চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মার্কেট ও শপিং মল খুলেছে।ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শনিবার দোকানপাট ধোয়া-মোছাসহ মালামাল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটান দোকানী ও কর্মচারীরা।
সরেজমিনে জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে
দেখা গেছে, সকাল থেকে ভ্যানগাড়ি, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও রিকশাযোগে বিভিন্ন মালামাল দোকানে
এনে রাখা হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও অর্ডার অনুযায়ী মালামাল বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ
করছেন।অনেক ব্যবসায়ীরা ঈদের জন্য দোকান সাজাতে ঢাকায় বিভিন্ন রকমের পোশাকের অর্ডারও
দিচ্ছেন তারা।
নিউ মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভ্যানগাড়ি
থেকে বস্তার-বস্তা পোশাক নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। দোকান কর্মচারীরা বুঝে নিয়ে নিজ নিজ দোকানে
মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন।
সারোয়ার জাহান নামের এক দোকান কর্মচারী
জানান, আজ থেকে দোকানপাট খুলে গেছে।দোকান তো অনেক দিন থেকে খোলা নাই, অনেক ধুলো বালি
জমা জমে গেছে।আজ সে রকম ক্রেতাদের ভীড় না হলেও, সময় বাঁচানোর জন্য মুছোমুছি করছি।তবে
সন্ধায় ক্রেতাদের ভীড় ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান,
গত তিন সপ্তাহ যাবৎ দোকানপাট বন্ধ থাকায় মালিকের পাশাপাশি আমাদেরও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতি বছর রমজান মাসে তারা বেতন ও বোনাস পান।গত বছরে ১৫ রমজানের পর দোকানপাট খোলায়
বোনাস ও বেতন অর্ধেক পেয়েছেন। মালিকের ইনকাম না হলে পুরোপুরি দেয়া সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার
করেন তিনি ।
একাধিক মার্কেটের দোকান মালিকরা জানিয়েছেন,
তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটে কেনাবেচা করবেন।রোজা রেখে সাধারণত ইফতারের
পরেই মার্কেটে বেশি ক্রেতার ভিড় হয়। লকডাউনে সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকায়
এবং গণপরিবহন চলাচল না করায় কতটুকু ক্রেতা সমাগম হবে তা নিয়ে তারা ভীষণ চিন্তিত।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে
লকডাউনে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে সকাল মার্কেট খুলা থাকবে
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এ ঘোষণায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলার
মার্কেট ও দোকান মালিক সমিতি। ফলে এখন ব্যবসায়ীরা মার্কেটে খুলে দেয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে
নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
