আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই স্বেচ্ছাসেবকদের সেবা নেওয়া করোনা পজিটিভ এক মা ও মেয়ে বলেন, ‘নিরলসভাবে তাঁরা যে সেবা দিয়েছেন, তা কখনো ভুলতে পারব না। আপনজনও এমন সেবা করেন না। তাঁদের ঋণ শোধ করার মতো না।’
চলতি মাস থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পেয়িং ওয়ার্ডে আইশোলসন ওয়ার্ড স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে ৪৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। ভর্তি থাকা ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা অন্তত ১০ জনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। তাঁদের সবারই মন্তব্য, চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের ছেলেরা যে সেবা দিচ্ছেন, তা অতুলনীয়। দিন–রাত যেকোনো প্রয়োজনে তাঁরা দ্রুত সাড়া দেন, পাশে দাঁড়ান।
এই কাজে নেতৃত্ব দেওয়া হাফিজসহ পাঁচজন এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়েছেন। ইতিমধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে আবারও সেবাকাজে যোগ দিয়েছেন। বাকি দুজন আইসোলেশনে আছেন। হাফিজ বলেন, ‘বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থাকাটাই রাজনীতি। এই মন্ত্র থেকেই কাজ করে যাওয়া। যত দিন সরকারের তরফ থেকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা না আসবে, তত দিন এই সেবা চলমান থাকবে।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মীরা যে সহযোগিতা করছেন, সেটা প্রশংসার দাবিদার। করোনাকালে যেখানে ভয়ে পরিবারের সদস্যরা স্বজনদের থেকে দূরে থাকছেন, সেখানে এমন সেবা দেওয়ার মন–মানসিকতা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ‘নিরলসভাবে কাজ করা ছাত্রলীগ কর্মীদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তাঁরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য কাজ করছেন।
