May 29, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সচেতনতা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বিশেষ লকডাউন বলবৎ আছে। শনিবার (২৯ মে) বিশেষ লকডাউনের ৫ম দিন। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনায় ৪ জনের প্রাণ গেলেও বাড়েনি জনাসাধারণে সচেতনতা।

লকডাউনের ৫ম দিনে জেলা শহরেরর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট ছিলো। অকারণেই বের হলে পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে।প্রয়োজনের জন্য যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে তারা অবাধে চলাচল করতে পারছে।এদিকে পাড়া মহল্লায় ছাউনির নিচে গল্পতে সবর ছিলেন গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা। সরজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের সড়কগুলো ছিলে সুনসান। কিন্তু চায়ের দোকান খুলে ভিতরের আলাপে ব্যস্ত জনতা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চরমহনপুর এলাকার বাসিন্দা আঃ আজিজ বলেন; "জেলা শহরে লকডাউন চললেও গ্রামাঞ্চলে বাড়েনি সচেতনতা। আমার এলাকায় বিপণি বিতানসহ সব ধরনের দোকান পাট খোলা আছে। পুলিশ এলাকায় আসলে তড়িঘড়ি করে দোকানবন্ধ করে পালিয়ে যায় দোকানিরা"।

এদিকে শিবগঞ্জ পৌরএলাকার ইসরাইল মোড়ে সব ধরনের দোকান পাট খোলা ছিল।লকডাউন দেখার জন্যেও উৎসুক জনতার ভীড়ও ছিল।তাদেরকে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান “আমরা সারাদিন ঘরে থাকি। সকাল হলেই আগের নিয়মে আড্ডা দেয়ার অভ্যাসটাতো ইচ্ছে করলে ভূলতে পারিনা।” তাদেরকে জেলায় করোনার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার কথা বললে তারা জানান- “যার যতদিন হায়াত আছে সে ততোদিন বাচঁবে।কেউ তার মরণ ঠেকাতে পারবে না।”

একই জায়গায় কয়েকটি রিক্সা,ভ্যান, ব্যাটারি চালিত ছোট যানগুলো দাড়িয়ে ছিলো।তারেদকে যান চলচলের নিষিদ্ধ থাকার কথা বললে তারা জানান- “প্রশাসন গাড়ি চলাচল বন্ধ করেও তারাতো এক বেলার খাবারও ঘরে দিয়ে যায় না।বাড়িতে খাবার না থাকলে কি খেয়ে দিন পার করবো।তার চেয়ে গাড়ি ভাড়া মেরে যা আয় হয়, পরিবারকে খাওয়ায়ে মরতে পারলে প্রাণে বাঁচবো।”

এদিকে জেলার কঠোর লকডাউনের কারণে বাজারগুলোতে ভীড় না দেখা গেলেও, ক্রেতা ও বিক্রিতার কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই ছিলনা।মুখে মাক্স না থাকা এক সবজি বিক্রেতাকে মাক্স না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আর কতক্ষণ মাক্স মুখে দিয়ে থাকবো, এদিকে ভ্যাপসা গরম।আরেক দিকে করোনার প্রকোপ।সবদিক দিয়ে বিবেচনা করেই চলতে হচ্ছে।আমার কাছে কোন ক্রেতা আসলে মুখে মাক্স দিয়েই তার কাছে সবজি বিক্রি করি।”

সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান - “জেলায় ৭ জনের ভারতের করোনার ধরণ পাওয়া গেছে এটা শুনেছি।তিনি আরোও জানান- “ সর্বশেষ করোনার রিপোর্ট পাওয়া সুত্র অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত কেউ ছিলনা।মোট করোনায় আক্রান্ত ১৫৬৭ জন।নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন।মোট করোনায় মারা গেছেন ৩২ জন।করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি আছে।২৫ মে জেলায় করোনা সনাক্তের হার ৬০% ছিলো, বর্তমানে করোনা সংক্রমোণের হার ৩৪% আছে।”
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com