইল গ্রামের ফাইজুদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম বলে সনাক্ত করে এবং তার পরিবারকে খবর দেয়।
পরে মৃতের পরিবার নাচোল থানা পুলিশ কে বিষটি অবহিত করলে নাচোল থানার তদন্ত ওসি আব্দুল হান্নান সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় ঐদিন আন্ধরাইল গ্রামের আসলামের ছেলে হাবিব (৪০), মৃত এলাহী মন্ডলের ছেলে বকুল (৪৫), মেশের আলীর ছেলে আসলাম (৫০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (৩ জন) কে আটক করে নাচোল থানা পুলিশ। হত্যার ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ঝর্না খাতুন বাদী হয়ে সেইদিন নাচোল থানায় একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেন।
মৃতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (ঝর্না) বলেন, আমার স্বামী খুন হয়েছে। তাকে ফিরে পাবোনা জানি, অন্তত; তার খুনীদের গ্রেফতার করা হোক। আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার চাই। আমার স্বামী আবুল কাশেম কে আটককৃতরাই হত্যা করেছে। কিন্তু ঐ দিন নাচোল থানার তদন্ত ওসি হান্নান তাদের কে আটক করার ৫ ঘন্টা পর অঙ্গাত কারনে ছেড়ে দেয়।এমনকি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত ওসি হান্নান আমার মামলার এজাহারে আটককৃদের নাম এজাহার ভুক্ত না করে কালক্ষেপন করছে। আমাদের ধারনা পূর্বশত্রুতার জের বশত আটকের টর ছেড়ে দেওয়া আসামিরাই আমার স্বামী কে হত্যা করেছে। তাদের পুণরায় আটক করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিলে হত্যার ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) আব্দুল হান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কাশেম হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
এ বিষয়ে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে এখনো আসেনি। হত্যার ঘটনার রাতের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষন করে আসামি আটকের চেষ্টা চলছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।