Jul 23, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ


সমাজের অসহায়, অসচ্ছল ব্যক্তিদের জন্য বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ০২নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে বিভিন্ন পরিমানে অর্থ আদায় করে ১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কার্ড পায়নি কয়েকজন ব্যক্তি। সরকারি এসব সুবিধা পাবার ক্ষেত্রে পুরোপুরি যোগ্য হলেও টাকা নিয়েও আজকাল করছে জামায়াত নেতা ইউপি সদস্য নুরুল আমিন।

গোবরাতলা ইউনিয়নের দিয়াড় ধাইনগর উত্তরপাড়া-সিরোটোলা গ্রামের দিনমজুর তাজেমুলের স্রী সুমেরা বেগমের ৫ বছর আগে চোখে টিউমার হয়। চোখ থেকে সেটি মাথা পর্যন্ত চলে গেলে এক চোখ পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায় সুৃমেরা বেগমের। তিনি জানান, ১ বছর আগে নুরুল মেম্বার প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেয়ার জন্য উপজেলায় খরচ দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়। এখন পর্যন্ত আমার কার্ড পায়নি।

একই এলাকার আনেজা বেগমকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নেয় ইউপি সদস্য জামায়াত নেতা নুরুল আমিন। আনেজার এক আত্বীয় বলেন, আনেজা ৩ হাজার টাকা দিয়েছে একটা কার্ড করে নেয়ার জন্য। কিন্ত নুরুল মেম্বার টাকা খেয়ে নিয়েছে, এখনো কার্ড করে দেয়নি।

গ্রামের এমন আরো কয়েকজন ব্যক্তি বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতার কার্ড করে নাম করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন। তারা বলেন, গত ৪ বছরে টাকা ছাড়া কোন সরকারি সুবিধার কার্ড হয়নি। গরিব, অসহায়, অসচ্ছল, দিনমজুর মানুষের কাছে টাকা নিয়ে অট্টালিকা বানাচ্ছে নুরুল আমিন বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, এর আগে গোবরাতলা ইউনিয়নের দিয়াড় ধাইনগর উত্তরপাড়া-সিরোটোলা গোরস্থানে সরকারি বরাদ্দের ৫ টন চালের আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হলেও মাত্র ৪২ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে বাকি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়াও জামায়াত নেতা নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে। এমনকি বিস্ফোরণ আইনের মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, এমন কোন অনিয়ম আমি করিনি। কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি, আমার সামনে এসে বলতে বলেন।

মুঠোফোনে গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসজাদুর রহমান মান্নু মিয়া বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না এবং কেউ অভিযোগও করেনি। এসময় তিনি প্রতিবেদকে টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে বলেন। তিনি জানান, প্রমাণ করতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সরকার জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com