চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে সামাজিক দূরত্ব রেখে জুমার নামাজ সম্পূর্ণ
করোনার প্রাদূর্ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলো বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা।তারাই ধারায় বাংলাদেশ সরকার দেশকে সুরক্ষিত রাখতে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সাদা রং দিয়ে ৩ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাগ দেওয়া যাতে করে ক্রেতারা নিদিষ্ট দূরত্ব ঠিক রেখে তাদের চাহিদা মতো বাজার করতে পারে।
মসজিদে সামাজিক দূরত্ব না মানায় বাংলাদেশ সরকার মসজিদে কম সংখ্যক লোক নামাজ পড়ার অনুমোদন দেয়।গত একমাস যাবৎ এরকম চললেও চলতি মাসের ০৭ তারিখ বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে মসজিদের উপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে মসজিদের সামাজিক গুরুত্ব বজায় রাখে জুমার নামাজ সম্পন্ন করেন জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জেলার নিমতলা,শান্তিমোড়,বটতলা,বিশ্বরোড অক্টোয়ন মোড়,উপজেলা ক্যাম্পাস,শিবতলা উদয় সংঘমোড়,শিবগঞ্জ উপজেলার ইসরাইল মোড় শিবগঞ্জ বাজার মনাকষা রানিহাটি, সাহাপাড়া,গোবরডাঙ্গা,বিনোদপুর,কানসাট সোনামসজিদ,তোহাখানা,প্রতিনিধিদের জানানো তথ্যে জানা যায়যে, জামে মসজিদে নামাজ জুমার নামাজ পড়তে আসার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সরকারের নির্দেশনা কে অবজ্ঞা না করে মুখে মাক্স,হাতে গ্লাভস,নিজস্ব মসল্লাহ(জায়নামাজ)নিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন।
মসজিদ কর্তৃপক্ষদের নিকট জানা যায় যে;তারা মসজিদে ঢোকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা সহ,মসজিদ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বের হওয়ার পরপরই মসজিদকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।
৭০ বছরের বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম বলেন;দীর্ঘ এক মাস পর মসজিদে নামাজ পড়তে আসলাম,নামাজ পড়তে এসে খুবই আনন্দিত মনে হচ্ছে ভেবেছিলাম বোধহয় আর কোন দিন মসজিদে নামাজ পড়া হবে না,আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই যে আমাকে নামাজের জন্য কবুল করে নিয়েছেন।
জেলার সকল মসজিদের ইমামরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে খোদার কাছে প্রার্থনা করেন।

