চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর এলাকার রাজা-রামপুর এলাকার জামাল হোসেন (২৮)। সংসার চালাতে নিজের বাড়িতে পোষা একটি মাত্র ছাগলটা বিক্রি করতে হাটে এসেছেন। আজ শুক্রবারের বটতলা হাটে তার সাথে কথা বলে এ সংবাদ জানা যায়।
তিনি বলেন; আমি একজন ভাড়াটে অটো রিক্সাচালক। দিন আনি; দিন খাই। সরকারের ঘোষণা করা লক-ডাউনে আমার সংসার চলছেনা। বাড়িতে পোষা একটি মাত্র ছাগল ছিলো। সংসার চালানোর জন্য আজ শুক্রবার হাটবারে ঐ ছাগলটা বিক্রি করতে এসেছি। যে কদিন লক ডাউন থাকবে কারো কাছে হাত না বাড়িয়ে নিজে কিছুদিন হলেও সংসারের খরচটা বহন করতে পারবো।
সরজমিনে দেখা যায়; সদর থানা পুলিশের একটি দল হাট টি বন্ধ করতে বলে কমিটির লোকজনকে।করোনা সংক্রোমণ রোধে হাট কমিটির লোকজন আজকের হাটটি বন্ধ ঘোসণা করেন। হাট বন্ধের কারণে ঐ জালাম হোসেন ছাগলটি আর বিক্রি করা হলো না। মনের কষ্ট নিয়ে ফিরে গেলেন তার নিজ বাড়িতে।
করোনা সংক্রোমণ রোধে পুলিশ প্রশাসন খুবই কঠোর অবস্থানে আছেন। তারাও নিয়মিত জেলার সকল জায়গা গুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলা শহরে রক ডাউন থাকলেও পাড়া মহাল্লার দৃশ্যটা একেবারেই আলাদা। মনে হচ্ছে তাদের কোন করোনা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই।
জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত ৯০০জন। সুস্হ হয়েছে ৮১৬ জন। করোনা ইউনিটে ভর্তি আছে ৭ জন রোগী। মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৪ জনের। আজ শুক্রবার বিকালে জেলা সিভিল সার্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
