Jul 1, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় ঘরবন্দি মানুষ




চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের প্রথম দিনেই আষাঢ়ে বৃষ্টি নামায় ঘর বন্দি মানুষ। এছাড়াও জেলার সবগুলো উপজেলায় মাঝারি ধরণের বর্ষণও হয়েছে। সকল প্রকার চায়ের দোকান, মুদিখানা, মার্কেট, বিপণী বিতান ও ভ্যারাটিইজ পণ্যের দোকান বন্ধ ছিল। এসময় প্রধান সড়কগুলোতে সেনাবাহিনী আর বিজিবির টহল দিতে দেখা যায়নি তবে পুলিশের চেকপোস্ট দেখতে পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে সরজিমনে গিয়ে জেলাশহরে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।


বেসরকারি একটি কোম্পানি ডিএসআর নাজমুল। তিনি মাঠে যাবেন; সেকারণে তার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। ভারি বর্ষণ আরেকদিকে গণপরিহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। তিনি জানান; আমার নিজস্ব কোন বাহন নেই। একদিকে লকডাউন আরেক দিকে গণপরিহন না থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। ৪ দিনের যাতাযাত খরচ একদিনেই দিতে হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিশ্বরোডের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কর্মচারি শহিদুল। তিনি জানান- বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ি থেকে বের হয়েছি ছাতা নিয়েই। হেটে আসতে আসতে প্রায় ভিজেগেছি। যদি ব্যাটারি চালিত অটোগুলো চলাচল করতো তাহলে বৃষ্টিতে ভিজতে হতো না।

জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চ এলাকায় দায়িত্বে থাকা এক টার্ফিক পুলিশ জানান- সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণেই মানুষ ঘর বন্দি। সকাল থেকেই মানুষের উপস্থিতি কম। যারা প্রয়োজনীয় কাজে বাহির হচ্ছে তারা অবাধে চলাচল করতে পারছে। অকরণেই বের হলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। 

শিবগঞ্জের কানসার্টের আম বাজারে আমের আড়ৎ খোলা থাকলেও আম বাগানিরা আম না পাড়ায় ওই আম বাজারে মানুষের ভীড় দেখা যায়নি। এছাড়াও সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানি চালু রয়েছে।

আমের আড়ৎদার জাকির জানায়; সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে বাগান মালিকরা আম পাড়তে বাগানে যায়নি। তাই বাজারেও মানুষের ভীড়ও দেখা মেলেনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান- জেলায় লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের ২৭ টি টিম মাঠে আছে। তাদের সাথে আছে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্কাউটের সদস্যরা। তিনি আরও জানান; জেলার ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেনাবাহিনী ও ১১টি জায়গায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com