Showing posts with label আইন আদালত. Show all posts
Showing posts with label আইন আদালত. Show all posts

Jan 3, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেয়ারম্যানসহ মেম্বার আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেয়ারম্যানসহ মেম্বার আটক


জোরপূর্বক সম্পত্তি আদায়ের মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই সঙ্গে দায়পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জিয়াউর রহমানকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার ২৭ আসামিকে জামিন ও এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সিআর ৩৮২/২০২০ নং মামলায় দায়পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য জিয়াউর রহমানসহ ২৯ আসামি আদালতে হাজির হন। এ সময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ২৭ আসামিকে অন্তর্বতীকালিন জামিন দেন। 

দায়পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জিয়াউর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এদিন সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. দেলওয়ার জাহান জানান, বাদীকে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে পাঁচটি ব্যাংক চেকের পাতা এবং কয়েকটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপ নেয়ার অপরাধে ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। 

মূলত বলপ্রয়োগে সম্পত্তি আদায়ের চেষ্টায় আসামিরা ব্যাংক চেক ও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প হাতিয়ে নেন। আমলী আদালতে (শিবগঞ্জ) আইনের ৪৪৮/৩৪২/৩৮৬/৩৪/১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। সে সময় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তেও ঘটনার সত্যতা পাই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


Dec 30, 2020

জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন গ্রেফতার

জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন গ্রেফতার

নেত্রকোনার পূর্বধলায় পাঁচ বছরের শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে আরিফুল ইসলাম (৩২) নামে এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার আমতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।গ্রেফতার আরিফুল উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের ধোবারুহী গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

file picture

পূর্বধলা থানা সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন তার স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা সদরের আমতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সেখানে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকে আরবি পড়াতেন তিনি। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী শিশু ওই বাসায় আরবি পড়তে গেলে তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে আরিফুল।

শিশুর পরিবার জানিয়েছে, বাড়িতে ফিরে ওই শিশু তার মাকে বিষয়টি জানায়। এরপর শিশুর বাবা বিষয়টি পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি অবগত করেন। ইউএনও ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার রাতেই শিশুর মা বাদি হয়ে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। রাতেই অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পূর্বধলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে আরিফুল ইসলামকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি আরিফুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Dec 20, 2020

প্রেমিক ও প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড

প্রেমিক ও প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়ার জেরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মা এশা ও এশার প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।

মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এতে এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। অপরদিকে বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। বর্তমানে বাক্কু ও এশা দুইজনই পলাতক।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ উপ-সচিব আটক;অতঃপর বরখাস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ উপ-সচিব আটক;অতঃপর বরখাস্ত

বরখাস্ত হচ্ছেন ফেনসিডিলসহ আটক রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


তিনি বলেন, ওখানকার প্রশাসনের প্রতিবেদন পেলে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। আইনে এই ধরনের অপরাধের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে।

সরকারি পাজেরো গাড়িতে করে পাঁচটি বড় কোকের বোতলে ফেনসিডিল কিনে রাজশাহীতে ফেরার সময় গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা সেতুর টোলঘর এলাকায় একজন সঙ্গীসহ আটক হন মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

গত শনিবার বিকেল ৫টায় শুনানি শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহা. আবু কাহার উপসচিব নুরুজ্জামান ও তার সহযোগী লাজুককে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

Dec 19, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকসহ উপ-সচিব আটক;আদালতে সোপর্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকসহ উপ-সচিব আটক;আদালতে সোপর্দ


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের সদস্যদের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ শুক্রবার রাতে আটক রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(উপ-সচিব) নুরুজ্জামানসহ ২জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(উপ-সচিব) নুরুজ্জামানসহ ২জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে

শনিবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাইফুর রহমান বাদি
হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা(উপ-সচিব) নুরুজ্জামান ও তার সহযোগী অহেদুজ্জামান লাজুক কে আসামী করা হয়েছে।

৬.৫ লিটার লিকুইড ফেন্সিডিলসহ তাদের আটক দেখানো হয়েছে এবং এসময় সরকারী পাজেরো একটি গাড়িও জব্দ দেখানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার
অফিসার ইনচার্জ মো.মোজাফফর হোসেন। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউস থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ২ আসামীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিশেষ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু কাহার এর আদালতে তোলা হয়।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(উপ-সচিব) নুরুজ্জামানসহ দুই জনকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের মহানন্দা ব্রীজ টোলঘর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল।ফেন্সিডিলসহ আটক অপর ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট বিশ্বনাথপুর এলাকার সাজিদ। সে রাজশাহীর একটি ওষুধের

দোকানের কর্মচারী। স্থানীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাইফুর রহমান গভীর রাতে গণমাধ্যমকে জানান, মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে টোলঘর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় রাজশাহী জেলা পরিষদের একটি পাজেরো জিপ গাড়িতে (রাজ মেট্রো ঘ-১১-০০৭১)তল্লাশী চালানো হয়। তল্লাশীকালে গাড়ির ভেতর একটি ব্যাগে ৫টি কোকাকোলার বোতল ভর্তি লুজ ফেন্সিডিলসহ তাদের আটক করা হয়।

পরে তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে নিয়ে আসা হয় পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য। সাইফুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে গণমাধ্যমের সামনে সাজিদকে নিয়ে আসা হলেও,নুরুজ্জামানকে শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়নি। একটি সূত্র জানায়,চাঁপাইনবাবগঞ্জ  মাজ্যেষ্টেট আদালত সেই উপসচিব কে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Dec 17, 2020

 শিবগঞ্জে ওসির বিরুদ্ধে মামলা

শিবগঞ্জে ওসির বিরুদ্ধে মামলা


বগুড়ার
শিবগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার শিকার এক গৃহবধূর মামলা না নিয়ে যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেওয়ার অভিযোগে থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও পুলিশ পরিদর্শক রতন কুমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন শিবগঞ্জ উপজেলার সিহালি জানগ্রাম এলাকার নুর ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম।

মামলাটি আমলে নিয়ে একজন ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্তের জন্য বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ নভেম্বর বাদির মেয়ে ও ধর্ষণচেষ্টাকারি সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে কলেজ ছাত্র রামিম হাসান রিমনকে শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বিকেল ৪টার দিকে ওসি এসএম বদিউজ্জামান তার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

 এ সময় তাকে গালিগালাজ না করতে অনুরোধ করলে এসআই রতন তার মেয়েকে থাপ্পড় দিয়ে থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখেন। ধর্ষণচেষ্টাকারী রিমনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডের কথা বললে এসআই রতন কুমার ও ওসি বদিউজ্জামান তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করেন এবং রিমনের পক্ষ নেন।

 

শিক্ষক সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা

শিক্ষক সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা

চাকরির প্রলোভনে গৃহিণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মো. ফরহাদ আলী (৪৫) পচাসারুটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলার শাখাইল গ্রামের দুখু মিয়ার ছেলে।


টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলি আদালতে ওই গৃহিণী বাদী হয়ে মো. ফরহাদ আলীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের ভারড়া গ্রামের হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রি আ. মোতালেবের স্ত্রী মোছা. মর্জিনা বেগমকে (৩৭) চাকরি দেয়ার সূত্রে ঘনিষ্ঠ হন শিক্ষক মো.ফরহাদ আলী। দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী মর্জিনার মোবাইলে ও সরাসরি শারীরিক সম্পর্কের কু-প্রস্তাব দিতে শুরু করেন।

ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি মাতাব্বরদের জানালে গ্রাম্য সালিশ বসে। ফরহাদ আলী প্রভাবশালী হওয়ায় সালিশে বসতে রাজি হননি। মাতাব্বরদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে মর্জিনাকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত ১ নভেম্বর ভোরে ফরহাদ আলী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মর্জিনার বাড়িতে গিয়ে মুখ চেপে ধরে বিবস্ত্র করে তার গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে মর্জিনার স্বজনরা তাকে নাগরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে মর্জিনা গত ৯ নভেম্বর টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলি আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। (মামলা নং ২১৫/২০২০)। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল ডিবি দক্ষিণকে দায়িত্ব দেন আদালত। তবে মর্জিনাকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে চাপ সৃষ্টি করায় ভুক্তভোগীর পরিবার শঙ্কায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক ফরহাদ আলী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে সভাপতির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি জেনেছি। কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল ডিবির (দক্ষিণ) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন।

Dec 13, 2020

হত্যা মামলায়  ১০ জনের ফাঁসি

হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি



চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ২১ বছর আগে চাঞ্চল্যকর চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়,রোবরার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সদর ইউপি চেয়ারম্যান নেজামুদ্দিনসহ ১০ জন আদালতে উপস্থিত ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মানিক, তারেক, ফ্রোক আহমদ, বসির আহমেদ, ইদ্রীস, জাহেদ, রাসেদ, নাসিরউদ্দিন ও জসিমউদ্দিন।  এদের সবার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকায়।খালাসপ্রাপ্তরা হলো আবু তাহের, আবদুল মালেক, খায়ের আহমেদ, মোকস্তাক আহমেদ।এ রায়ে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সন্তুষ্ট প্রকাশ করে মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আমি আর কিছু চাই না। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হওয়ায় আমি খুশি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর পরই নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ২১ বছর শুনানি শেষে আজ আদালত এর রায় দিয়েছেন।

 

Dec 10, 2020

হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার এস.আই ও বারঘরিয়া বিট পুলিশ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.আই মো. সোহেল রানা বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামীর নিজ বাড়ি থেকে আসামীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের স্কুলপাড়ার মো. রমজান আলীর ছেলে মো. মাসুদ রানা (২৪)।

গ্রেফতার হওয়া মাসুদ সদর উপজেলা বারঘরিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাসপাড়ার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাহিদা খাতুন বৃষ্টি হত্যা মামলার প্রধান আসামী।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সদর উপজেলা বারঘরিয়া ইউনিয়নের বিশ^াসপাড়ার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে মোসা. সাহিদা খাতুন বৃষ্টির সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার স্কুলপাড়ার মো. রমজান আলীর ছেলে মো. মাসুদ রানার। বিয়ের পর জানা যায়, মাসুদ এর আগেও বিয়ে করেছে এবং স্ত্রী রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মাসুদ নানাভাবে সাহিদা খাতুন বৃষ্টির উপর মানষিক ও শারিরিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে বৃষ্টিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু ২ দফায় ষড়যন্ত্র থেকে বেঁচে যায় মোসা. সাহিদা খাতুন বৃষ্টি। কিন্তু মোটা অংকের যৌতুকের দাবিতে মোসা. সাহিদা খাতুন বৃষ্টির উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। মাসুদের নির্যাতনে একপর্যায়ে বৃষ্টি শারিরিকভাবে চরম অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃষ্টির ভাই,মাসহ অন্যনা আত্মীয়রা চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসার পরও বৃষ্টি স্বুস্থ হয়নি, অবেশেষে ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর বাবার বাড়িতে মৃত্যু হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৬ আগষ্ট মোসা. সাহিদা খাতুন বৃষ্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকার পল্লবী থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। বিচার পাওয়ার আগেই মারা যায় মোসা. সাহিদা খাতুন বৃষ্টি। এই মামলার সুত্র ধরেই আসামী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত।

প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ বুধবার বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মাসুদকে গ্রেফতার করে। এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার এস.আই ও বারঘরিয়া বিট পুলিশ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.আই মো. সোহেল রানা জানান, একটি হত্যা মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে মাসুদকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

Dec 1, 2020

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে জানালো; সুপ্রিম কোর্ট

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে জানালো; সুপ্রিম কোর্ট


২০১৭ সালে সাভারের একজন ব্যবসায়ী জামান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আপিল বিভাগ বলেছিলো যাবজ্জীবন মানে ত্রিশ বছর নয়, আমৃত্যু কারাবাস।

কিন্তু পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হলে এ বিষয়ক একটি রিভিউ আবেদন হয় এবং ওই আবেদনের চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ আজ বলেছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড।রিভিউ আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "আপিল বিভাগ শর্ট অর্ডারে বলেছেন বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ও ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজার অর্থ হবে ত্রিশ বছর কারাদণ্ড। তবে কোনো নির্দিষ্ট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল যদি কোনো ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাগারের আদেশ দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির জন্য কোনো রেয়াত বা বেনিফিট প্রযোজ্য হবেনা। তাকে আমৃত্যুই কারাগারে থাকতে হবে। তবে সাধারণত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ হবে ত্রিশ বছর"।তিনি বলেন আইনজীবী ও আইনজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিলো তার প্রাথমিক সমাধান হলো যে ত্রিশ বছর ধরেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়টি হিসেব করতে হবে।

তবে আমৃত্যু কারাগারের বিষয়টি কারাগারে কিভাবে মেনটেইন করা হবে তা নিয়ে পরে সরকারের দিক থেকে নির্দেশনা আসতে পারে, বলছিলেন তিনি।মূলত ২০১৭ সালের আপিল বিভাগ জামান হত্যা মামলার আসামিদের সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আমৃত্যু কারাবাসের কথা বলার পর আ ইনজীবীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।কারণ এর আগে সরকারেরই একটি সার্কুলারে কারাদণ্ডের মেয়াদ সর্বোচ্চ ত্রিশ বছর পর্যন্ত বলে বলা হয়েছিলো।

এসব নিয়ে বিভ্রান্তির জের ধরেই ব্যবসায়ী জামান হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আইনজীবীরা ২০১৭ সালের নভেম্বরে রিভিউ আবেদন করেছিলেন।২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার দায়ে ২০০৩ সালে ঢাকার একটি আদালত কামরুল, আতাউর ও আনোয়ার নামের তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো।পরে তাদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০০৭ সালে রায় দেয় হাইকোর্ট।পরে এ রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল করেন আসামী পক্ষে।সে আপিলের ওপার শুনানি শেষ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আপিল বিভাগ বলেছিলো যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস।

Nov 30, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতা মুকুলকে হত্যার দায়ে ৭জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট।

৩০ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১টায় আসামীদের উপস্থিতিতে এ দায় প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের বিচারক রবিউল ইসলাম।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৭জন আসামীরা হলো,
শিবগঞ্জের গঙ্গারামপুর এলাকার আফতাব আলীর ছেলে সুইট(২৫),গঙ্গারামপুর এলাকার সেতাউর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে ডুবু(৫০), বক্কার আলী (৪৮),লাল মোহাম্মদ (৪৬),ইসরাইল (৪০),নামো টিকোরী এলাকার মৃত আয়েস মুন্নার ছেলে বাহার আলী (৩৫),শিবগঞ্জ পৌরসভার বাগানটুলী এলাজাট মৃত তাজউদ্দীনের ছেলে সালাউদ্দিন(৩৮)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মোবারক পুরে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মুকুলকে মোবারক পুরের বিএন বাজারে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।পরে তার স্বজনরা পহেলা ডিসেম্বর ২০জনকে আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।আওয়ামীলীগ নেতা মুকুল শিবগঞ্জের মোবারকপুর ইউপির টিকরী এলাকার বাসিন্দা।

Nov 27, 2020

ভোলাহাটে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীর কারদণ্ড

ভোলাহাটে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীর কারদণ্ড

 


মাদক চোরাচালান ও বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলার ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামে যখন সভা সমাবেশ উঠান বৈঠক করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলছে ব্যাপক প্রচারনা। ঠিক এমন সময় অভিনব কায়দায় এক শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ীর রমরমা মাদক ব্যবসার খবর পৌঁছে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান কাছে। আজ (২৭ নভেম্বর ২০২০) শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্বে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরিবুল্লাহ দবির, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ইয়াজদানী জর্জ ও গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দেশী চৌলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণসহ শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। উপজেলার ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের ইমামনগর বমপুঁতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামীর বাড়ির প্রাচীরের লেক বরাবর মাটির নিচে সারিবদ্ধভাবে পুতে রাখা ৪টি ড্রাম থেকে ১’শ৮০ লিটার দেশী চৌলাই মদের উপাদান এবং ১ ড্রাম মেডিসিনসহ মৃত মোকবুলের মেয়ে রেখা (৩৫) কে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে জবকৃত সবকিছুই পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আটক শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উল্লেখ্য এ নারী মাদক ব্যবসায়ী এর পূর্বে মাদক ব্যবসার দায়ে বেশ ক’বার জেলহাজতে ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মশিউর রহমান জানান, এ অভিযান অব্যহত থাকবে। মাদক, চোরাচালন ও বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেনতামুলক সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক অব্যহত আছে। তারপরও যারা অপরাধ অব্যহত রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

Nov 20, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে  অভিযানে ৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযানে ৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার





নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি-আনসারের যৌথ টাস্কফোর্সের মাদকবিরোধী অভিযানে ১টি অটোবাইক ও ৪২৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ সময় ২ জন চোরাকারবারি টাস্কফোর্সের উপস্থিতি টের পেয়ে ফেনসিডিল অটোবাইক ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। 

পলাতক আসামীরা হচ্ছে, শিবগঞ্জ উপজেলার পিঠালীতলা এলাকার ইব্রাহিম আলীর ছেলে টুটুল আলী (২৯) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চুনাখালী মুন্নাপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুম বাবু (২৪)। জব্দ মালামালের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকা।

জানা গেছে,  ১৯ নভেম্বর রাত সোযা ১০ টার দিকে সীমান্ত হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আমবাজার মোড়ে এ অভিযানটি চালানো হয়। 

শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি, ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বিজিবিএমএস এর নেতৃত্বে ১৫ জন বিজিবি সদস্য এবং ৪ জন আনসার সদস্যর সমন্বয়ে টাস্কফোর্সটি গঠণ করা হয়। 
 
এ ব্যাপারে ৫৯ বিজিবির রহনপুর ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ডিএনসি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক রায়হান আহমেদ খান ঘটনারবসত্যতা নিশ্চৎ করেছেন।

Nov 19, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গৃহবধুকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গৃহবধুকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের
প্রলোভনে এক শিশুকন্যার জননী এক গৃহবধুকে (২৬) ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও
শিশু নির্যাতণ দমন আইনে দায়ের মামলায় মো.করিম (২৯) নামে এক যুবককে
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। 


সেই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা
অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডেরও আদেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৯’নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন
ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক রবিউল ইসলাম দন্ডিতের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে মামলার অপর ৩ আসামীকে বেকসুর খালাস দেন
আদালত। দন্ডিত করিম শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের বাবুপুর চালকিপাড়া গ্রামের
তাজিবুল হকের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান,২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল রাতে বিয়ের প্রলোভনে নির্যাতিতা গৃহবধুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে একটি আমবাগানে ধর্ষণ করেন করিম।কিন্তু এরপর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে গৃহবধু দু’দিন পর ২১ এপ্রিল শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা(আইও) ও শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক(এসআই) গৌতম চন্দ্র মালী ২০১৭ সালের ১২ জুলাই করিমসহ ৪জনকে
অভিযুক্ত করে আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্য,প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক
শেষে আদালত করিমকে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড.রেজাউল করিম।

Nov 18, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার পাঁচ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে  রুবেল ওরফে ফয়সাল(২৫) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভোলাহাট উপজেলার গোহয়লবাড়ি ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের ফারুকের আহমেদের ছেলে। 

১৮ নভেম্বর বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রবিউল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

জানাযায় ২০১৭ সালের ২৪ শে অক্টোবর জোর পূর্বক ৫বছরর এক শিশুকে ধর্ষণ করে,পরে বাদি হয়ে শিশুর বাবা ভোলাহাট থানায় মামলা করেন।

Nov 16, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দু-ক্লিনিককে জরিমানা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দু-ক্লিনিককে জরিমানা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ঝিলিম ইউনিয়নেরআমনুরায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকায় দু-অবৈধ ক্লিনিকে জরিমামা করেছে ভ্রামমান আদালত।


১৬ নভেম্বর (সোমবার) বেলা ৩টায় আমনুরায় অভিযান চালায় সেখানে দু ক্লিনিককে ২৫হাজার টাকা করে মোট ৫০হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।অবৈধ দু-ক্লিনিক হচ্ছে,লেফারুন ক্লিনিক অন্যটি বরেন্দ্র ক্লিনিক।

উক্ত অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আশরাফুল হক তিনি আমার চাঁপাইকে বলেন,দুটো ক্লিনিককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করে ক্লিনিক দুটো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষনা দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী আমার চাঁপাই কে বলেন,আমি নিজেও অভিযানে অংশ গ্রহন করেছি।হাল-নাগাদ না থাকায় দুটো ক্লিনিকের মালিকে জরিমানা করা হয়।এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

Sep 3, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক জালিয়াতির মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক জালিয়াতির মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক


দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা সাদিকুল ইসলামকে চেক জালিয়াতি মামলায় আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও’র কার্যালয় চত্বর থেকে সাদিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের একটি চেক জালিয়াতি মামলায় ১ বছরের সাজা রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে কোর্ট থেকে তার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থানায় এসে পৌঁছায়। আদালতের পরওয়া তামিলের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে ঐদিনই বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ সাদিকুল কে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Aug 31, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘর ছাড়া বৃদ্ধার পাশে র‍্যাব

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘর ছাড়া বৃদ্ধার পাশে র‍্যাব




অবশেষে এলিট ফোর্স র্যাবের হস্তক্ষেপে নিজ ঠিকানা ফিরে পেলেন বৃদ্ধা নুরজাহান (৭৫)। সোমবার (৩১ আগষ্ট) সন্ধ্যায় র্যাব-৫, সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কমান্ডার আজমাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বৃদ্ধাকে মেয়ে-জামাইয়ের হেফাজতে দিয়ে আসেন।

'চুরির মিথ্যে অভিযোগে বৃদ্ধাকে তাড়িয়ে দিল মেয়ে' মর্মে আমার চাঁপাই,চাঁপাই বার্তা, দেশ সংবাদ, জেনিউজসহ বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর র্যাব-৫ বিষয়টি আমলে নিয়ে বৃদ্ধাকে বাড়ীতে উঠিয়ে দিয়ে আসেন। বৃদ্ধার যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে মেয়ে-জামাইকে অনুরোধ করেন আজমাল হোসেন।

এ বিষয়ে র্যাব-৫, সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কমান্ডার আজমাল হোসেন বলেন, অনলাইনে নিউজটি দেখার পর র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান আমাকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। সেই মর্মে আমরা বৃদ্ধা মা নুরজাহানকে বাড়ীতে উঠিয়ে দিয়ে এসেছি। নুরজাহানের নাতি সেনা সদস্য মেরাজ তার দায়িত্ব নিয়েছে। পরবর্তীতে বৃদ্ধার বিষয়টি আমাদের নজরদারীতে থাকবে বলে জানান আজমাল হোসেন।

Aug 18, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলে স্বামীর নওশাদ আলী(৬১)বিরুদ্ধে স্ত্রী বেবী বেগমের(৪০) মুখে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারার অভিযোগ করেছে নাচোল থানায়। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দিয়াড় খলসী নতুন টোলা গ্রামে তাদের বসত বাড়ি।


বেবীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় ১৭ আগস্ট রাত ১টা ১০ মিনিটে তার স্বামী নওশাদ আলীর হাতে থাকা কাচের বোতলে তরল জাতীয় দাহ্য পদার্থ তার মুখে ছুড়ে মারে। ওই সময় তার মুখ মন্ডল ও বাম হাত জ্বালাপোড়া শুরু করে বলে জানান তিনি। পরের দিন সোমবার তার আত্মীয়-স্বজন নাচোল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেবীকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। বর্তমানে বেবী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তবে তার মুখমন্ডলে কালচে দাগ পড়েছে। বেবী জানান দীর্ঘদিন থেকে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কলোহ বিবাদ লেগে আছে আর এ কারনেই তার স্বামী তাকে পঙ্গু করে রাখার জন্য এ ধরনের কান্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান।

নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক দোষি ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Aug 12, 2020

ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা

ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা

কক্সবাজারের মহেশখালীর বহুল আলোচিত আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ করা হয়েছে। 

হত্যার ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫ পুলিশ সদস্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলাটির শুনানী হলেও আদালত কোন আদেশ দেননি। বৃহস্পতিবার এর আদেশ হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন এর কাছে মামলাটি দায়ের করেন আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)।

মামলায় ওসি প্রদীপসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই হারুনুর রশীদ,
এসআই ইমাম হোসেন, এসএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এইসআই আজিম উদ্দিন।২৯ আসামীর মধ্যে ‘প্রধান আসামী’ হিসেবে রয়েছেন ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস (৫৬) তিনি একই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।

নিহত আবদুস সাত্তার হোয়ানকো পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র।
বাদি পক্ষে আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, আবেদনটির উপর শুনানী অনুষ্ঠিত
হয়েছে। শুনানী আদেশ বৃহস্পতিবার প্রদান করতে পারে।

বাদি হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে
হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় নিয়ে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গন্য করতে আদেশ দেন বিচারক।

সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয় নি বলে জানান হামিদা আক্তার।