Apr 4, 2021

আম চাষিদের মাথায় হাত




চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। রোববার বিকেলে হঠাৎ কালবৈশাখীর তান্ডবে সব লণ্ডভণ্ড হয় আমের বাগান। জেলার আম চাষিদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 সদর উপজেলার আম চাষি আশরাফ। এবার আমের বাগান কিনেছে ১২ বিঘা। হঠাৎ ধুলি ঝড় হওয়ায় প্রায় গাছ থেকে অনেক আমের গুটি সব ঝড়ে গেছে। তিনি জানান; আমের মুকুল হওয়া থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। তাই আমের মুকুল ফুটে আমের গুটি বের হলেও; ঐ আমের বোটা শক্ত হয়নি। যার ফলে বাতাসে অনেক আম ঝড়ে পড়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার মুনিরুল ইসলাম। সে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক জায়গায় আমের বাগান কিনে রেখেছে। আফসোস করে তিনি জানান; হঠাৎ এমন তান্ডবে আমার মাথায় হাত পড়বে এটা কখনো ভাবিনি। আমার অনেক আম বাগানের আমের গুটি ঝড়েছে। 

গোমস্তাপুরের আম চাষি রবিউল আলম। তিনি জানান; সকাল থেকে আবহওয়া অনেক ভালো ছিলো। ভেবেছিলাম যদি বৃষ্টি হতো তাহলে আম নিয়ে অনেকটা স্বস্তি পেতাম। হঠাৎ বাতাসের তান্ডব শুরু হলো; স্বপ্নটাও ভেস্তে গেলো। আরেকটু স্বস্তি যদি বাতাসের পর বৃষ্টি হতো।

নাচোল উপজেলার আম চাষী আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি জানান; বেশকয়েক বছর আগে থেকে; আম নিয়ে চিন্তিত থেকেছি। অনেক কষ্টে লসকান গুলো শুধরিয়েছিলাম গতবছরের আমের ব্যবসায়। এবার আমের ফলন হবে কিনা সন্দেহ। তবে প্রথমবারের মতো বাতাসের তান্ডবে অনেক আমের গুটি ঝড়েছে। এবার কেমন হবে তা এখনে নিশ্চিত।

ভোলাহাটের আম ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম। বিলভাতিয়ার পাশেই তার আমের বাগান। হঠাৎ তান্ডবে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। যা বলে বোঝাবার না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়; এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৪ হাজার ৭৭৮ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৭০০ হেক্টর বেশি। এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। এ বছর ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ গাছ মুকুলিত হতে পারে আশা করছেন তারা। কিন্তু আম চাষিদের মতামত ভিন্ন। আজকের তান্তবের জন্য তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান চাষিরা।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com