চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের পর কমেছে মাংসের দাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের পর কমেছে মাংসের দাম। জেলার বাজারগুলোতে ঈদের আগে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি এবং গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (২১ মে) বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, যা ঈদের আগের দিন ৬৫০ টাকায় উঠেছিল। আর ৯৫০ টাকায় ওঠা খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের আগে ১৪০ টাকায় উঠে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির কেজি কমে ১৩০-১২০ টাকায় নেমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, যা ঈদের আগে  ৩০০-৩২০ টাকায় উঠেছিল।অপরিবর্তিত রয়েছে লাল লেয়ার মুরগি। আগের মতোই লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

এদিকে মুরগি এবং গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কমলেও সবজির দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি ও সয়াবিন তেল।

গরুর মাংসের ব্যবসায়ী আনাম বলেন, ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা হয়েছিল। এখন দাম কমে ৫৮০ টাকা হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা কম। তবে গরুর মাংসের দাম এর চেয়ে কমার সম্ভাবনা কম।

মুরগি ব্যবসায়ী রাসেল শেখ বলেন, ঈদের পর ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। তবে লাল লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের ধারণা, লেয়ার মুরগির দাম কয়েকদিনের মধ্যে কমে আসবে। কারণ সোনালি মুরগি ও লেয়ার মুরগির দাম সমান হওয়ায় এখন লেয়ারের চাহিদা কমে গেছে।

চিনির মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগের মতো ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঝিঙে আগের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এক কেজি কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন; ঈদের পরে সাধারণত সবজির দাম বাড়ে। তবে এবার সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। সবজির দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কিছুদিন পর সবজির দাম বাড়তে পারে