গতকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই । তবে কী কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা। ধারণা করা হচ্ছে ;আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করেই মূলত প্রশাসনের অঘোষিত নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে গন্তব্যে যেতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
ভুক্ত ভোগীরা জানান, সোমবার ভোর থেকে যথারীতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী আন্তজেলা সার্ভিসের বেশ কিছু বাস ছেড়ে গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব রুটের বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গন্তব্য যাচ্ছেন। যাত্রী আবুল হাসান টাইগার বলেন, রাজশাহীতে অসুস্থ স্ত্রীকেও দেখতে যেতে পারলাম না। মরা মরা অবস্থা রোগীর। এই সিদ্ধান্তের প্রতি ঘৃণা জানাই। আগে জানালে অন্যভাবে অসুস্থ স্ত্রীর কাছে যেতাম। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের বাসচালক মো. আতিক বলেন, সকালে আসার পর বাসের মালিক হঠাৎ বলেন বাস চলবে না। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান- ধর্মঘট চলছে, তাই চলবে না। ফলে সারাদিন বসে আছি। আতিক বলেন, দিন আনি, দিন খাই। তাই এসব ব্যাপারে এতো খোঁজ নেয়ার দরকার নাই। তবে শুনলাম রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ, তাই বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
জেলা ট্রাক,
ট্যাংক লরি,
কাভার্ডভ্যান শ্রমিক
ইউনিয়নের সাধারণ
সম্পাদক আনারুল
ইসলাম আনার
বলেন, সকাল
থেকে রাস্তার
মোড়ে মোড়ে
পুলিশ গাড়ি
বন্ধ রাখছে।
যেতে দিচ্ছে
না। কী
কারণে এমন
সিদ্ধান্ত আমরা
কিছুই জানি
না। জেলা বাস
মালিক সমিতির
সভাপতি অ্যাডভোকেট
এ এফ
এম লুৎফর
রহমান ফিরোজ
জানান, ২ মার্চ পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ
থাকবে। তবে
কেন বাস
চলাচল বন্ধ
থাকবে; তার কোনো
উত্তর দেননি
তিনি। গতকাল সকাল ৮টার
দিকে শহরের
বিশ্বরোড মোড়ে
চেকপোস্ট বসায়
পুলিশ। এরপরই
পুরোপুরি বন্ধ
হয়ে যায়
বাস চলাচল।
তবে অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার
মাহবুব আলম
খান জানান,
পুলিশের বাধায়
বাস চলাচল
বন্ধ হয়নি।
নিয়মিত অভিযানের
অংশ হিসেবে
পুলিশ জেলার
বিভিন্ন এলাকায়
চেকপোস্ট বসিয়েছে।
যানবাহন চলাচলে
কোনো প্রতিবন্ধকতা
বা সাধারণ
মানুষের চলাচলে
বাধা সৃষ্টি
করা হয়নি।