চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে চেকপোস্টে কোথাও আছে পুলিশ, কোথাও নেই। কোথাও পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গল্পে করতে করতে সময় পর করছে। প্রথম দফার লকডাউন শেষে ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। প্রথম দফায় জেলাবাসীকে লকডাউন মানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ভূমিকায় ছিল। তবে দ্বিতীয় দফার এসে তেমনটি আর দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলাজুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই মুভমেন্ট পাস না নিয়েই বের হয়েছেন।
বারোঘরিয়া ব্রিজ চত্বর মোড়ে প্রথম সপ্তাহে কঠোর লকডাউনে চেকপোস্টে পুলিশের ভূমিকা ছিল খুবই কড়াকড়ি। চেকপোস্ট দিয়ে একটি গাড়িও পুলিশের চেকিং ছাড়া বের হতে পারেনি। কিন্তু আজ সকালে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে পুলিশের কড়াকড়ি তো দূরের কথা, চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি।
জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়ক। বিশ্বরোড মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসলেও তাদের কোন কাজ কর্ম চোখে পড়েনি। গাড়ির সিগন্যাল দেয়ার জন্য দুই-তিনজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো গাড়ি চেক করতে দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর কিছু চেকপোস্টে কড়াকড়ি দেখা গেছে। এর মধ্যে, শান্তি মোড়,হরিপুর,নয়াগলা, রয়েছে।
শান্তি মোড়ের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন; গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে মানুষ বেশি বের হলেও বেশিরভাগই মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হচ্ছে। ২০টি গাড়ির মুভমেন্ট পাস চেক করলে ১৯টি গাড়িতেই পাস পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ আগের চেয়ে সচেতন হয়েছে। বের হলে অন্তত মাস্ক পরে বের হচ্ছে এবং সঙ্গে মুভমেন্ট পাস রাখছে।
