Feb 27, 2020

যোগ্যতা সম্পন্ন জ্যোতিকে চাই জনতা


আসছে ৫ই মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আলীগের কাউন্সিলে ত্যাগি নেতার ছেলে ও যোগ্য সাংসদের ভাই মেসবাহুল শাকের জ্যোতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যোগ্য পদপ্রার্থী দাবী অনেক কাউন্সিলারদের। একটি সূত্র জানায়, আসন্ন সম্মেলন কে ঘিরে এই পর্যন্ত যে সকল নেতাদের নাম শুনা যাচ্ছে তার মধ্যে মেসবাহুল শাকের জ্যোতি এগিয়ে রয়েছেন। দলের মধ্যে বিভিন্ন মহল ও তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কাছে জানতে চাইলে, তারা বর্তমান আওয়ামী লীগের সংগঠনের খারাপ অবস্থার জন্য বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বকে দায় করেন ও নতুন নেতৃত্ব আশা করছেন। আর নতুন নেতৃত্ব হিসেবে মেসবাহুল শাকের জ্যোতিকে এগিয়ে রাখছেন বলেও তারা জানান। এদিকে মেসবাহুল শাকের জ্যোতির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ এর অবস্থান ভাল না,আমি ছোট থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক শক্তি বিরোধী আন্দোলনে শারীরিক ভাবে নির্যাতিত হয়ে কয়েক দফায় কারাবরণ করি, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাম্প্রদায়িক বিরোধী প্যানেলের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে একমাত্র নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ছিলাম বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নবাবগঞ্জ কলেজ অনার্স কোর্স খোলা হোস্টেল সমস্যা সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করি,এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে জেলায় রুপান্তরের দাবিতে এবং ধানীজমিতে ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ করার প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করি। সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক,জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করি। তিনি বলেন, আমার আব্বা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিলেন, তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নেতৃত্বদান করেন, তিনি সংসদ সদস্য ও পরবর্তীতে জেলা গভর্নর নির্বাচিত হন।সুদীর্ঘ ৫ দশক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেন এছাড়াও তিনি একুশে পদক (মরণোত্তর)২০২০ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য প্রাপ্ত হন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বড় বোনকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। আমি এইসব কারণে নিজেকে সাধারন সম্পাদক পদে সকলের চাইতে যোগ্য বলে মনে করি, তাছাড়া আমি ছাত্র রাজনীতি,যুব রাজনীতি,বর্তমানে সাংসদ বোনের সাথে সহযোগী হিসেবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে জেলাবাসীর সেবা করে চলেছি ও জেলা আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি।
এছাড়াও তিনি বলেন ১৯৮২ সালে ১ম বিভাগ নিয়ে এস.এস.সি,১৯৮৫ সালে ১ম বিভাগে এইচএসসি,১৯৮৭-৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় বিভাগে বি.কম পাশ করেন ১৯৯২-৯৩ সালে Baton Rouge Vo-Tech,Baton Rouge,USA হতে অটোমটিভ টেকনোলজি কোর্স শেষ করেন।তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সমান পারদর্শী। সবদিক দিয়ে সাম্ভাব্য সকল প্রার্থীদের মধ্যে তিনি এগিয়ে বলে ধারণা করেন সকলে।ইতিমধ্যে সম্মেলন হওয়া সকল উপজেলার নতুন নেতৃত্ব আশা করছেন জ্যোতি হবে তাদের যোগ্য অভিভাবক।এখন কে হচ্ছেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সামনে মার্চ মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com