দেশজুড়ে একদিকে চলছে রমজান মাস। আরেকদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। এই দুই মিলে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে তরমুজের দাম। ৪দিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান ও বাজার ভেদে তরমুজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা
কেজি দরে। যা রোজা শুরু হওয়ার আগে ছিল ২৫ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। এ মৌসুমে যখন বাজারে
প্রথম যখন তরমুজ আসে, সে সময় দাম ছিল ২৫-৩৫টাকার মধ্যে।
তরমুজের দাম বাড়ার বিষয়ে সাত্তার নামের
এক ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার কারণে তরমুজের চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বিধিনিষেধের
কারণে জেলায় তরমুজ কম আসছে। এছাড়া তরমুজের মৌসুমও শেষ হয়ে আসছে। এসব কারণেই তরমুজের
দাম বেড়ে গেছে।
পুরাতন বাজারের এক ব্যবসায়ী বলছেন; তরমুজের
মৌসুম খুব বেশি দিন থাকে না। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যায়। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তরমুজ
আসে পটুয়াখালী থেকে। আর সে তরমুজ রাজশাহী হয়ে আমাদের জেলায় আসে। ইতোমধ্যে পটুয়াখালীর
তরমুজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
ওই বাজারে ৫৫ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি করা
এক ব্যবসায়ী বলেন,; গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজের দাম বেশি। গত বছর এমন সময় ৬-৮ কেজি
ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি করেছি ২০০ টাকার মধ্যে। এবার পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রিই হয়নি।
শুরু থেকেই কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আরও বলেন, রোজার কারণে এখন তরমুজের চাহিদা বেড়েছে।
আবার লকডাউনের কারণে তরমুজ আসা কমেছে। আমরাও অনেক কষ্ট করে আড়ত থেকে তরমুজ আনছি। এছাড়া
তরমুজের মৌসুম আস্তে আস্তে শেষ হয়ে আসছে। সবকিছু মিরিয়ে তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। এবার
তরমুজের দাম আর কমার সম্ভাবনা কম।
বিশ্বরোডে ভ্যানে তরমুজ বিক্রি করা এক ব্যবসায়ী
বলেন, ছোট তরমুজের কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আর বড় তরমুজের কেজি ৫৫ টাকা। রোজার
আগে ছোট তরমুজের কেজি ২৫ টাকা এবং বড় তরমুজের কেজি ৩০ টাকা ছিল। তিনি আরও বলেন, ছোট
হোক বা বড় এখন সব তরমুজই লাল ও মিষ্টি। তবে অবশ্যই বড় তরমুজের চাহিদা বেশি। এ কারণে
দামও বেশি।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, তরমুজে খুব সামান্য
ক্যালোরি আছে। তাই তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তরমুজের ৯২
শতাংশই পানি। শরীরে পানির অভাব পূরণে ফলের মধ্যে তরমুজই হলো আদর্শ ফল। তরমুজে আছে পর্যাপ্ত
ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ। মৌসুমি এই ফলটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
তরমুজ হলো ভিটামিন ‘বি৬’-এর চমৎকার উৎস, যা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
