মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের সময় আরও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপি করা যাবে না। এ সুবিধা আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল।
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ‘ঋণ, লিজ, অগ্রিম শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসানের কথা বিবেচনা করে প্রথম দফায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছাড় দেয়া হয়। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর করা হয়। এখন আবার বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখনও কোভিড-১৯ এর কারণে অনেকাংশে ঋণগ্রহীতার পক্ষে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব লাঘবের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হল।
পূর্বঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্ব পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের খেলাপি না দেখানোর কথা ছিল। তবে নতুন সার্কুলারে এই সময়সীমা আরও তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেয়া হবে এই সুবিধা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যত সংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে সমসংখ্যক কিস্তি বাড়িয়ে ঋণ আদায় করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে এই সময়ে কোন দন্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি নেয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।