চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে নবজাতকসহ তিনজন প্রাণ হারিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরএলাকায় ১৫নং ওয়ার্ডে এব্রোশান করে এক বাচ্চাকে মাটি চাপা দিয়ে চলে যায় অজ্ঞাতরা।৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াইটায় এঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান,বালুবাগান ল্যাবরেটরী স্কুলের সামনে বাচ্চার গলায় মিষ্টির জালি পেঁচানো অবস্থায় শপিং ব্যাগে ভরে মাটি চাপা দিয়ে দেয়।স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়;বাচ্চাটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়,পরক্ষনে প্রশাসনসহ স্থানীয় বাসিন্দা সহযোগিতায় পৌরএলাকার মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউপির পারকালোপুর গ্রামের মোঃ মুকুল মাস্টারের মেয়ে ও দাদনচক গার্লহাইস্কুলে ম্যাডামের মেয়ে মিম নামের মেয়েটি আত্মহত্যা করে।পুলিশ জানায় মেয়ের পেটে ব্যাথা জনিত সমস্যা থাকায় বাড়ির বাইরে বের হতো না,পরক্ষনে রাতে আত্মহত্যা করে আজ (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১ টার মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে ময়নাতদন্ত করে তার লাশ দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে জেলার শিবগঞ্জের পদ্মা নদীতে ডুবে এক ছাত্র নিখোঁজ হবার ৩ ঘন্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মাছধরা নৌকা থেকে পড়ে সে নিখোঁজ হয় এবং দুপুর ২টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়।মৃত ছাত্র পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিন পাঁকার তেররশিয়া গ্রামের মো: এখলেসের ছেলে মিঠুন (১৬)।মিঠুনের পিতা এখলেস জানান, বেলা ১১ টার দিকে মিঠুন সহ ৪ জন পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যায়। নৌকা থেকে তারা নদীতে জাল ফেলার সময় জালের সাথে ৪ জন পড়ে গেলে মিঠুনের ৩ সহযোগী সাঁতরে নৌকায় উঠতে পারলেও মিঠুনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁকা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো: রমজান আলী। তিনি জানান, স্থানীয়রা ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর দুপুর ২ টার দিকে পদ্মা নদী থেকে মিঠুনের লাশ উদ্ধার করে।