করোনার ভয়ে তো আর ভোক মিটাবে না
হারোও প্যাট আছে। করোনোর ভয়ে তো আর ভোক মিটবেনা।হামারো ৩ টা ব্যাটা বেটি আছে।বাড়িতে হারও মা বাপ আছে। তারঘেও প্যাট আছে। হারা যদি করোনার ভয় করি, তাহলে হারাকে খ্যাইতে দিবে কে? হারো ইচ্ছা রে করে বাড়িতে পায়ের উপর পা তুইল্যা খাইতে। কিন্তু ওই রকম কইর্যা কিন্তু ওই রকম কইর্যা খাবো যে তা হারঘে কপালে নাই। গতবার তাও নেতারা ও প্রশাসনের লোক জন খাইতে দিয়্যাছিলো। এবার তো কেউ খ্যাইতে দায়নি। তার পরেও আল্লাহর দিন, আল্লাহ চালিয়ে দিচ্ছে। এরকম করে মন্তব্য করছিলেন জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ছোট পরিবহণের মালিকরা।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ছোট ছোট যানবাহনগুলো চোখে পড়ার মতো। সড়কেও রয়েছে যানজট। শুধু বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মার্কেট গুলো খুললেও নেই সেখানে স্বাস্হ্যবিধীর বালাই।
সড়কে বের হওয়া অধিকাংশ মানুষই কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার জন্য বের হয়েছেন।নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। মাক্স ব্যবহারে বেড়েছে অনিহা। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে চলছে লকডাউন। এরমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট-শপিং মল। খোলা রয়েছে কলকারখানা, অফিস। ফলে সড়কে বাড়ছে মানুষে ভিড়।
রিক্সাচালক আঃ বাতেন বলেন, ‘বাসায় খাবার নেই।পেটে ভাত না থাকলে জীবন বৃথা। কেউ তো এক বেলা খাওয়াবে না। সরকারও কোনও ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে না। দিলেও তো আমরা পাবো না। করোনার ভয় তো আর ক্ষুধা মিটাবে না।’
ঘর ছেড়ে সড়কে বের হওয়া নাগরিকরা বলছেন, সবকিছু চালু রেখে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল কঠিন। তাছাড়া কাজ বন্ধ রেখে পরিবার চালানো দায়। তাই কাজের সন্ধান বা কর্মক্ষেত্রেই বের হয়েছেন তারা। নগরীর এই যখন অবস্থা তখন সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য বলা হচ্ছে।

