গতকাল ‘কভিড-১৯ এর সময়ে এবং পরবর্তীতে উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইড লাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কভিড-১৯ সংকট মোকাবিলার জন্য আমাদের একটি সুসমন্বিত রোডম্যাপ দরকার। এ সংকট দূর করতে ২০৩০-এর এজেন্ডা, প্যারিস চুক্তি এবং আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা আমাদের ব্লুপ্রিন্ট হতে পারে।’ তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী যে ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন সেগুলো হচ্ছে : প্রথমত, জি-৭, জি-২০, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সংস্থা (ওইসিডি)ভুক্ত দেশগুলো, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট (আইএফআইএস)গুলোর বার্ষিক প্রণোদনা, ছাড়ের অর্থ এবং ঋণ মওকুফের পদক্ষেপ বৃদ্ধি করা উচিত। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের ৭ শতাংশ ওডিএ প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বেশি বেসরকারি অর্থ ও বিনিয়োগ সরিয়ে আনা প্রয়োজন। ডিজিটাল বিভাজন বন্ধ করার জন্য আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে আরও কাজে লাগাতে হবে।
তৃতীয় প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-পরবর্তী জব মার্কেটের জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করে রেমিট্যান্স প্রবাহের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে আমাদের নীতিগত পদক্ষেপের প্রয়োজন।