Sep 18, 2020

সুনীল অর্থনীতির সুফল ঘরে তুলতে ১০ কৌশল

দেশের সম্ভাবনাময় সুনীল অর্থনীতির (ব্লু-ইকোনমি) সুফল ঘরে তুলতে ১০ ধরনের কৌশল নেয়া হচ্ছে। কৌশলগুলো নির্ধারণ করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। একইসঙ্গে পাঁচ ধরনের চ্যালেঞ্জও চিহ্নিত করা হয়েছে।


সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সমুদ্রে বাংলাদেশের বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তারে সহায়ক। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা ঘিরে বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রাপ্ত এলাকা এখন দেশের ‘উন্নয়নের নতুন ক্ষেত্র’ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-৪১) এসব কৌশল ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। দীর্ঘমেয়াদি এ পরিকল্পনা সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ইতোমধ্যে ছয় বছর পেরিয়ে গেছে; কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি। সমুদ্র অর্থনীতিতে বিনিয়োগের দ্বার দ্রুত খুলে দেয়া উচিত। তা না-হলে সমুদ্রের গভীরে তো আর কেউ সীমানা মানবে না। ফলে সম্পদ চলে যেতে পারে অন্য দেশে। শুধু পরিকল্পনার মধ্যে থাকলে চলবে না, এখন প্রয়োজন কৌশলগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন।

সূত্র জানায়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি হয়। বাংলাদেশ তার এলাকাভুক্ত অংশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মহীসোপান সমন্বয়ে বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার ওপর স্বত্বাধিকার লাভ করে। অগভীর মহীসোপান ও সমুদ্রের অংশ যথাক্রমে ২০ এবং ৩৫ শতাংশ। বাকি ৪৫ শতাংশ গভীর সমুদ্র।

পরিকল্পনায় চিহ্নিত চ্যালেঞ্জগুলো হল : বিনিয়োগের অভাব এবং বেসরকারি খাতের অপর্যাপ্ত ভূমিকা। এ ছাড়া সামুদ্রিক সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ ও জ্ঞানের অভাব, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় উন্নয়ন কাঠামোর অনুপস্থিতি এবং এ সংক্রান্ত মানবসম্পদের অভাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com