খোঁজ নিয়ে জানা যায়; চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আলীনগর এলাকার ভূতপুকুর। এ গ্রামে বসবাস করে প্রায় দু'শ জন। বিদ্যুৎ থাকলেও নেই বৈদ্যুতিক খুঁটি। গ্রামবাসীর উদ্যেগে বাঁশের উপর ভর করে বৈদ্যুতিক তারগুলো আটকানো আছে। এ নিয়ে স্হানীয়রা জীবন নিয়ে শঙ্কিত থাকতে হয়। স্হানীয়রা বলছে; সরকারী রাস্তার পাশ্বে ৪টি গলিতে মোট ১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্হাপন করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
এলাকার বাসিন্দা সারমিন আক্তার,আমাদের এ এলাকায় অনেক দিন থেকে বাঁশের খুঁটির উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেয়া আছে। ঝড়বৃষ্টি হলে; জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকি আমরা।
এলাকার বাসিন্দা সাবান আলী। সে একজন সচেতন নাগরীক। তিনি জানান; অনেক সময় ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটির আবেদন করেও হদিস মেলেনি। কর্তৃপক্ষের নিকট অনেক বার এলাকা বাসীরা গেলেও কানে কথা তুলেনি।
মোঃ এসডু। তিনিও ভূত পুকুর এলাকার বাসিন্দা। বয়স প্রায় ৪০ বছর। তিনি জানান; বর্ষাকালে বজ্রপাত হলে শর্টসার্কিট হয়। এ সময় অনেক অগ্নিকান্ডের মতোও দূর্ঘটনা ঘটে। অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়।
বিধবা নারী শামসুন নাহার। তিনি জানান; বৈদ্যুতিক খুঁটির পরিবর্তে বাশ দেয়ায়; সে বাশের গোড়ায় পঁচন ধরে। এ সময় জবীন শঙ্কায় থাকতে হয়। তখন জীবন বাঁচানো দায় হয়ে পড়ে। আমিতো স্বামী হারা এক অভাগা নারী। ঐ বাঁশের গোড়ায় আমার টিনের চাল। পঁচন ধরা বাশের পরিবর্তন করতে টাকা লাগে। এতো টাকা পাবো কোথায়। কে দিবে আমায় টাকা।
এলাকার সমাজসেবী নারী। আসন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী নাজনীন ফাতেমা জিনিয়া। তিনি জানান; বাঁশ খুঁটির এ খেলায় কবে কার জীবন যায় কারো জানা নেয়। বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আগেই কর্তৃপক্ষের সুনজর চাই। জন জীবন যাতে হুমকীর মুখে না রয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী-১ অলিউজ্জামান সকল অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এ বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো বিভিন্ন সময় দেয়া হয়েছে। নতুন টেন্ডার হলে, এলাকাটিকে ঝঁকিমুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।